মানুষের ভালবাসায় জনপ্রিয়তার শীর্ষে চাঁপাইনবাবগঞ্জের সূর্য সন্তান পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম!

বিশেষ প্রতিনিধি: মানুষের প্রতি গভীর ভালবাসা আর মানবিকতার কারনেই জনপ্রিয়তার শীর্ষে স্থান করে নিয়েছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের সূর্যসন্তান মানবতার ফেরিওয়ালা বর্তমান কুমিল্লা জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম বিপিএম (বার) পিপিএম।

তিনি বাংলাদেশের অন্যতম একজন মেধাবী উদ্ধর্তন পুলিশ কর্মকর্তা, ত্যাগি ও পরোপকারী সাবেক ছাত্রনেতা, ঢাকাস্থ ‘চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা ছাত্র সমিতির’ প্রতিষ্ঠাতা ‘সৈয়দ নুরুল ইসলাম’ ১৯৭১ সালের পহেলা মার্চ আমের রাজধানী খ্যাত চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার পৌর এলাকার জালমাছমারি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।

তাঁর পিতা বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ কসিমুদ্দীন মিঞা এবং মাতা সৈয়দা গুলনাহার বেগম। চার ভাই ও এক বোনের মধ্যে তিনি পিতা-মাতার চতুর্থ সন্তান।

১৯৮৬ সালে লালমনিরহাট চিলড্রেন পার্ক উচ্চ বিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান শাখায় প্রথম বিভাগে এসএসসি, ১৯৮৮ সালে রাজশাহী কলেজ থেকে প্রথম বিভাগে এইচএসসি এবং ১৯৯১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কৃতিত্বের সাথে তিনি বি.এস.সি ও ১৯৯৩ সালে এম.এস.সি পাশ করেন। পরবর্তীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৯৭ সালে এম.এ.এস ডিগ্রী অর্জন করেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর থেকেই মূলত তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। ১৯৯০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) এর স্যার.এ.এফ রহমান হলের’ ক্রীড়া সম্পাদক, ১৯৯৪ সালে ‘স্যার.এ.এফ রহমান’ হল শাখার সভাপতি এবং ১৯৯৮ সালে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ তথা বাংলাদেশ ছাত্রলীগের জাতীয় কার্যকরী সংসদের সহ-পাঠাগার সম্পাদক নির্বাচিত হন সেই সময়ের তুখোর ও ত্যাগি ছাত্রনেতা ছিলেন ‘সৈয়দ নুরুল ইসলাম।

ছাত্র রাজনীতির পাশাপাশি সেই সময় তিনি বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের সাথেও জড়িত ছিলেন। ঢাকায় বসবাসরত চাঁপাইনবাবগঞ্জের অসংখ্য ছাত্র-ছাত্রীদের কল্যাণে ১৯৯৭ সালে ‘ঢাকাস্থ চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা ছাত্র সমিতি’ নামের একটি সংগঠন গড়ার উদ্যোগ নেন। ‘ঢাকাস্থ চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা ছাত্র সমিতির প্রতিষ্ঠাতা-আহ্বায়কের দায়িত্বও পালন করেন। এই সংগঠনের ব্যানারে তিনি সেই সময় শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন সমস্যার সমাধানসহ সকল প্রকার সহযোগিতা করেন।

২০তম বি.সি.এস (পুলিশ ক্যাডার) পাশ করে ২০০১ সালে তিনি বাংলাদেশ পুলিশের এ.এস.পি হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন।পরবর্তীতে ঢাকা মেট্রোপলিটিন পুলিশের কোতোয়ালী থানার সহকারী কমিশনার, রমনা বিভাগের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার, নারায়ণগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার (এস.পি), ঢাকার বিশেষ পুলিশ সুপার (এস.বি, ঢাকা)’সহ পুলিশ বিভাগের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন।

এছাড়াও ‘পুলিশ সুপার’ পদ মর্যাদায় বাংলাদেশ পুলিশের ওয়ারী বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ঢাকা) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন বাংলাদেশের অন্যতম উদ্ধর্তন পুলিশ কর্মকর্তা ‘সৈয়দ নুরুল ইসলাম’। এমনকি ময়মনসিংহ জেলায় পুলিশ সুপারের দায়িত্বও পালন করেন তিনি।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কতৃক পুলিশে’র সর্বোচ্চ সম্মাননার ব্যাচও ভূষিত হয়েছেন, জাতিসংঘের শান্তি রক্ষা মিশনে বহুদিন কাজ করেছেন তিনি। এ ছাড়াও সাহসিকতার জন্য বাংলাদেশ পুলিশের সর্বচ্চ পুরস্কার-সম্মাননা বিপিএম ও পিপিএম (বার) পদক অর্জন করেন সৈয়দ নুরুল ইসলাম।

এমনকি বাংলাদেশ পুলিশের ইতিহাসের সর্বকনিষ্ঠ ব্যক্তি হিসেবে বাংলাদেশ পুলিশ এ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচিত জেনারেল সেক্রেটারীর দায়িত্বও পালন করেন তিনি। বর্তমানে ‘পুলিশ সুপার’ পদ মর্যাদায় বৃহত্তর কুমিল্লা জেলায় পুলিশ সুপার হিসেবে সততার সহিত দায়িত্ব পালন করছেন দেশের অন্যতম উদ্ধর্তন পুলিশ কর্মকর্তা ‘সৈয়দ নুরুল ইসলাম।

উল্লেখ্য, সৈয়দ নুরুল ইসলাম ছাত্র জীবন থেকেই নিজের চেষ্টায় দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন। সর্বদা শুধু নিজের জন্য নয় জীবনের অধিকাংশ সময়টায় তিনি ব্যায় করে যাচ্ছেন সমাজের উন্নয়নের জন্য। তার চিন্তা-চেতনায় থাকে সবসময় মানুষের উন্নয়ন। সেই রকমই একজন দেশপ্রেমিক মানুষ হচ্ছেন, এই “মানবতার ফেরিওয়ালা ও মানবতার সেবক নামে পরিচিত “সৈয়দ নুরুল ইসলাম” তিনি সারাটা জীবন কাটিয়ে দিতে চান মানুষের কল্যাণে।

বিশেষত উত্তর অঞ্চলের রাজশাহী বিভাগ তথা চাঁপাইনবাবগঞ্জের বিভিন্ন পেশার জাতি-ধর্ম-বর্ন নির্বিশেষে সলকের জন্য তিনি নিবেদিত প্রাণ। তাইতো আজ এই মানুষের প্রতি ভালবাসা, ত্যাগ আর দেশপ্রেমের জন্য মানুষের হৃদয়ে গভীরে স্থান করে নেওয়ায় উঠে এসেছেন জনপ্রিয়তার শীর্ষে নিজের অজান্তেই।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর বিশেষ প্রতিনিধি রুহুল আমীন খন্দকার। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.