মেরিল স্ট্রিপের ৪৫ বছরের সংসারে বিচ্ছেদ!

বিটিসি বিনোদন ডেস্ক: পৃথিবীর সর্বকালের সেরা অভিনেত্রীর তালিকায় মেরিল স্ট্রিপের নামটি উচ্চারিত হয় প্রথম দিকেই। বর্ণিল ক্যারিয়ারে এমন সব চরিত্রে অভিনয় করেছেন, যা অন্যদের জন্য স্বপ্নের মতো। ২১বার অস্কারে মনোনয়ন এবং ৩২বার গোল্ডেন গ্লোবে মনোনয়নের রেকর্ড তার দখলে।
ক্যারিয়ারের মতো সংসার জীবনেও তাকে সফল মানেন সকলে। কেননা মার্কিন ভাস্কর ডন গামারের সঙ্গে তার দীর্ঘ ৪৫ বছরের সংসার। কিন্তু মেরিল ভক্তদের জন্য দুঃসংবাদ হলো, সেই সংসার আর অটুট নেই। ভেঙে গেছে। তাও আবার ছয় বছর আগে!
শুক্রবার (২০ অক্টোবর) স্ট্রিপ ও গামারের এক ঘনিষ্ঠ সূত্র খবরটি নিশ্চিত করেছে। তিনি বলেছেন, ‘ডন গামার ও মেরিল স্ট্রিপ ছয় বছরের বেশি সময় ধরে আলাদা থাকছেন। যদিও তাদের পরষ্পরের প্রতি টান রয়েছে, তবে তারা আলাদা থাকাই বেছে নিয়েছেন।’
খবরটি শুনে বিস্মিত মেরিল স্ট্রিপের ভক্তরা। গামারের সঙ্গে তাকে সর্বশেষ প্রকাশ্যে দেখা গিয়েছিল ২০১৮ সালের অস্কার আয়োজনে।
মেরিল ও গামারের চার সন্তান রয়েছে। তারা হলেন- সংগীতশিল্পী হেনরি ওলফে, অভিনেত্রী ম্যামি গামার, গ্রেস গামার ও লুইসা জ্যাকবসন। এছাড়া তাদের পাঁচ নাতি-নাতনিও রয়েছে।
১৯৭৮ সালে নিজের প্রথম প্রেমিক জন ক্যাজেলকে হারান মেরিল স্ট্রিপ। ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান তিনি। সেই শোকে যখন স্ট্রিপ বিষণ্ণ, তখন তার সঙ্গে পরিচয় ঘটে ডন গামারের। ওই বছরই তারা বিয়ে করে নেন।
দীর্ঘ দাম্পত্য জীবনের রহস্য কী? এমন প্রশ্নের জবাবে ২০০২ সালের এক সাক্ষাৎকারে মেরিল স্ট্রিপ বলেছিলেন, ‘সদিচ্ছা, বদলে যাওয়ার ইচ্ছা এবং মুহূর্তের মধ্যে চুপ করে যাওয়া। একটি পরিবার গড়ে তোলার কোনও নির্দিষ্ট পন্থা নেই। এটা বরাবরই সমঝোতা। আমার জীবনে কাজ এবং ভালোবাসার গভীর বন্ধন, দুটোই থাকা দরকার।’
২০১২ সালে ‘দ্য আয়রন লেডি’ সিনেমার জন্য সেরা অভিনেত্রী হিসেবে অস্কার পান মেরিল স্ট্রিপ। পুরস্কার নেওয়ার পর বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘প্রথমত আমি ডনকে ধন্যাদ দিতে চাই। কারণ আপনি যখন বক্তব্যের শেষে স্বামীকে ধন্যবাদ দেবেন, ওরা (অনুষ্ঠান সংশ্লিষ্টরা) মিউজিক দিয়ে তা উড়িয়ে দেবে। আমি তাকে (ডন) জানাতে চাই যে, তুমি এই জীবনে আমাকে যা দিয়েছো, সবকিছুই আমার কাছে মূল্যবান।’
উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সিতে জন্ম নেওয়া মেরিল স্ট্রিপ ১৯৭৫ সাল থেকে সিনেমায় কাজ করছেন। বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারে তিনি তিনবার অস্কার, ৯ বার গোল্ডেন গ্লোব, তিনবার প্রাইমটাইম এমি, দুইবার ব্রিটিশ অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ডসহ দুই শতাধিক পুরস্কার জিতেছেন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.