বিটিসি স্পোর্টস ডেস্ক: শুরুর একাদশে প্রথম পছন্দের ফরোয়ার্ডদের কেউ নেই। তবুও গোলের জন্য এক বিন্দু ভাবতে হলো না কার্লো আনচেলত্তিকে। শক্তি, সামর্থ্যে যোজন যোজন পিছিয়ে থাকা দেপোর্তিভা মিনেরাকে উড়িয়ে দিল রেয়াল মাদ্রিদ।
কোপা দেল রের শেষ ৩২ এর ম্যাচে সোমবার রাতে ৫-০ গোলে জিতেছে ইউরোপের সফলতম দলটি। জোড়া গোল করেছেন আর্দা গিলের, একটি করে লুকা মদ্রিচ, ফেদে ভালভের্দে ও এদুয়ার্দো কামাভিঙ্গা।
খেলা সম্প্রচারের জন্য অবকাঠামোগত সুবিধা না থাকায় নিজেদের মাঠে খেলতে পারেনি মিনেরা। বিকল্প হিসেবে বেছে নেয় কার্তাহোনোভা স্টেডিয়ামকে।
স্প্যানিশ ফুটবলে চতুর্থ স্তরের দলের বিপক্ষে যেমন খেলার কথা তেমনটাই খেলেছে রেয়াল। শুরু থেকে টানা আক্রমণ করে গেছে স্পেন ও ইউরোপের চ্যাম্পিয়নরা।
তৃতীয় মিনিটে প্রথম সুযোগ পায় রেয়াল। এন্দ্রিকের শট ফিরিয়ে দেন মিনেরা গোলরক্ষক ফ্রান্সিসকো মার্তিনেস। দুই মিনিট পর কিছুই করার ছিল না তার। ব্রাহিম দিয়াসের ক্রস ডি-বক্সে মিনেরার একজন খেলোয়াড় ঠিকঠাক ফ্লিক করতে ব্যর্থ হলে বল পান ভালভের্দে। অনায়াসে জাল খুঁজে নেন তিনি।
আক্রমণাত্মক ফুটবলে চতুর্থ স্তরের দলটিকে প্রবল চাপে রাখা রেয়াল ব্যবধান দ্বিগুণ করে ত্রয়োদশ মিনিটে। শুরুতে কামাভিঙ্গার জোরাল শট ঠেকিয়ে দেন মিনেরা গোলরক্ষক। তবে ফ্রান গার্সিয়ার ক্রসে ফের সুযোগ পেয়ে দারুণ হেডে ঠিকানা খুঁজে নেন ফরাসি মিডফিল্ডার।
২৮তম মিনিটে স্কোরলাইন ৩-০ করে ফেলেন গিলের। ভালভের্দের কাছ থেকে বল পেয়ে জায়গা করে নিয়ে শট নেয় তুরস্কের তরুণ এই ফরোয়ার্ড। মিনেরার একজন খেলোয়াড়ের পায়ে লেগে দিক পাল্টে বল জড়ায় জালে।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ফাঁকা জায়গায় বল পেয়েও দুর্বল শট নিয়ে হতাশ করেন এন্দ্রিক। ৫৩তম মিনিটে দিয়াসের শট ফেরে পোস্টে লেগে। দুই মিনিট পর ঠাণ্ডা মাথার ফিনিশিংয়ে ব্যবধান আরও বাড়ান মদ্রিচ।
৬২তম মিনিটে এক সঙ্গে চারটি পরিবর্তন আনেন আনচেলত্তি। দল ৪-০ গোলে এগিয়ে থাকার পরও বদলি নামান কিলিয়ান এমবাপে, ভিনিসিউস জুনিয়রদের।
৭৩তম মিনিটে এমবাপের শট ফেরে গোলরক্ষক মার্তিনেসের পেটে লেগে। পাঁচ মিনিট পর লুকাস ভাসকেসের শট ঠেকিয়ে দেন তিনি।
৮১তম মিনিটে ঝাঁপিয়ে দারুণ দক্ষতায় এন্দ্রিকের বাঁকানো শট কর্নারের বিনিময়ে ঠেকিয়ে দেন মার্তিনেস। এর কয়েক সেকেন্ড আগে গোলমুখে চমৎকার ক্রস পেয়েও খুব ভালো সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি ভিনিসিউস।
৮৮তম মিনিটে নিজের দ্বিতীয় ও দলের পঞ্চম গোলটি করেন গিলের। গার্সির নিখুঁত ক্রসে স্রেফ একটা টোকা দেন তুর্কি ফরোয়ার্ড। বড় জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে রেয়াল। #
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.