মেসির জোড়া গোলে জয়ে ফিরেছে বার্সেলোনা

বিটিসি স্পোর্টস ডেস্ক: লা লিগায় শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে মেসি যাদুতে জয়ে ফিরেছে বার্সেলোনা। পিছিয়ে পড়েও আর্জেন্টাইন তারকার জোড়া গোলে ভ্যালেন্সিয়াকে ৩-২ গোলে হারিয়েছে কাতালানরা। এদিকে, ইপিএলে গ্যারেথ বেলের হ্যাটট্রিকে শেফিল্ড ইউনাইটেডকে ৪-০ গোলে বিধ্বস্ত করেছে টটেনহ্যাম হটস্পার।
স্তাদে ডি মেস্তালায় রেফারি হোসে সানচেজের শেষ বাশির সঙ্গে সঙ্গে ফ্র্যাঙ্কি ডি ইয়ংকে কাছে টেনে নিলেন লিওনেল মেসি। পুরো ম্যাচেই যে বলের যোগান দিয়ে দারুণ জয়ের পথটা সহজ করে দিয়েছেন এই ডাচ তরুণ। একটু ভালবাসাতো তার প্রাপ্যই।

আগের ম্যাচে গ্রানাদার কাছে হেরে সমালোচনায় জর্জরিত কাতালানদের এ জয় যেন কাঠফাটা রোদে এক পশলা স্বস্তির বৃষ্টি। ডাগআউটে নেই কোচ রোনাল্ড কোম্যান। থাকলে হয়ত উল্লাসে মেসিকে বুকে জড়িয়ে ধরতেন তিনিও।

চমৎকার এই ম্যাচের শুরুটায় কিন্ত রাজত্ব করেছে ভ্যালেন্সিয়া। জয়ের আশায় মরিয়া কাতালানরা প্রথমার্ধে শত চেষ্টা করেও গোল পায়নি। ৫০ মিনিটে স্তাদে মেস্তালার রাতের আকাশকে আলোকিত করে গোল করেন গ্যাব্রিয়েল পাওলিস্তা। নিজের চোখকেও তখন বিশ্বাস করতে পারছিলেন না টার স্টেগান।

গোল হজম করেই যেন হুশ ফিরে পায় বার্সেলোনা। ৫৭ মিনিটেই আসে মাহেন্দ্রক্ষণ। পেনাল্টি থেকে প্রথম চেষ্টায় গোল করতে ব্যর্থ হন মেসি। কিন্তু চোখের পলকেই নিজের ভুলে ফুল ফোটান আর্জেন্টাইন তারকা। দুর্দান্ত গোলে সমতা উপহার দেন বার্সেলোনাকে।

মেসির গোল উৎসবের ৬ মিনিট পরই আবারো বার্সা ম্যাজিক। এবার গোলের নায়ক আঁতোয়া গ্রিজম্যান। ফরাসি তারকার গোলের রেশ কাটতে না কাটতেই আবারো মেসি ঝলক। ফ্রি কিক থেকে দুর্দান্ত গোল করে বার্সেলোনার জয়ের পথ মসৃণ করেন মেসি।

শেষ দিকে কার্লোস সোলে গোল করে ভয় ধরিয়ে দিয়েছিলেন। তবে, কোন বিপর্যয় হয়নি। ভ্যালেন্সিয়ার মাঠে তাদের ৩-২ গোলে হারিয়েই বাড়িয়ে ফিরেছে বার্সেলোনা। ৩৪ ম্যাচে ৭৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তিনে আছে কাতালানরা।

এদিকে, লা লিগার মত ইপিএলেও রাতটা স্মরণীয় করে রেখেছেন গ্যারেথ বেল। টটেনহ্যাম হটস্পার স্টেডিয়ামে ম্যাচের শুরু থেকেই শেফিল্ড ইউনাইটেডের বিপক্ষে ছড়ি ঘুড়িয়েছে স্পার। গোল পেতে অপেক্ষা করতে হয়েছে ৩৬ মিনিট পর্যন্ত। গোলের শুরু করেন ওয়েলস তারকা বেল।

এরপর ৬১ ও ৬৯ মিনিটে আরও দুটি দুর্দান্ত গোল করে নিজের হ্যাটট্রিক পূরণের পাশাপাশি দলকেও এগিয়ে দেন গ্যারেথ বেল। টেনহ্যামের হয়ে চতুর্থ গোলটি করেন সন হিউং মিন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.