কাতার বিশ্বকাপের নক-আউটের দ্বিতীয় ম্যাচে আহমাদ বিন আলী স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় আজ রাত ১টায় অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মাঠে নামে আর্জেন্টিনা। কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার জন্য মরিয়া আর্জেন্টিনা লিড নেয় ম্যাচের ৩৫ মিনিটে। ফ্রি কিক থেকে প্রতিহত হওয়া বল পেয়ে দারুণ প্লেসিং শটে আর্জেন্টিনাকে এগিয়ে নেন মেসি।
নক-আউটের লড়াইয়ে ম্যাচের প্রথম আক্রমণটি করেছিলো অস্ট্রেলিয়া। শুরুতেই আর্জেন্টিনার দূর্গে হানা দেয় তারা। তবে তা ক্লিয়ার করে দেন আর্জেন্টিনার ডিফেন্স। এরপর নিচ থেকে বল দেয়া নেওয়া করে আক্রমণ তৈরির চেষ্টা করে আর্জেন্টিনা।
ম্যাচের ১০ মিনিটে আক্রমণে ওঠে আর্জেন্টিনা। তবে নিকোলাস ওতামেন্দির বাড়ানো বল নিয়ন্ত্রণে নিতে পারেনি এলেক্সিস ম্যাকএলিস্টার। নিজেদের মধ্যে বল দেওয়া নেওয়া করে সাজানো আক্রমণে যায় আর্জেন্টিনা। অন্যদিকে কাউন্টার অ্যাটাক নির্ভর ফুটবল খেলতে থাকে অস্ট্রেলিয়া।
ম্যাচের ১৫ মিনিটে মার্কোস আকুনাকে ফাউল করার কারণে জ্যাকসন ইরভিনকে হলুদ কার্ড দেখান রেফারি। ম্যাচের ১৭ মিনিটে ডি বক্সের বাইরে থেকে গোলমুখে শট করেন পাপু গোমেজ। তবে তা চলে যায় ক্রসবারের অনেক ওপর দিয়ে। ম্যাচের ১৮ মিনিটে বাম দিক থেকে সাজানো আক্রমণে যায় অস্ট্রেলিয়া।
তবে তা ক্লিয়ার করে দেন ডিফেন্ডাররা। ম্যাচের ২৩ মিনিটে সাজানো আক্রমণে যায় অস্ট্রেলিয়া। কোন বিপদ ঘটাতে না পারলেও কর্নার আদায় করে নেয় তারা। তবে কর্নার থেকে সুবিধা করতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া। ম্যাচের ২৭ মিনিটে আবারও কর্নার পায় অস্ট্রেলিয়া। কর্নার থেকে ভেসে আসা বলে হ্যারি সুটার লাফিয়ে হেড করলেও তা জালে জড়াতে পারেনি।
ম্যাচের ৩১ মিনিটে ফ্রি কিক পায় সকারুরা। তবে সেই ফ্রি কিক কাজে লাগাতে পারেনি তারা। ম্যাচের ৩৪ মিনিটে ডান দিকে গোমেজকে ফাউল করার কারণে ফ্রি কিক পায় আর্জেন্টিনা। ফ্রি কিক কাজে লাগাতে না পারলেও ফ্রি কিক থেকে আসা বল নিয়ে সাজানো আক্রমণ থেকে ডি বক্সে বল পান মেসি। সেখান থেকে প্লেসিং শটে বল জালে জড়ান তিনি। তার গোলে ম্যাচে প্রথমবারের মতো লিড পায় আর্জেন্টিনা। #
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.