বিটিসি স্পোর্টস ডেস্ক:দ্রুততম অর্ধশত গোলের রেকর্ড তো আগেই করে ফেলেছেন আর্লিং হলান্ড। এবার আরেকটি রেকর্ডের দিকেও ছুটছেন তিনি, যে রেকর্ডটি লিওনেল মেসির। খুব বাজে ফর্মে না থাকলে সেই রেকর্ডটিও নিজের করে নেওয়া তার কেবল সময়ের ব্যাপার। তার পরও ঠিক খুশি নন ম্যানচেস্টার সিটির ফরোয়ার্ড। দল যে জিততে পারেনি!
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচটিতে বুধবার মোনাকোর মাঠে ২-২ গোলে ড্র করে ম্যানচেস্টার সিটি। হলান্ডের গোলে দুই দফায় এগিয়ে গিয়েও জিততে পারেনি পেপ গুয়ার্দিওলার দল।
১৫তম মিনিটে প্রথম গোলটি করেন হলান্ড। মিনিট তিনেক পরই সমতা ফেরায় মোনাকো। প্রথমার্ধের শেষ দিকে আবার দলকে এগিয়ে দেন হলান্ড, যে ব্যবধান সিটি ধরে রাখে প্রায় শেষ পর্যন্ত। তবে ৯০তম মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে পয়েন্ট আদায় করে মোনাকো।
সিটির ফর্ম অধারাবাহিক হলেও হলান্ড মৌসুমের শুরুটা করেছেন অসাধারণ। ক্লাব ও দেশের হয়ে ১০ ম্যাচেই ১৭ গোল হয়ে গেল তার। কেবল একটি ম্যাচেই গোলের দেখা পাননি এই মৌসুমে।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে নাপোলির বিপক্ষে আগের ম্যাচে দারুণ এক মাইলফলকের দেখা পান তিনি। ৪৯ ম্যাচে ৫০ গোল ছুঁয়ে টুর্নামেন্টের ইতিহাসে দ্রুততম অর্ধশত গোলের কীর্তি গড়েন তিনি।
মোনাকোর বিপক্ষে জোড়া গোলে তার গোল সংখ্যা এখন ৫০ ম্যাচে ৫২টি। দ্রুততম ৬০ গোলের রেকর্ডটি লিওনেল মেসির, যা করেছিলেন তিনি ৮০ ম্যাচ খেলে। তাকে পেছনে ফেলতে হলান্ডের তাই সমস্যা হওয়ার কথা নয়।
তবে ভবিষ্যৎ প্রাপ্তির সেই সম্ভাবনার চেয়ে বর্তমানের অপ্রাপ্তিই পোড়াচ্ছে তাকে। দলের খেলায় মোটেও সন্তুষ্ট নন ২৫ বছর বয়সী তারকা।
“আমার মনে হয় না আমরা যথেষ্ট ভালো খেলেছি। জয় আমাদের প্রাপ্য ছিল না। আরও প্রাণশক্তি প্রয়োজন আমাদের। প্রথমার্ধে যা করেছি, এর চেয়ে বেশি কিছু করা দরকার ছিল।”
“যথেষ্ট ভালো খেলতে পারিনি আমরা। পরের ম্যাচটি জয়ের চেষ্টা করতে হবে। এখন কেবল এটিই পারি আমরা।”
ম্যাচের ৭২ শতাংশ সময় বল ছিল সিটির কাছে। আক্রমণেও তারা ছিল বেশি ধারাল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসবের মূল্য নেই কোচ গুয়ার্দিওলার কাছে।
“ফুটবলে জিততে হয় ফলাফলে। ম্যাচটি বিশ্লেষণ করলে দেখতে পাবেন, অনেক জায়গাতেই আমরা ভালো ছিলাম। ধাপে ধাপে আমরা আরও ভালো করব। কিন্তু আজকে অনেক সুযোগ আমরা পেয়েছি। ওরা অনেক নিচে নেমে ও আঁটসাঁটভাবে রক্ষণ সামলেছে। তার পরও আমরা মানিয়ে নিয়ে ভালো খেলেছি। কিন্তু ফলটাই তো আসল।” #
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.