মেসি নেইমার ও এমবাপ্পেদের লজ্জার হার

বিটিসি স্পোর্টস ডেস্ক: প্যারিস সেইন্ট জার্মেই (পিএসজি) দলটি যে কোনো সময়ের চেয়ে শক্তিশালী। বর্তমান সময়ের বিশ্বসেরা তিন ফরোয়ার্ড মেসি, নেইমার ও এমবাপ্পেকে নিয়ে আক্রমণভাগ সাজানো। এই একঝাঁক তারকা নিয়েও হারের তেতো স্বাদ নিতে হলো প্যারিস সেইন্ট জার্মেইকে। 
মেসি, নেইমার ও এমবাপ্পেদের দিয়ে গড়া সূচালো ও শক্তিশালী আক্রমণভাগ নিয়েও গোল দিতে পারল না পিএসজি।
উল্টো প্রতিপক্ষ রেনের মাঠে রোববার ফ্রেঞ্চ লিগ ওয়ানে ২-০ গোলে হেরেছে শক্তিতে অনেক এগিয়ে থাকা পিএসজি। গেইতাঁ লেবর্দি রেনকে এগিয়ে নেওয়ার পর ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ফ্লেভিয়াঁ।
একটি গোলও শোধ করতে পারেননি মেসি-নেইমারদের কেউ। ৬৮ মিনিটে অবশ্য রেনের জালে বল জড়িয়েছিলেন এমবাপ্পে। তবে অফসাইডে তা বাতিল হয়ে যায়।
চ্যাম্পিয়নস লিগে ম্যানসিটির বিপক্ষে সবশেষ ম্যাচে পিএসজির জার্সিতে প্রথম গোলের দেখা পেয়েছেন লিওনেল মেসি। তার রেশ কাটতে না কাটকেই মুদ্রার উল্টো পিঠ দেখলেন আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড।
লিগে টানা আট জয়ের পর হারল পিএসজি। অর্থাৎ মেসি যোগ দেওয়ার পর সব প্রতিযোগিতা মিলিয়েই এটি তাদের প্রথম হার।
এমন হারের প্রধান কারণ ফিনিশিংয়ে পিএসজির দুর্বলতা। এমবাপ্পে-নেইমার-মেসিতে গড়া পিএসজির আক্রমণভাগ রেনের গোলমুখে বারংবার হতাশ করেছে।
প্রায় দুই-তৃতীয়াংশের বেশি সময় বলদখলে রেখে গোলের উদ্দেশ্যে ১৩টি শট নেয় প্যারিসের দলটি; কিন্তু একটি শটও লক্ষ্যে রাখতে পারেনি তারা। অপরদিকে রেনের ১২ শটের চারটি ছিল লক্ষ্যে।
প্রথম ১৫ মিনিটে মাঝমাঠের কাছ থেকে ক্ষিপ্র গতিতে ছুটে ডি-বক্সে ঢুকে পড়েন এমবাপ্পে। তবে ডি-বক্সে ঢুকেই ভারসাম্য হারিয়ে পড়ে যান তিনি।
২৩তম মিনিটে প্রতিপক্ষের ভুলে ডি-বক্সে ফাঁকায় বল পেয়ে জালের ওপর দিয়ে অজানার উদ্দেশে উড়িয়ে মারেন নেইমার।
২৫তম মিনিটে মেসির এক দারুণ পাসে ডি-বক্সে রেনের গোলরক্ষককে একা পেয়ে যান এমবাপ্পে। কিন্তু কোনাকুনি শটে ক্রসবারের ওপর দিয়ে উড়িয়ে মারেন তিনিও।
৩১তম মিনিটে প্রায় ২৫ গজ দূর থেকে নেওয়া মেসির দারুণ ফ্রি কিক গোলরক্ষককে পরাস্ত করলেও ক্রসবারে বাধা পায়।
৪৪তম মিনিটে রেনের রক্ষণ ভেঙে ডি-বক্সে ঢুকে পড়া আনহেল ডি মারিয়ার একটি প্রচেষ্টা ঝাঁপিয়ে ঠেকিয়ে দেন রেনের গোলরক্ষক।
কিন্তু এর এক মিনিট পরেই কামালদিন সুলেমানার বাঁদিক থেকে বাড়ানো ক্রসে ডিফেন্ডার নুনো মেন্দেসের বাধা এড়িয়ে নিখুঁত শটে গোল করেন রেনের লেবর্দি।
রেফারির বাঁশিতে ১-০ গোলে এগিয়ে বিরতিতে যায় রেনে।
দ্বিতীয়ার্ধে নেমেই ব্যবধান দ্বিগুণ করেন রাসি মিডফিল্ডার ফ্লেভিয়াঁ। ডান দিক থেকে দারুণ পাসিং ফুটবলে গড়া আক্রমণে সতীর্থের কাটব্যাক পেনাল্টি স্পটের কাছে পেয়ে জোরালো শট নেন ফ্লেভিয়াঁ। স্কোরলাইন ২-০ হয়।
৬৮তম মিনিটে পাল্টা আক্রমণে এমবাপ্পে বল জালে পাঠালেও অফসাইডে ব্যবধান ২-০ থাকে।
শেষ পর্যন্ত রেনের জালমুখ খুলতে পারেনি পিএসজি। রেফারির শেষ বাঁশিতে হারের হতাশা নিয়েই মাঠ ছাড়েন মেসি-নেইমার-এমবাপ্পেরা।
এ ফলাফলের পর ৯ ম্যাচে ৮ জয়ে ২৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষেই আছে পিএসজি। ১৮ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে লঁস। আর দারুণ এই জয়ে ১২ পয়েন্ট নিয়ে সাত নম্বরে উঠেছে রেন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.