মানুষ আর আওয়ামী লীগকে বিশ্বাস করে না তারা গণশত্রুতে পরিনত হয়েছে : মীর্জা ফখরুল

রংপুর ব্যুরো:  শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গণতন্ত্র লুট হওয়ায় মানুষ আর আওয়ামীলীগকে বিশ্বাস করে না, তারা দেশের মানুষের গণশত্রুতে পরিনত হয়েছে দাবি করে বিএনপি মহাসচিব এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, অবিলম্বে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও ফলাফল বাতিল করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের মাধ্যমে জনগনের সরকার প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।

মানুষ একাদশ জাতীয় সংসদ নিবাচনের রাতে ভোট চুরি ও দিনে ডাকাতির ক্ষোভ এবং খুন গুম ধর্ষনের শোককে শক্তিতে পরিনত করে আন্দোলন মুখর হয়ে উঠেছে। এই আন্দোলন দুর্বার তরঙ্গে রুপ নিবে। আন্দোলনের মাধ্যমে আওয়ামীলীগ নামধারী এই গণশত্রুকে সরিয়ে দিতে হবে। অন্যদিকে জেএসডির সভাপতি ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম নেতা আসম আব্দুর রব বলেছেন, সারা বিশ্বে যদি ভোট ডাকাতির সেরা পুরস্কার দেয়া হয, তবে সেটা পাবেন শেখ হাসিনা। আর বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকি বলেছেন, শেখ হাসিনার গত ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচন সারা বিশ্বে সেরা ডাকাতির নির্বাচন হয়ে কলংকের ইতিহাস তৈরি করেছে। যদি আমরা নির্বাচনে না যেতাম তাহলে হাসিনা যে বিশ্বের সেরা ভোট ডাকাত তা প্রমান করা যেতো না।

সোমবার দুপুরে লালমনিরহাটের রাজপুর ইউনিয়নের খলাইঘাটে ৩০ ডিসেম্বর আওয়ামীলীগের তাহে নিহত ইউনিয়ন বিএনপির পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক তোজাম্মেল হোসেন স্মরণে প্রতিবাদ সমাবেশে তারা এসব কথা বলেন। ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি লিয়াক আলীর সভাপতিত্বে এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপি মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেএসডির সভাপতি আসম আব্দুর রব, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকি, ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিএনপির রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলু।

শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গণতন্ত্র লুট হয়েছে উল্লেখ করে আওয়ামীলীগের জন্য দু:খ প্রকাশ করে মির্জা ফখরুল বলেন, যে দলটি গনতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছে। যে দলটির নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে। তারাই এখন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গনতন্ত্রকে লুট করেছে। ডাকাতি করেছে। আর খালেদা জিয়া গনতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছেন। তাকে সাজানো মামলায় কারাগারে নেয়া হয়েছে।

আওযামীলীগ এখন গণশত্রুতে পরিনত হয়েছে উল্লেখ করে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামীলীগ রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি, ইউএনও, ডিসি, সেনাবাহিনী নিয়োগ করে তাদেরকে দিয়ে ভোটের রাতে সিল মেরে রাখে এবং ভোটের দিন আওয়ামীলীগের গুন্ডাবাহিনী প্রকাশ্যে ভোট ডাকাতি করেছে। এরমাধ্যমে তারা গণশত্রুতে পরিনত হয়েছে। জনগনের সেই মনের ভাষা আর মুখের ভাষা বোঝার ক্ষমতা আর আওয়ামীলীগের নেই।

কখনও হবেও না। আওয়ামীলীগ এখন গণশত্রুতে পরিনত হয়েছে। দেশের মানুষ একাদশ জাতীয় সংসদ নিবাচনের রাতে ভোট চুরি ও দিনে ডাকাতির ক্ষোভ এবং খুন গুম ধর্ষনেরশোককে শক্তিতে পরিনত করে আন্দোলন মুখর হযে উঠেছে।এই আন্দোলন দুর্বার তরঙ্গে রুপ নিবে। আন্দোলনের মাধ্যমে আওয়ামীলীগ নামধারী এই গণশত্রুকে সরিয়ে দিতে হবে।

উপস্থিত জনতার উদ্দেশ্যে মির্জা ফখরুল বলেন, যতই জুলুম হোক না কেন ঐক্যবদ্ধ থাকবেন। জনগনের ঐক্য এবং জাতীয় ঐক্য একত্রিত হয়ে এই আওয়ামীলীগ নামের এই দানব সরকারকে উত্খাত করা হবে। আমাদের আন্দোলন গনতন্ত্রকে উদ্ধার করার আন্দোলন। আমাদের আন্দোলন খালেদা জিয়াকে মুক্তির আন্দোলন। আমাদের আন্দোলন তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনার আন্দোলন।

আমাদের আন্দোলন খুন গুম ধর্ষনের শিকার হওয়া, মিথ্যা মামলায় কারাবন্দি ও নির্যাতিত মানুষকে মুক্তির আন্দোলন। আমাদের আন্দোলন দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ফিরিয়ে আনার আন্দোলন। ভোটের অধিকার ফিরিয়ে এনেএকটি সম্মৃদ্ধশালী সবার জন্য বাংলাদেশ গড়ার আন্দোলন। তাই অবিলম্বে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও ফলাফল বাতিল করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের মাধ্যমে জনগনের সরকার প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত আমাদের এই আন্দোলন চলবে।

খুন হওয়া বিএনপি নেতা তোজাম্মেল হোসেনকে গণতন্ত্রের জন্য শহীদ উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেনে, গত ৩০ ডিসেম্বর আওয়ামীলীগের তল্পিবাহক গুন্ডারা রাজপুরের তোজাম্মেল হককে হত্যা করেছে। তোজাম্মেল গনতন্ত্রের জন্য জীবন দিয়ে শহীদ হয়েছেন। এরকর আরও ২২ জন নেতাকর্মী শহীদ হয়েছেন। আওয়ামীলীগের গুন্ডারা ধানের শীষে ভোট দেয়ার জন্য নোয়াখালিতে এক গৃহবধুকে ধর্ষন করেছে। আমাদের এক যুবদলের নেতার স্ত্রীকে ধানের শীষে ভোট দেয়ার জন্য ধর্ষন করেছে।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামীলীগ পুলিশ ও প্রশাসনকে মানুষের প্রতিপক্ষ বানিয়েছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা ভোটের আগে জাতীয় ঐক্য তৈরি করেছিলাম। সেসময় মানুষের মধ্যে উচ্চাসের তরঙ্গ তৈরি হয়েছিল। মানুষ বেভেছিল ভোটাীধকার প্রয়োগ করে আওয়ামীলীগের ভয়াবহ শাসন থেকে মুক্তি পাবেন । কিন্তু মানুষ সেটা পারেন নি। জনগনের ভোটাধিকার অধিকার কেড়ে নিয়ে আওয়ামীলীগ নিজেদের নির্বাচিত গোষনা করেছে। তারা নিজেরাই নিজেদের জিতিয়ে নিয়ে এখন উত্সব করছে। গত ১০ বছরে দেশকে একটি বিভিষিকাময় পরিস্থিতি তেরি করেছে আওয়ামীলীগ।

মিথ্যা মামলা, গায়েবি মামলা দেয়া হচ্ছে। আওয়ামীলীগ এবং প্রশাসনের লোকজন বিভিন্ন লোকের কাছে টাকা দাবি করছেন, টাকা না দিলে তাদের গায়েবি মামলায় গ্রেফতার করা হচ্ছে। খুন গুম ধর্ষনের স্বর্গরাজ্য বানিয়েছে আওয়ামীলীগ। গত ১০ বছরের অনেক মা ও স্ত্রীরা রাত জেগে আশায় থাকেন কখন তাদের গুম হওয়ার স্বামী সন্তান আসবেন। সারাদেশে ৯৮ হাজার মামলা দেয়া হয়েছে। কমবেশি ২৬ লাখ নেতাকর্মী সাধারণ মানুষের নামে মামলা দেয়া হয়েছে। আওয়ামীলীগ ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনের মাধ্যমে পুলিশসহ প্রশাসনকে মানুষের প্রতিপক্ষ বানিয়ে দিয়েছে।

সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শেখ হাসিনা দুর্নীতি দুর করতে পারবেন না দাবী করে স্বাধীনতার প্রথম পতাকা উত্তোলনকারী আসম আব্দুর রব বলেন, শেখ হাসিনা ভোট ডাকাতির জন্য প্রশাসন এবং তার দলীয় গুন্ডাদের ঘুষ দিয়েছেন। সেকারনেই সরকারী কর্মকর্তাদের বলছেন আপনাদের অনেক দিয়েছি। আর দুর্ণীতি করা যাবে না। যে ব্যাক্তি ঘুষ দিয়ে ভোট ডাকাতি করে ক্ষমতায় যায়, তিনি কখনও দুর্নীতি দুর করতে পারেন না। সেকারণে শেখ হাসিনাও দুর্নীতি দুর করতে পারবেন না।

শেখ হাসিনা বিশ্বে ভোট ডাকাতির সেরা পুরস্কার পাবেন উল্লেখ করে জেএসডি সভাপতি আসম আব্দুর রব বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কোন ভোট হয় নি। ২৯ তারিখ রাতে চুরি হয়েছে। গত ৩০ তারিখ দিনের বেলা ভোট ডাকাতি হয়েছে। সারা বিশ্বে যদি ভোট ডাকাতির সেরা পুরস্কার দেয়া হয, তবে সেটা পাবেন শেখ হাসিনা। ধানের শীষে ভোট দিতে যাওয়ার অপরাধেই তোজাম্মেলকে খুন করা হয়েছে। তোজাম্মেল হত্যার বিচার করতে হবে। দোষিদের গ্রেফতার করতে হবে। বাংলার মটিতে এসব হত্যার বিচার হবেই।

সম্মিলিতভাবে ভোট ডাকাতদের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলার আহবান জানিয়ে রব বলেন, বাংলাদেশে ভোটের অধিকার নিশ্চিত না হলে কেউ শান্তিতে তাকতে পারবেন না। যে বিভিষিকাময় পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তা কখনও শেষ হবে না। রব বলেন, এককভাবে এই ভোট ডাকাতদের মোকাবেলা করা যাবে না। সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে গণতন্ত্রের স্বার্থে মানবসভ্যাতর স্বার্থে, আমাদের আগামী প্রজনেম্বর স্বার্থে এদের বিরুদ্ধে লড়াই অব্যাহত রাখতে হবে। আমরা লড়বো। মাঠ থেকে কখনও সরবো না।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে নির্বাচনে না গেলে শেষ হাসিনা যে বিশ্বের সেরা ভোট ডাকাত তা প্রমান করা যেতো না উল্লেখ করে বঙ্গবন্ধুর ঘনিস্ট সহচর বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেন, মুক্তিযুদ্ধ করে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করতে পেরেছি। এখনও আমি শেখ হাসিনার বাবা বঙ্গবন্ধুর জন্য জীবন দিতে পারি। কিন্তু তার কন্যা ৩০ ডিসেম্বর যে নির্বাচন করেছেন, তা সারা বিশ্বে সেরা ডাকাতির নির্বাচন হয়ে কলংকের ইতিহাস তৈরি করেছে। যদি আমরা নির্বাচনে না যেতাম তাহলে হাসিনা যে বিশ্বের সেরা ভোট ডাকাত তা প্রমান করা যেতো না। এখন সারা বিশ্বে এটি প্রমানিত হয়েছে। পুলিশ ভোজ সভা করার মাধ্যমে সেটার দলিল দিয়ে দিয়েছে। আওযামীলীগের মহা জয় নয় মহা পরাজয় হয়েছে।


আন্দোলনে জনগন বিজয়অ হবে উল্লে করে বঙ্গবরি বলেন, গত ৩০ ডিসেম্বর প্রহসনের নির্বাচনে তোজাম্মেল হোসেন খুন হয়েছেন। এই সরকার ভোটের রাতে চুরি করেছে। আর দিনে করেছে ডাকাতি। শেখ হাসিনার সরকার রাতে চোর, দিনে ডাকাত। আমরা পাকিস্তার হানাদার বাহিনীর সাথে যুদ্ধ করেছি। শেখ হাসিনার পুলিশ র‌্যাব বিজিবি তাদের থেকে বড় নয়। এখন আওয়ামীলীগ উৎসব করছে। এরপর সেটা কাল হয়ে দাড়াবে। মাঝখানে তারা জিরো হয়ে যাবে। আপনারা বিজয়ী হবে। জনগন বিজয়ী হবে।

সবায় ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, প্রতিবাদ সমাবেশে বিপুল পরিমান মহিলাদের উপস্থিতি প্রমান করেছে তারা ভোট না দিতে পেরে ক্ষুব্ধ। পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি ও প্রশাসনের লোকজনদেরকে দিয়ে যেভাবে ভোট ডাকাতি করা হয়েছে তা কলংকের ইতিহাস তৈরি করেছে। এর প্রতিবাদে আন্দোলন অব্যাহত রাখতে হবে। আন্দোলন ছাড়া কোন উপায় নেই।

এসময় রংপুর মহানগর বিএনপির সভাপতি মোজাফফর হোসেন, সেক্রেটারী শহিদুল ইসলাম মিজু, সহ সভাপতি এ্যডভোকেট রেজেকা সুলতানা ফেন্সি, জেলা সভাপতি সাইফুল ইসলাম, সেক্রেটারী রইচ আহমেদ, জেলা যুবদল সভাপতি নাজমুল আলম নাজু, লালমনিরহাট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান বাবলা, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রোকন উদ্দিন বাবলু, সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন লেমন, জেলা যুবদল সভাপতি জাহিদুল ইসলাম খোকন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সাত্তার, জেএসডির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও রংপুর জেলা সভাপতি আমিন উদ্দিন বিএসসি, সেক্রেটারী ডা. সাদেক আলী, হারাগাছ পৌরসভা সভাপতি শরিফুল ইসলামসহ কেন্দ্রীয় এবং রংপুর ওলালমনিরহাটের নেতৃবৃন্দ মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন।

প্রতিবাদ সমাবেশের আগে মির্জা ফখলরুল ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের নিয়ে নিহত তোজাম্মেলন হোসেনের কবরে ফাতেহা পাঠ শেষে মোনাজাতে অংশ নেন। পরে তারা নিহত তোজাম্মেল হোসেন ও আহতদের পরিবারের সাথে দেখা করে তাদের সমবেদনা জানান এবং আর্থিক অনুদান দেন।

প্রসঙ্গত: গত ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনের দিন লালমনিরহাট সদরের রাজপুর ইউনিয়নের পাগলাহাট সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্র ভোট দিতে গেলে স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান মোফাজ্জল হোসেন মোফার নেতৃত্বে ইউনিয়ন বিএনপির পরিবার পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক তোজাম্মেল হোসেনকে ছুড়ি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এসময় আরও ৯ জন আহত হন। এ ঘটনায় থানায় মামলা না নেয়ায় ইউপি চেয়ারম্যান মোফাসহ ৯ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে মামলা করেন নিহতের পুত্র মোস্তফা। কিন্তু এখন পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয় নি।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর রংপুর ব্যুরো প্রধান সরকার মাজহারুল মান্নান।#

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.