মুখোমুখি ইরান-মার্কিন যুদ্ধজাহাজ, টানটান উত্তেজনা

(মুখোমুখি ইরান-মার্কিন যুদ্ধজাহাজ, টানটান উত্তেজনা–ছবি: সংগৃহীত)
বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: চলতি মাসের গোড়ার দিকে পারস্য উপসাগরীয় জলসীমায় মার্কিন ও ইরানীয় যুদ্ধজাহাজ মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছিল। এনবিসি নিউজ জানিয়েছে, কোস্টগার্ডের ২টি জাহাজকে তিন ঘণ্টা ধরে নাজেহাল করেছে ইরানি জাহাজ।
খুবই কাছ থেকে মার্কিন জাহাজের অগ্রভাগ ঘিরে রেখেছিল ইরানি জাহাজ। টানটান উত্তেজনার মধ্যে দুই পক্ষের সংঘাত লেগে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল।

গতকাল মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) মার্কিন নৌবাহিনীর বরাতে আল জাজিরা বলছে, পরমাণু চুক্তি ভেঙে যাওয়ার পর অঞ্চলটিতে চরম অস্থিরতার মধ্যে গেল এক বছরের এই প্রথম এমন কোনো ঘটনা ঘটেছে।

২ এপ্রিলের ওই ঘটনার ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) একটি জাহাজ যুক্তরাষ্ট্রের কোস্টগার্ডের মনোময় নৌযানকে সামনে থেকে বাধা দিয়েছে। এতে সেটি হঠাৎ বন্ধ হয়ে ইঞ্জিন থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছিল।

যুক্তরাষ্ট্রের কোস্টগার্ডের আরেকটি জাহাজ র‌্যাংগেলের সঙ্গে বিপ্লবী গার্ড বাহিনী একই কাজ করে। মার্কিন নৌবাহিনীর মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক পঞ্চম নৌবহরের মুখপাত্র রেবেকা রেবারিচ এসব তথ্য দিয়েছেন।

তবে এতে কোনো হতাহত কিংবা ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। আর ইরান তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনার কথা স্বীকারও করেনি।

রেবেকা বলেন, রেডিওর মাধ্যমে মার্কিন নাবিকরা বেশ কয়েকবার হুঁশিয়ারি সংকেত দিয়েছেন। ইরানি হার্থ ৫৫ থেকে যখন সাড়া দেওয়া হয়, তখনও তারা ঝুঁকিপূর্ণ কৌশল অব্যাহত রেখেছিল।

‘যুক্তরাষ্ট্র প্রায় তিন ঘণ্টা হুঁশিয়ারি সংকেত দিয়েছে এবং আত্মরক্ষামূলক অভিযান পরিচালনা করে। তখন ইরানি জাহাজ দূরে চলে যায় এবং দূরত্ব বজায় রাখে।’

আমেরিকান নৌবাহিনী জানায়, ২০২০ সালের ১৫ এপ্রিলের পর এটিই প্রথম ‘অনিরাপদ ও অপেশাদার’ ঘটনা।

২০১৮ সাল ও ২০১৯ সালের প্রায় পুরোটা সময় এরকম অঘটন বন্ধ রেখেছিল ইরান। ২০১৭ সালে ১৪টি, ২০১৬ সালে ৩৫টি এবং ২০১৫ সালে ২৩টি ঘটনা ছিল এ রকম। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.