মীমাংসার পর সাকিবকে বুকে জড়িয়ে ধরলেন সুজন

বিটিসি স্পোর্টস ডেস্ক: মুশফিকুর রহিমকে আউট না দেওয়ায় আম্পায়ারের ওপর চটে গিয়ে স্ট্যাম্পে লাথি মারেন সাকিব আল হাসান। এরপর মাঠ ছাড়ার সময় আবাহনী কোচ খালেদ মাহমুদ সুজনের সঙ্গেও বিবাদে জড়ান তিনি।
তবে জানা গেছে, ঝামেলা মিটিয়ে ফেলেছেন তারা।
ঘটনা ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) আজকের মোহামেডান-আবাহনী ম্যাচের। আবাহনীর ইনিংসের পঞ্চম ওভারে বোলিং করতে এসে মুশফিকের কাছে একটি করে চার-ছক্কা হজমের পর শেষ বলটা দারুণভাবে ভেতরে ঢুকিয়েছিলেন মোহামেডানের অধিনায়ক সাকিব। ব্যাটসম্যান মুশফিক পরাস্ত হন। এলবিডব্লিউর জোরালো আবেদন উঠলেও নাকচ করে দেন আম্পায়ার। সাদা চোখে সেটাকে এলবিডাব্লিউ বলেই মনে হয়েছিল। এরপর এক মুহূর্ত অপেক্ষা না করে ক্ষেপে গিয়ে লাথি মেরেই স্টাম্প ভেঙে ফেলেন সাকিব। পরের ওভার শেষে ফের স্টাম্প তুলে আছাড়ও মারেন।
পরের ওভারেই বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ হয়ে যায়। একসময় আম্পায়ারকে আঙুল তুলে শাসাতে দেখা যায় সাকিবকে। বৃষ্টি শুরু হওয়ায় সাকিবসহ বাকি ক্রিকেটাররা মাঠ ছাড়ছিলেন। ড্রেসিংরুমে ফেরার পথে সাকিবকে উদ্দেশ করে গালি দেন আবাহনীর কয়েকজন সমর্থক। সাকিবও তাদের পাল্টা গালি দেন। এ সময় আবাহনীর কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন সাকিবের এমন ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ মেনে নিতে পারেননি। তিনি রাগে গজগজ করছিলেন।
সাকিব যখন আবাহনীর সমর্থকদের বকা দিচ্ছিলেন, তখন তার দিকে তেড়ে যান সুজন। তখন সুজনের সঙ্গে সাকিবের কথা কাটাকাটি লেগে যায়। খালেদ মাহমুদ সুজন ভেবেছিলেন, সাকিব তাকে উদ্দেশ করে কটু কথা বলেছেন। কিন্তু সুজনকে পরে সাকিব বোঝানোর চেষ্টা করেন যে আবাহনীর সমর্থকরা গালি দেওয়ায় তিনি তাদের পাল্টা বলেছিলেন। সুজনকে কিছু বলেননি।
এরপর দুজনকেই নিজ নিজ দলের ক্রিকেটার ও স্টাফরা টেনে আলাদা করে। এরপর অবশ্য সাকিব আবাহনীর ড্রেসিংরুমে গিয়ে সুজনের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেন। গণমাধ্যমের কাছে আবাহনীর ম্যানেজার মাসুদ ইকবাল বলেছেন, ‘ঘটনার পর সাকিব আবাহনীর ড্রেসিংরুমে এসেছিল। সাকিব ক্ষমা চেয়েছে। ড্রেসিংরুমে সুজনও ছিলেন। দুজনই বুক মিলিয়েছেন, মীমাংসা হয়ে গেছে। ‘
এর আগে অবশ্য সমর্থকদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছেন সাকিব। ম্যাচ শেষে এক ফেসবুক পোস্টে সাকিব লেখেন, ‘মেজাজ হারিয়ে সবার জন্য, বিশেষ করে যারা বাসায় বসে খেলা দেখছিলেন তাদের জন্য ম্যাচটার বারোটা বাজানোয় আমি ভক্ত এবং সমর্থকদের কাছে আন্তরিকভাবে দুঃখিত।
আমার মতো একজন অভিজ্ঞ খেলোয়াড়ের এভাবে প্রতিক্রিয়া দেখানো মোটেই উচিত নয়, কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে অনেক সময় না চাইলেও এমনটা হয়ে যায়। আমি সব দল, ম্যানেজমেন্ট, টুর্নামেন্টের কর্মকর্তা এবং আয়োজক কমিটির কাছে এই ভুলের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করছি। আমি আশা করি, ভবিষ্যতে আর এমন কিছুর পুনরাবৃত্তি হবে না। ধন্যবাদ এবং সবার জন্য ভালোবাসা। ’ #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.