মুম্বাইয়ে পাকিস্তানের মদদপুষ্ট জঙ্গি হামলার প্রতিবাদে রাজশাহীতে মানববন্ধন


নিজস্ব প্রতিবেদক: ভারতের মুম্বাইয়ে পাকিস্তানি মদদপুষ্ট সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে রাজশাহীতে মানববন্ধন ও সাইকেল র‌্যালী অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শুক্রবার (২৬ নভেম্বর) বিকেলে নগরীর সাহেব বাজার জিরো পয়েন্টে ‘জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ আন্দোলন বাংলাদেশে’র ব্যানারে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত। এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির সভাপতি এয়াকুব বাদশা।
প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক উপাধ্যক্ষ কামরুজ্জামান। অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য রাখেন রাজশাহী প্রেসক্লাব ও জননেতা আতাউর রহমান স্মৃতি পরিষদ সভাপতি সাইদুর রহমান, ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি রাজশাহী জেলা সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান আলি বরজাহান, ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি রাজশাহী মহানগর কমিটির নির্বাহী সভাপতি সুজিত সরকার, জননেতা আতাউর রহমান স্মৃতি পরিষদের সহ: সভাপতি সালাউদ্দিন মিন্টু, ছাত্রনেতা তামিম সিরাজী, জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ আন্দোলন বাংলাদেশ রাজশাহী মহানগররীর আহ্বায়ক মো. কামরুজ্জামান।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ২৬ নভেম্বর বিশ্বে সন্ত্রাসী হামলার ইতিহাসে এক ভয়াবহতম দিন। ২০০৮ সালের এই দিনে ভারতের মুম্বাই শহরে পাঁচতারাতাজ হোটেলসহ আরো ১২টি স্থানে একযোগে হামলা চালিয়েছিল পাকিস্তানি সন্ত্রাসীরা। কেড়ে নিয়েছিলো দেশি-বিদেশিসহ ১৬৬ জন নিরপরাধ মানুষের প্রাণ। সন্ত্রাসীরা পাকিস্তান থেকে সমুদ্রপথে এসে মুম্বাই প্রবেশ করেছিল। ভারতের ইতিহাসে ভয়াবহতম এই হামলার ঘটনার আজ এক যুগ পেরিয়ে গেছে, কিন্তু এখনো সেই ভয়াবহ হামলার সঙ্গে জড়িতদের সুষ্ঠু বিচার হয়নি।
তারা বলেন, ২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর পাকিস্তানের মদদপুষ্ট জঙ্গিদের এক নজিরবিহীন সন্ত্রাসী হামলায় ভারতের মুম্বাইয়ের তাজ হোটেল এবং সংশ্লিষ্ট এলাকা এক রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছিল। যেখানে ভারতীয়সহ ২২টি দেশের কয়েকশ নাগরিক হতাহত হয়েছিলেন। পাকিস্তান কীভাবে বাংলাদেশ ও ভারতসহ দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে জঙ্গিবাদ রফতানিসহ ধর্মের নামে হত্যা, সন্ত্রাস ও ধ্বংসযজ্ঞ সাধন করে তা আমরা ’৭১-এর মুক্তিযুদ্ধকাল থেকে প্রত্যক্ষ করছি।
সভাপতির প্রারম্ভিক ভাষণে এয়াকুব বাদশা বলেন, ভারতের পক্ষ থেকে হামলার ব্যাপারে প্রামাণ্য নথিপত্র দেয়া হলেও পাকিস্তানি সরকার লোক দেখানো কিছু বিবৃতি দেয়া ছাড়া কোনও শাস্তি দেয়নি মুম্বাইয়ের সন্ত্রাসী হামলাকারীদের। বাংলাদেশসহ দুনিয়ার বিভিন্ন দেশ সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করলেও এবিষয়ে সেনাবাহিনী পরিচালিত পাক-সরকারের কোনও মাথাব্যথা নেই। মুম্বাই হামলা নিয়ে ইসলামাবাদের আচরণ প্রমাণ করছে মুম্বাইয়ের ২৬/১১ হামলা ছিলো পাকিস্তানের সরকারি মদদে ভয়ঙ্কর এক সন্ত্রাসী হামলা ও হত্যাকান্ড।
তিনি বলেন, মুম্বাই হামলা যে পাকিস্তান সেনাবাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-এর মদদেই হয়েছিল, সেটা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছেও আজ স্পষ্ট। তাই হামলার মূলচক্রী, লস্কর-এ-তৈয়বা (এলইটি)-র প্রধান হাফিজ সঈদ ও তার সঙ্গীদের স্বার্থ সুরক্ষিত রাখতে ব্যস্ত ইসলামাবাদ।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নিজস্ব প্রতিনিধি আমানুল্লাহ আমান / রাজশাহী। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.