মা-বোন হিসেবে দিন কাটানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন জেসিন্ডা আরডার্ন

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মাত্র ৩৭ বছর বয়সে প্রধানমন্ত্রী হয়ে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন জেসিন্ডা আরডার্ন। বিশ্বে সবচেয়ে অল্পবয়সী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ২০১৭ সালে দায়িত্ব নেন তিনি।
টানা ছয় বছর নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন জেসিন্ডা আরডার্ন। অশ্রুসিক্ত হয়ে হঠাৎ দায়িত্ব থেকে তার অব্যাহতির ঘোষণা অবাক করেছে গোটা বিশ্বকে।
বয়স অল্প হলেও জ্ঞান-গরিমায় অভিজ্ঞতার পরিচয় দেন জেসিন্ডা। করোনাকালে নিউজিল্যান্ডের নেতৃত্ব দিয়েছেন জেসিন্ডা। বিশ্বের সবচেয়ে কঠিন মুহূর্ত ছিল করোনার সময়কাল। এই কঠিন সময়ে নিষ্ঠা ও দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়েছেন ৪২ বছর বয়সি এই নারী।
প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কাটানো শেষদিনে আবেগাপ্লুত এক ভাষণে তার প্রতি নিউজিল্যান্ডবাসীর দেখানো উদারতা ও সহানুভূতির কথা উল্লেখ করে জেসিন্ডা অরডার্ন বলেছেন, তিনি এখন মা ও বোন হিসেবে দিন কাটানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
পদ থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণা দেওয়ার কয়েকদিন পর মঙ্গলবার রাজধানী ওয়েলিংটনের উত্তরে ছোট্ট শহর রাতানায় রাজনীতিক ও মাউরি বয়োজ্যেষ্ঠদের এক জমায়েতে হাজির হন জেসিন্ডা।
সেখানে দেওয়া বক্তৃতায় নিউজিল্যান্ডবাসীকে তাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সুযোগ দেওয়ায় ধন্যবাদ জানান।
কমিউনিটি গ্রাউন্ডে যাওয়ার আগে তিনি গণমাধ্যমের মুখোমুখি হলেও রাজনৈতিক কোনো প্রশ্নের উত্তর দিতে রাজি হননি।
জেসিন্ডা অরডার্ন বলেন, অনেক কিছুর জন্য প্রস্তুত হচ্ছি আমি। আমি সাংসদ হওয়ার জন্য প্রস্তুত। বোন, মা হিসেবে দিন কাটনোর জন্যও প্রস্তুত।
২০১৯ সালে যখন অস্ট্রেলিয়ায় দুটি মসজিদে হামলায় ৫১ জন মুসলিমকে হত্যা করা হয় তখনো তার বলিষ্ঠ নেতৃত্বের পরিচয় পাওয়া যায়। তখন জাতির উদ্দেশে ভাষণ দানকালে সন্ত্রাসীদের নামও উচ্চারণ করেননি জেসিন্ডা। মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রতি ব্যাপক সমবেদনাও প্রকাশ করেছেন এই নেত্রী। এর মাধ্যমে ধর্মীয় ভেদাভেদের ঊর্ধ্বে উঠে সাম্যবাদের পরিচয় দিয়েছেন জেসিন্ডা।
আসছে ৭ ফেব্রুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব শেষ হবে তার। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সরে দাঁড়ালেও নিউজিল্যান্ডবাসীর জন্য অনুপ্রেরণার ঝুলি রেখে যাচ্ছেন তিনি। তার যোগ্য, সদয় নেতৃত্ব চিরকাল স্বরণ রাখবে নিউজিল্যান্ডবাসী। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.