মামলা নেয়নি পুলিশ: ন্যায় বিচার নিয়ে শংকায় পরিবার

পঞ্চগড় প্রতিনিধি: পঞ্চগড়ে জমিসংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে এক বৃদ্ধাকে বেধরক মারধরের ঘটনায় মামলা নেয়নি থানা পুলিশ। পরে আদালতের দ্বারস্থ হলেও ন্যায় বিচার নিয়ে শংকায় রয়েছে অসহায় বৃদ্ধার পরিবার।
ভুক্তভোগি বৃদ্ধার নাম মোছাঃ কবিতন। তিনি আটোয়ারী উপজেলার তড়িয়া ইউনিয়নের বগলাপাড়া এলাকার আতাবর রহমানের স্ত্রী।
গত ২৬ মে সকালে একই এলাকার রবিউল ইসলামের পরিবার কর্তৃক মারধরের শিকার হন ওই বৃদ্ধা। একই সময় বৃদ্ধার ছেলে কামরুল ইসলামকেও মারধর করেন অভিযুক্তরা। পরে পুলিশের জরুরি সেবা ৯৯৯ ফোন করলে পুলিশ গিয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় বৃদ্ধাকে উদ্ধার করেন এবং চিকিৎসার জন্য আটোয়ারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠান। সেখানে অবস্থার অবনতি দেখে ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয় তাকে।
এ ঘটনায় জড়িত ৭ জনকে অভিযুক্ত করে ওই দিনই আটোয়ারী থানায় এজাহার নিয়ে যান ভুক্তভোগি বৃদ্ধার স্বামী আতাবর রহমান। তবে অজ্ঞাত কারণে এজহার নেননি থানার ওসি। পরে বাধ্য হয়ে ঘটনার ৪ দিন পর আদালতের শরনাপন্ন হন তিনি। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আটোয়ারী থানা পুলিশকে।
এদিকে, ঘটনার ৯ দিন পর একই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আটোয়ারী থানায় মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগিদেরই প্রতিপক্ষ রবিউল।
যেই পুলিশ ভুক্তভোগির এজাহার নেননি, সেই পুলিশ প্রতিপক্ষের মিথ্যা অভিযোগ গ্রহণ করায় ন্যায় বিচার নিয়ে শংকিত বৃদ্ধার পরিবার। আদালতের মামলার তদন্তেও পুলিশ পক্ষপাত করবেন বলেও শঙ্কিত তারা।
বৃদ্ধার স্বামী আতাবর রহমান বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই আমার বড় ভাই ইউসুফ আলী এবং তার ছেলে রেজাউল এবং রমজানদের সঙ্গে আমার বিরোধ চলছে। সেই বিরোধের জন্যই আমার স্ত্রীকে তুচ্ছ কারণে বেধরক মারধর করে তারা।
পরে স্থানীয় বারঘাটি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের কয়েকজন পুলিশ সদস্য এসে আমার স্ত্রীকে উদ্ধার করেন।তিনি বলেন, এঘটনায় ন্যায় বিচার পেতে এজহার নিয়ে থানায় গিয়েছিলাম, কিন্তু পুলিশ আমার মামলা নেয়নি। এখন আদালতে মামলা করার পর পুলিশ আমাদের বিরুদ্ধে মামলা নিয়েছে। আমি গরীব, আমার টাকা পয়সা নেই, তাই বলে কি ন্যায় বিচার পাবোনা।
বারোঘাটি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপ-পরিদর্শক জাকিরুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনার দিন সেখানে গিয়ে দেখি, ঝড়ে পড়া একটি গাছ নিয়ে যাওয়াকে কেন্দ্র করে বয়স্ক এক মহিলাকে ঘরে আটকে রাখা হয়েছ, আমরা তাকে উদ্ধার করি। সে সময় মহিলার পায়ে আঘাত থেকে রক্ত ক্ষরণ হলে তার পরিবারকে হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শও দেই।
এ বিষয়ে আটোয়ারী থানার অফিসার ইনচার্জ সোহেল রানা জানান,আমি দুই পক্ষকে বসে বিষয়টি আপোষ করার সময় দিয়েছিলাম কিন্তু এর মধ্যেই তারা আদালতে মামলা করেছেন।
একপক্ষের মামলা না নিয়ে ঘটনার ৯ দিন পর অপর পক্ষের মামলা নেয়ার বিষয়ে সদোত্তর দিতে পারেননি তিনি।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর পঞ্চগড় প্রতিনিধি শেখ সম্রাট হোসাইন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.