মামলায় নিজেকে রক্ষায় পালিয়ে থেকে সেই পল্লী চিকিৎসক রাজ্জাক নিরীহ পরিবারের লোকজনকে ফাঁসাতে মরিয়া হয়ে উঠেছে

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: অসহায় নিরীহ পরিবারের উপর হামলা চালিয়ে মহিলাসহ কয়েকজনকে আহত করে বাড়ি ঘরে ভাংচুর ও লুটপাটের মামলার প্রধান আসামী সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের সেই বিতর্কিত পল্লী চিকিৎসক রাজ্জাক পালিয়ে থেকে নিজেকে মামলা থেকে রক্ষা করতে ও নিরীহ পরিবারের লোকজনকে ফাঁসাতে মরিয়া হয়ে উঠেছে।
সে ভাড়া করা লোকজন দিয়ে মানবন্ধন ও থানা পুলিশে চাঁপ সৃষ্টি সহ নানা ফন্দি আঁটছে নিরীহ একটি পরিবারের লোকজনকে ফাঁসাতে। সম্প্রতি সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলা উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের এক নিরীহ পরিবারের উপর হামলা চালিয়ে ঘরবাড়ি ভাংচুর ও আহত করে পল্লী চিকিৎসক রাজ্জাক মিয়া ও তার ভাই,বাতিজাসহ তার ১০-১৫ জনের একটি লাঠিয়ালবাহিনী।
এর প্রতিবাদে বিচার প্রত্যাশী হয়ে তাহিরপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করার পর হুমকি ও ভয়ভীতিদেখানোসহ নানান ভাবে নিজেকে বাচাঁতে এলাকা ছেড়ে গোপনে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
জানা যায়,উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের বাদারগড় গ্রামের শাহ আলমের বাড়ির সামনে পল্লী চিকিৎসক রাজ্জাকের ভাই ও বাতিজাকে আতশবাজি ফোটাতে নিষেধ করার তার কিছুক্ষণ পরেই বালিয়াঘাট (বাদারঘড়) গ্রামের রশিদ মিয়ার ছেলে পল্লী চিকিৎসক রাজ্জাক মিয়া (৩৫), নুরু মিয়া (৪২),কদ্দুস মিয়া (৩৭), শহিদ মিয়া (৩৯), নুরু মিয়ার ছেলে সুজন মিয়া (২৫), সোহাগ মিয়া (২১), শহিদ মিয়ার ছেলে আলামিন (২০) ও শান্ত মিয়া (১৮) একত্রিত হয়ে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে শাহ আলমের বসত ঘরে হামলা চালিয়ে ৫জনকে আহত করে ও বাড়ি-ঘর ভাংচুরসহ ৫০ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়।
এঘটনা মামলা দায়েরের পর নড়েছড়ে বসে পল্লী চিকিৎসক রাজ্জাক। চেষ্টা চালায় পুলিশ প্রশাসনের নিজের স্বার্থে ব্যবহার করতে কিন্তু কোন কাজ না হওয়ার পর এখন মানববন্ধন সহ উল্টো ফাঁসাতে তৎপর হয়ে উঠেছে ।
এছাড়াও রাজ্জাক পল্লী চিকিৎসার আড়ালে বিভিন্ন পত্রিকার সাংবাদিক নাম ব্যবহার করে এলাকায় নিজের প্রভাব বিস্তার করে নিরীহ মানুষকে দীর্ঘ দিন ধরেই কাউকে মাদক ব্যবসায়ী আবার কখনও চোরাচালানসহ নানান ভাবে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশিত করে হয়রানী করে আসছে। এরপরও প্রশাসন কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় এলাকাবাসীর মাঝে চরম ক্ষোব বিরাজ করছে।
উল্লেখ্য,পল্লী চিকিৎসক আব্দুর রাজ্জাকের চোরাচালান ও তার সোর্স কালাম,আব্দুল আলী ভান্ডারীসহ আরো ৮-১০জন সোর্সকে নিয়া সাংবাদিক পরিচয় দারী রাজ্জাক চোরাচালান,চাঁদাবাজি,মাদক ব্যবসা করাসহ পুলিশ,বিজিবি ও সাংবাদিকদের নাম ভাংগাইয়া চাঁদাবাজি করে কোটি টাকার মালিক হয়েছে রাজ্জাক।
দুদক থেকে তদন্ত করলে সব প্রমান মিলবে। তার চাঁদাবাজির অত্যাচারে সবাই অতিষ্ট। রাজ্জাকের সোর্স কালাম মিয়া ইয়াবাসহ ধরা পড়ে জেলে যাওয়ার পড় তার সহযোগী লোকজনকে নিয়ে অবৈধ টাকা দিয়া সব দামা চাপা দিতে চাইছে। আর চোরাই কয়লা ভর্তি নৌকাসহ বিজিবি,রাজ্জাকের ভাই আব্দুল কদ্দুসকে গ্রেফতার করার পর বালিয়াঘাট বিজিবি ক্যাম্প কমান্ডার আক্তারুজ্জামান বাদী হয়ে পল্লী চিকিৎসক আব্দুর রাজ্জাক ও আব্দুল কুদ্দুসসহ তার আরও ৪ ভাইকে আসামী করে ১৯৭৪ইং সানের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৫বি ধারায় তাহিরপুর থানায়-মামলা নং-৯,তারিখ-১৯/০৯/২০০৭ইং ( জিআর-১৫৮/২০০৭) দায়ের করেন।
পরে তাহিরপুর থানার এসএই নারায়ন তদন্ত করে মামলাটি বিশেষ টাইব্যুনাল মামলা নং-৬/২০০৮ইং হিসেবে আদালতে পাঠায় ।
এছাড়া নাজমা বেগম নামের এক মহিলাকে নির্যাতন ও তার কাছে ১লক্ষ ২০হাজার টাকা চাঁদাবাজির ঘটনায় রাজ্জাকের নামে আদালতে বাংলাদেশ দন্ডবিধি আইনের-৪৪৮/৩৮৫/৩৮০/৪২০/৪২৭/৩২৩/৩৫৪/৩৪ধারায় মামলা দায়ের করা হয়।
এছাড়াও রাজ্জাকের বিরুদ্ধে হামলা,লুটপাট,চাঁদাবাজিসহ একাধিক মামলাও রয়েছে। তাহিরপুর থানার (ওসি) মোহাম্মদ আতিকুর রহমান বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানান, মামলার আসামী ও হামলাকারীরা নিরীহ পরিবারের লোকজনের বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসায়ী হিসাবে গুজব রটিয়ে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করিয়েছে এমনকি চতুর রাজ্জাক নিজেকে ও মামলার অন্য আসামীদের রক্ষায় নানা মুখী অপতৎপরতার পাশাপাশী কাউন্টার মামলা নিতে থানা পুলিশের উপর চাঁপ সৃষ্টি করে আসছে। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.