মিয়ানমারে বন্যায় শতাধিক মৃত্যু, নিখোঁজ বহু মানুষ

 

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মিয়ানমারে টাইফুন ইয়াগির পর দেখা দেওয়া বন্যা ও ভূমিধসে শতাধিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। দেশটির ক্ষমতাসীন জান্তার মুখপাত্র জাও মিন তুন রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) এক বিবৃতিতে বলেছেন, এই দুর্যোগে এখন পর্যন্ত ১১৩ জনের মৃত্যুর বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে। আরও অন্তত ৬৪ জন নিখোঁজ রয়েছেন। তবে অন্যান্য প্রতিবেদনে দাবি করা হচ্ছে, মৃতের প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে।
বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, মিয়ানমারে বন্যার কারণে ৩ লাখ ২০ হাজারের বেশি মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে হয়েছে।
চলতি বছরে এশিয়ার সবচেয়ে শক্তিশালী ঝড় ছিল ইয়াগি। এ মাসের শুরুর দিকে ভিয়েতনাম, লাওস, চীন এবং ফিলিপাইনে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালায় এই সুপার টাইফুন।
মিয়ানমারে প্রবেশেই আগেই ইয়াগির আঘাতে অন্তত ২৮৭ জনের মৃত্যু হয়েছিল বলে অনুমান করা হয়।
টাইফুনটি উত্তর ভিয়েতনামে প্রবেশ করার পর একটি গ্রীষ্মমণ্ডলীয় নিম্নচাপে পরিণত হয়। তবে এর প্রভাবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াজুড়ে প্রবল বৃষ্টিপাত এবং ভূমিধস অব্যাহত রয়েছে।
মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত দেশটিতে অন্তত ৩৭৫টি স্কুল, একটি মঠসহ প্রায় ৬৬ হাজার ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়ে গেছে। বন্যায় ভেসে গেছে কয়েক মাইল রাস্তা এবং অন্যান্য অবকাঠামো।
শুক্রবার পর্যন্ত ১৮৭টি আশ্রয়কেন্দ্রে ২ লাখ ৩৬ হাজারের বেশি মানুষকে ঠাঁই দেওয়া হয়েছে।
কয়েকটি মহলের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, মিয়ানমারে বন্যায় মৃতের প্রকৃত সংখ্যা সরকারি পরিসংখ্যানের চেয়েও অনেক বেশি। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সম্প্রচারমাধ্যম রেডিও ফ্রি এশিয়ার খবরে বলা হয়েছে, মিয়ানমারে অন্তত ১৬০ জন নিহত হয়েছেন।
ক্ষমতাসীন জান্তার অনুগত সোশ্যায় মিডিয়া অ্যাকাউন্টগুলোতে দাবি করা হচ্ছে, কেবল মান্দালয় অঞ্চলেই ২৩০ জন প্রাণ হারিয়েছেন।
জাপানের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম এনএইচকে জানিয়েছে, শনিবার পর্যন্ত মিয়ানমারে মৃতের সংখ্যা ১২০ জনের বেশি। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.