মৃত্যুর দুয়ার থেকে যেভাবে ফিরলেন এরিকসেন

বিটিসি স্পোর্টস ডেস্ক: ক্রিশ্চিয়ান এরিকসেনকে সুস্থ করে তোলার সেই ভয়ংকর মুহূর্তগুলোর বর্ণনা দিয়েছেন ডেনমার্ক দলের চিকিৎসক মার্টিন বোসেন।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে চিকিৎসক বলেন, রেফারি অ্যান্টনি টেলর আমাকে মাঠে ডাকার আগে আমি দেখিনি যে এরিকসেন জ্ঞান হারিয়েছেন। আমি প্রথমে ওকে যখন দেখি, তখন সে নি:শ্বাস নিতে পারছিল। তার হৃৎস্পন্দন ছিল; কিন্তু হঠাৎ পরিস্থিতি পাল্টে যায়। তখন তাকে সিপিআর দিতে হয়। পুরো জিনিসটাই খুব দ্রুত হয়েছে। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা এরিকসেনকে ফিরিয়ে আনতে পেরেছি।
শনিবার ইউরো কাপের দ্বিতীয় দিনে ঘটে গেল মর্মান্তিক এক দুর্ঘটনা। দিনের দ্বিতীয় ম্যাচের প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার ঠিক আগমুহূর্তে মাঠের মধ্যেই জ্ঞান হারান ডেনমার্কের তারকা মিডফিল্ডার।
খেলার ৪৩ মিনিটের সময় ফিনল্যান্ডের আক্রমণভাগের সামনে একটি থ্রো-ইন পেয়েছিল ডেনমার্ক। মিডফিল্ডার ক্রিশ্চিয়ান এরিকসেনের উদ্দেশ্যে থ্রো-ইনটি করেন সতীর্থ খেলোয়াড়। কিন্তু সেই বল আর রিসিভ করতে পারেননি তিনি।
বলের কাছে পৌঁছার জোর প্রচেষ্টা চালান তিনি। সর্বশক্তি দিয়ে পা বাড়াতে চেষ্টা করেন। কিন্তু ব্যর্থ হন। মাঠে লুটিয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন ডেনমার্কের এই তারকা ফুটবলার।
দৌড়ে আসেন সতীর্থরা। উৎকণ্ঠায় যার যার আসন ছেড়ে দাঁড়িয়ে যান দর্শক-সমর্থকরাও।
এরিসকসেন মাঠে পড়ে যাওয়ার পরের একটা ঘণ্টা ছিল ফুটবল দুনিয়ার জন্য চরম উৎকণ্ঠার। সারা পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে তখন প্রার্থনা এ যাত্রায় যেন সুস্থ হয়ে ওঠেন ড্যানিশ তারকা। অনেকের কাছেই তার ফেরাটা অসম্ভব বলে মনে হচ্ছিল।
তবে উয়েফা যখন বিবৃতি দিয়ে জানাল, এরিকসেন সুস্থ আছেন, স্থিতিশীল আছেন, তখন ডেনমার্ক অধিনায়ক সিমোন কায়েরের প্রাথমিক পদক্ষেপগুলোকে কৃতিত্ব দিয়েছেন সবাই। মাঠে চিকিৎসক আসার আগপর্যন্ত এরিকসেনকে বুকে চাপ দিয়ে কৃত্রিমভাবে শ্বাস-প্রশ্বাস চালু রাখার কাজটি করেন সিমোন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.