মার্টিনেজের সেই কাণ্ডে পরিবর্তন আসছে পেনাল্টি নিয়মে

বিটিসি স্পোর্টস ডেস্ক: গেল কাতার বিশ্বকাপে দীর্ঘ ৩৬ বছর পর ট্রফি জিতেছে আর্জেন্টিনা। এ বিশ্বকাপ জয়ে দলের অন্যতম প্রধান কারিগর হিসেবে কাজ করেছে গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজ।
তবে এ জয়ের পর থেকে নানারকম বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের জন্য সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে তাকে। এছাড়া তার বিরুদ্ধে ফিফার কাছে অভিযোগও করেছে ফাইনালে প্রতিপক্ষ দল ফ্রান্স।
আন্তর্জাতিক ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা এখন পর্যন্ত মার্টিনেজের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নিলেও, নতুন একটি সিদ্ধান্ত হাতে নিতে যাচ্ছে। আলবিসেলেস্তাদের এই গোলরক্ষকের জন্যই পেনাল্টি নিয়মে বড়সড় পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে ফিফা। কারণ ফাইনালে মার্টিনেজের ছলে বলে কৌশলে পেনাল্টিতে ফ্রান্সকে হারিয়েছে আর্জেন্টিনা। ফ্রান্সের পেনালটি টেকারদের সঙ্গে ‘মানসিক খেলা’ খেলে জিতে নিয়েছে ম্যাচটি।
পেনাল্টির সময় গোলবারে দাঁড়িয়ে পেনাল্টি টেকারকে বিভ্রান্ত করতে খুব পটু মার্টিনেজ। এর আগেও তিনি ক্লাব ফুটবলে কিংবা কোপা আমেরিকায় তা প্রদর্শন করেছেন। তবে বিশ্বকাপের ফাইনালের মতো বড় আসরে এ কাজ করায় নজরে পড়েছে ফিফার।
জানা গেছে আগামী মার্চেই লন্ডনে বোর্ড মিটিং রয়েছে আন্তর্জাতিক এফএ বোর্ডের। সেখানে লিখিতভাবে ফিফার নিয়মে বদল আনা হতে পারে। কোনোভাবেই স্পোর্টসম্যানশিপ স্পিরিটের বাইরে গিয়ে গোলকিপার পেনাল্টি-টেকারকে বিভ্রান্ত না করতে পারেন, সেই বিষয়টি নিয়েই আলোচনা করা হবে।
সম্প্রতি ইংলিশ সংবাদমাধ্যম ‘দ্য সান’ এক বিবৃতিতে জানায়, ‘মার্টিনেজের এসব কাজ মেনে নিতে পারছে না ফিফা। ভবিষ্যতে যাতে কেউ এমনটা না করতে পারে সে কারণে এখন থেকেই নড়েচড়ে বসছে আন্তর্জাতিক ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।’
এর আগে বিশ্বকাপ ফাইনালে মুখোমুখি হয় আর্জেন্টিনা এবং ফ্রান্স। এ ম্যাচে নির্ধারিত এবং অতিরিক্ত সময়ে দুই দলের গোলের সংখ্যা সমান হওয়ায় খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে। সে সময় মার্টিনেজ তার মানসিক খেলা শুরু করে। ফ্রান্সের ফরোয়ার্ড ভাগের খেলোয়াড় কিংসলে কোমানের ফোকাস নড়িয়ে দেওয়ার জন্যই তিনি তাকে অপেক্ষা করিয়ে রাখেন। রেফারির সঙ্গে কথা চালিয়ে যান।
বারবার রেফারিকে বলতে থাকেন, বল ঠিকমতো জায়গায় বসানো হচ্ছে কিনা, তা যেন রেফারি খেয়াল রাখেন। এছাড়া এসময় তার মানসিক খেলার শিকার হন রিয়েল মাদ্রিদে খেলা অরেলিয়েন চুয়ামেনি। শট নেওয়ার ঠিক আগেই মার্টিনেজ বল তুলে দূরে ছুড়ে ফেলেন। এই ট্যাকটিক্সই শেষমেশ আর্জেন্টিনাকে কাপ জিতিয়ে দেয়। কারণ ফ্রান্সের হয়ে পেনাল্টি নিতে এসে চুয়ামেনি এবং কিংসলে কোমান দুজনেই মিস করে বসেন। পেনাল্টিতে শেষমেশ আর্জেন্টিনা ৪-২ গোলে জয়লাভ করে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.