মালদ্বীপে ইসরাইলিদের প্রবেশ নিষিদ্ধ

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মালদ্বীপে ইসরাইলি নাগরিকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি অব্যাহত হামরার প্রতিবাদে দ্বীপ দেশটি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
প্রেসিডেন্টের অফিস রোববার এক বিবৃতিতে জানায়, ‘প্রেসিডেন্ট ড. মোহাম্মদ মুইজ্জু মন্ত্রিসভার সুপারিশ অনুসরণ করে ইসরাইলি পাসপোর্টের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন।’
এই সিদ্ধান্তের মধ্যে মালদ্বীপে ইসরাইলি পাসপোর্টধারীদের প্রবেশ বন্ধে প্রয়োজনীয় আইন সংশোধন এবং এসব প্রয়াসে নজরদারি করার জন্য একটি মন্ত্রী পরিষদ সাব-কমিটি গঠন করার কথাও রয়েছে।
ওই নিষেধাজ্ঞা ছাড়াও মুইজ্জু ফিলিস্তিনিদের প্রয়োজন মূল্যায়নের জন্য একজন বিশেষ দূত নিয়োগ করবেন, ফিলিস্তিনি উদ্বাস্তু-বিষয়ক জাতিসঙ্ঘ সংস্থার (ইউএনআরডব্লিউএ) সহায়তার লক্ষ্যে তহবিল সংগ্রহ কার্যক্রম শুরু করবেন।
মালদ্বীপের এই সিদ্ধান্তের পর ইসরাইলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইসরাইলের এবং সেইসাথে অন্যান্য দেশের নাগরিকদের মালদ্বীপ সফর এড়ানোর সুপারিশ করেছে।
ইসরাইল একইসাথে মালদ্বীপ ত্যাগ করার জন্য নাগরিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছে, তারা সেখানে বিপদে পড়লে তাদের সহায়তা করা কঠিন হবে।
গত বছর মালদ্বীপের বিলাসবহুল পর্যটন হটস্পটগুলোতে প্রায় ১১ হাজার ইসরাইলি সফর করেছে। মালদ্বীপের মোট পর্যটকের মধ্যে ইসরাইলিদের হার ছিল ০.৬ ভাগ।
উল্লেখ্য, মালদ্বীপে ইসরাইল-বিরোধী ভাবাবেগ বাড়তে থাকায় ইসরাইল গত ডিসেম্বরেই দেশটি সফর করার ব্যাপারে তার নাগরিকদের সতর্ক করে দিয়েছিল।
মালদ্বীপ ১৯৭৪ সালে ইসরাইলের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে। এরপর থেকে দুই দেশের মধ্যে কোনো কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই। তবে ১৯৯০-এর দশকে ইসরাইলি পর্যটকদের ওপর থেকে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেয় দ্বীপ দেশটি। ২০১০ সালে সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠার উদ্যোগও নেয়। তবে ২০১৪ সালে ওই চেষ্টা বাতিল করা হয়।
ইসরাইল ৭ অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকায় হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। এতে ৩৬ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। নিহতদের বেশিভাগই নারী ও শিশু। এছাড়া আহত হয়েছে ৮২ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি। ইসরাইলি হামলায় গাজার বেশিভাগ এলাকা ধ্বংস্তুপে পরিণত হয়েছে।
আন্তর্জাতিক বিচার আদালত গণহত্যার জন্য ইসরাইলকে অভিযুক্ত করেছে। তবে তার সত্ত্বেও ইসরাইল হামলা অব্যাহত রেখেছে। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.