মেসি জাদুতে আবারও পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠে এলো বার্সেলোনা, মেসিই দিলেন ৪ গোল

ছবি: সংগৃহীত

বিটিসি স্পোর্টস ডেস্ক: ইউরোপীয় ক্লাব ফুটবলে মেসি জাদুতে আবারও পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠে এলো বার্সেলোনা। এইবারকে ৫-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে কাতালানরা। একাই চার গোল করেছেন আর্জেন্টাইন জাদুকর লিওনেল মেসি।

এদিকে ইপিএলে হাইভোল্টেজ লন্ডন ডার্বিতে টটেনহ্যাম হটস্পারকে ২-১ গোলে হারিয়েছে চেলসি। এর ফলে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ চারে ওঠা কঠিন হয়ে গেল মরিনহোর টটেনহ্যামের জন্য।

লিওনেল মেসি। কেউ বলেন ক্ষুদে জাদুকর, কেউবা ফুটবলের রাজপুত্র। তবে কোথায় যেন ছন্দপতন। অবিশ্বাস্যভাবে ক্যারিয়ারের সবচে হতাশাজনক সময়গুলো পার করছিলেন। ৩৯৮ মিনিট গোলের দেখা নেই আর্জেন্টাইন সুপারস্টারের পায়ে; এও সম্ভব! সমালোচকরা যেন তেতে উঠছিলেন। তবে সবাইকে থামানোর সেই মোক্ষম অস্ত্র, বল পায়ে মাঠ দাপিয়ে বেড়ানো সেই লিওনেল মেসি আবারো ফিরলেন দৃপ্ত পায়ে। আর তাতে জ্বলেপুড়ে ছারখার এইবার শিবির।

ক্যাম্প ন্যু’তে অতিথিদের রক্ষণ নিয়ে রীতিমতো ছেলেখেলা করেছেন লিও। দীর্ঘ গোলখরা কাটাতে সময় নিলেন মাত্র ১৪ মিনিট। র‌্যাকিটিচের পাস থেকে দুর্দান্ত দক্ষতায় বল জালে পাঠান মেসি।

দ্বিতীয় গোলটা আসে ৩৭ মিনিটে। এবার যোগানদাতা ভিদাল। স্কোরার আবারো আর্জেন্টাইন জাদুকর। বার্সার লিড ২-০।

মিনিট তিনেক পর ব্যবধান বাড়ে। আবারো স্কোরার লিও। একক দক্ষতায় তুলে নেন নিজের হ্যাটট্রিক। প্রথমার্ধ্বেই বার্সার লিড ৩-০।

মেসি যেন থামতে চান না। গোলের নেশা পেয়ে বসেছে। আঘাত হেনেছেন বারবার। ৭৮ মিনিটে আরও একটা গোল পেতে পারতেন। সেই আক্ষেপ পূরণ করেছেন ৮৭ মিনিটে। আদায় করে নেন নিজের চতুর্থ গোল। এ নিয়ে এইবারের বিপক্ষে সবশেষ ১১ ম্যাচে ২০ গোল আর তিন অ্যাসিস্ট লিওনেল মেসির।

মেসিময় রাতে ন্যু ক্যাম্পে ম্যাচের শেষ আলোটুকু কেড়ে নেন আর্থুর। ম্যাচ শেষ হওয়ার মিনিট খানেক আগে গোল করে বার্সার ব্যবধান ৫-০ করেন এ ব্রাজিলিয়ান। এরফলে ন্যু ক্যাম্পে সবশেষ ৫ ম্যাচেই এইবারকে তিনেরও বেশি গোলে হারালো বার্সা।

ওদিকে হাইভোল্টেজ লন্ডন ডার্বিতে মুখোমুখি চেলসি-টটেনহ্যাম। মুখোমুখি গুরু শিষ্য মরিনহো আর ল্যাম্পার্ড। হিসেব নিকেশ অনেক। জিতলে টটেনহ্যাম যাবে শীর্ষ চারে।

তবে প্রথম পর্বের মতো দ্বিতীয় পর্বেও সাবেক ক্লাব চেলসির কাছে হারলেন হোসে মরিনহো। স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে ব্লুদের প্রথম লিড এনে দেন অলিভিয়ের জিরু।

দ্বিতীয়ার্ধ্বে আবারও লিড নেয় চেলসি। আলেন্সোর গোলে ব্যবধান হয় ২-০।

মূল দুই স্ট্রাইকার হ্যারি কেইন আর সন হিউ মিনকে ছাড়াই মাঠে নামলেও, চেলসির রক্ষণে কম আক্রমন করেনি টটেনহ্যাম। তবে কাঙ্খিত গোলটাই পায়নি মরিনহো বাহিনী। ম্যাচের শেষ মিনিটে রুডিগারের আত্মঘাতী গোলটাই ওদের পক্ষে একমাত্র গোল। স্কোরলাইনটা সম্মানজনক মনে হলেও, আগামী চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলার পথটা আরো দুর্গম হয়ে গেল বর্তমান রানারআপদের জন্য। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.