মুন্নার বিষয়টি নিয়ে সকলেই অপেক্ষায়। ফাঁসিই কী তার শেষ পরিণতি? না অন্যকিছু

হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি: চুনারুঘাটের মুন্না৷ পুরো নাম ইশতিয়াক মুন্না৷ আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার আসামী। এই ইশতিয়াক মুন্নার নাম আবরার হত্যা মামলার এজহারে তালিকাভুক্ত ছিলো না। তদন্ত ও এজহারভুক্ত আসামীদের সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে পুলিশ মুন্নাকে গ্রেফতার করে। মুন্নার বাড়ী চুনারুঘাট উপজেলার ৬ নং ইউপি এর ঘরগাঁও গ্রামে ।

মুন্না বুয়েট ছাত্রলীগের গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক ছিলো। পাশাপাশি বুয়েট সাংবাদিক সমিতির ও সদস্য ছিলো। আবরার হত্যার আসামী ইশতিয়াক মুন্না চুনারুঘাটেও একটি সংগঠনের ছায়াতলে শিক্ষামূলক কর্মকান্ড করতো।

পুলিশ থেকে প্রাপ্ত তথ্য মতে, ইশতিয়াক মুন্না হত্যায় সরাসরি অংশ না নিলেও হত্যার দিক নির্দেশনা ও আবরার ফাহাদের উপর অমানবিক নির্যাতনের নির্দেশন ও ইন্দন যোগানদাতা হিসেবে সংশ্লিষ্টতা পায় পুলিশ। আবরার ফাহাদকে যে রাতে নির্যাতন করা হয় সে রাতে মুন্না তার বাড়ীতে বিয়ের অনুষ্ঠানে ছিলো। রাতারাতি বিয়ের অনুষ্ঠান সম্পন্ন না করেই মুন্না রাতেই ঢাকা চলে যায়। জন মানুষের প্রশ্ন ; ইন্দন দাতাদের অন্যতম ইশতিয়াক মুন্না রাতারাতি ঢাকা যাওয়ার অর্থ কী?

এমন বহু প্রশ্ন জড়িয়ে মুন্না কে ঘিরে। আবরার হত্যা মামলার বিচার কার্য শুরু হয় দ্রুততার সাথে। ইতোমধ্যে মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইবুনালে হস্তান্তর করা হয়েছে। নির্মমভাবে নির্যাতন করে হত্যা করা বুয়েটের ছাত্র আবরার এর মতো বিগত যে হত্যাকান্ডগুলো ঘটেছে বিশ্লেষণে দেখা গেছে অধিকাংশ আসামীর ই মৃত্যুদন্ডের রায় এসেছে।

বিষয়টি সম্পর্কে এক আইনজীবি বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন, আবরার হত্যা মামলা নিয়ে পত্রিকা বিশ্লেষণ করে যতটুকু জানলাম মুন্না মেসেঞ্জারের মাধ্যমে নাকি ইন্দন যুগিয়েছে ; বাকিটা পুলিশ সহ তদন্তকারী প্রতিষ্ঠান খুঁজে বের করবে। তবে সত্যিকার অর্থেই যদি মুন্না কোনোভাবে আবরার হত্যায় জড়িত থাকে তবে তার ফাঁসির রায় হওয়ার ই সম্ভাবনা বেশী কেননা যে কিলার রা এতে অংশ নেয় এর মধ্যে গোপনে অংশ নেওয়া কিলারদের প্রবণতা ও কেন্দ্রীকতাই অধিক বলে অনুমান করা যায়। বাকিটা তদন্ত স্বাপেক্ষে ব্যবস্থা হবে।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর হবিগঞ্জ প্রতিনিধি মোঃ জুনাইদ চৌধুরী। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.