মানবিক পৌর মেয়র শাহনেওয়াজ আলী মোল্লা


বিশেষ (নাটোর) প্রতিনিধি: রুদ্র নীল নাটোর থেকে-করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাবের শুরু থেকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাতদিন কর্মহীন মানুষের ঘরে ঘরে ছুটছেন একজন মেয়র। সঙ্কটময় সময়ে পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের আনাচে কানাচে রাতদিন জনগণের পাশে থেকে খাদ্য ও সচেতনতা তৈরির কাজ করে যাচ্ছেন।

জীবাণুনাশক ওষুধ ছিটিয়ে দিচ্ছেন বাজারগুলোতে। ক্লান্তিহীন এ মানুষটি গুরুদাসপুর পৌরসভার মানবিক মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহনেওয়াজ আল্লী মোল্লা । তার এসব কাজে জনগণ থেকে আখ্যা পাচ্ছেন মানবিক মেয়র হিসেবে।সরকারী সাহায্যের পাশাপাশি পর্যাপ্ত খাদ্য সহায়তা দিয়েছেন । এছাড়া মেয়র শাহনেওয়াজ আলী মোল্লা ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে পৌরবাসীকে খাদ্য সহায়তা অব্যাহত রেখেছেন ।

করোনার প্রাদুর্ভাবে শুরুতেই জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু কন্যা মানীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে গুরুদাসপুর পৌরসভার মানবিক মেয়র শাহনেওয়াজ আল্লী মোল্লা সাহসিকতার সঙ্গে অসহায় মানুষের কাছে পৌঁছে দেন খাদ্যসামগ্রী। করোনার শুরুতেই হ্যান্ডবিল, মাস্ক, সাবান বিতরণ করেন। সড়কে জীবাণুনাশক স্প্রে ও স্থানে স্থানে সাবান-পানির ব্যবস্থা করেন। আবাসিক এলাকায় মশা নিধনের ওষুধ স্প্রে করেন।

লকডাউনে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ উপহারসহ ব্যক্তি উদ্যোগে ছয় হাজার পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দেন। প্রদান করেন ঈদ উপহার, গত ঈদুল ফিতরে সাড়ে সাত হাজার পরিবারের মধ্যে নিজ তহবিল থেকে প্রদান করেন সেমাই, চিনি এবং ঈদুল আজহায় প্রধানমন্ত্রীর সহায়তায় তিন হাজার পরিবারকে ১০ কেজি করে চাল দেওয়ার পাশাপাশি নিজ তহবিল থেকে আরো এক হাজার পরিবারকে ১০ কেজি করে চাল প্রদান করেন। এ ছাড়া ২৫ জুন থেকে পৌরসভায় চালু করেন ‘নো মাস্ক নো এন্ট্রি’ এবং পরবর্তী সময়ে ‘নো মাস্ক নো সেল’ কর্মসূচি চালু করেন। বাংলাদেশে এই পৌরসভায়ই প্রথম এই কর্মসূচি চালু করা হয়েছে বলে জানায় সচেতন মহল।

করোনা আক্রান্তের বাড়ি বাড়ি গিয়ে খাদ্য ও ফল পৌছে দেন। এবং সার্বক্ষণিক খোঁজখবর রাখায় পৌর এলাকায় ‘করোনাযোদ্ধা’র খেতাব পান মেয়র শাহনেওয়াজ আলী মোল্লা। পৌরবাসী তাকে ‘মানবতার ফেরিওয়ালা’ বলেও অভিহিত করেন।

মেয়র শাহনেওয়াজ আলী মোল্লা বলেছেন, আর্ত-মানবতার সেবার চেয়ে উত্তম কাজ আর নেই। যাদের মধ্যে মানবিক মূল্যবোধ কাজ করে তারাই প্রকৃত মানুষ। উপার্জন করা সম্পদ মানুষের কল্যাণে ব্যয় না হলে সেই সম্পদের কোনো মূল্য থাকে না। লেছেন, ত্যাগ স্বীকারই হলো রাজনীতি। ভোগ বা অর্থ-বিত্তের প্রতি লালসা রাজনীতি হতে পারে না। কি পেয়েছি, কি পেলাম না এই হিসাব-নিকাশ রাজনীতির জন্য অর্থহীন। কি দিতে পেরেছি, কি করতে পেরেছি এটাই হলো একজন রাজনীতিকের মূল আদর্শিক চেতনা।

নাটোর জেলার গুরুদাসপুর উপজেলার অন্তর্গত গুরুদাসপুর পৌরসভা  যাত্রা শুরু ২০০৫ সালে। ৯টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত পৌরসভার আয়তন ১১বর্গকিলোমিটার। ২০১৯ সালের মে মাসে পৌরসভাটি ‘ক’ শ্রেণিতে উন্নীত হয়।

গুরদাসপুর পৌরসভার দুইবার নির্বাচিত বর্তমান মেয়রের দায়িত্ব পালনের সময়ে পৌর এলাকায় সবচেয়ে বেশী দৃশ্যমান উন্নয়ন করেছেন। রাস্তাঘাট নির্মাণ ও সংস্কার, সড়কে বাতি স্থাপন, ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়নসহ অনেক কাজ হয়েছে।

জনগণের জীবনযাত্রা ও পৌর এলাকার নাগরিকসেবা নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি রাস্তাঘাট নির্মাণ, ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন, অধুনিক পৌরভবন, পৌরভার অভ্যন্তরে বিভিন্ন মসজিদ-মাদরাসা উন্নয়নে পৌরসভা ও নিজ তহবিল থেকে অর্থ প্রদান।

শিক্ষানুরাগী এ মেয়র  স্কুল,কলেজ,মাদরাসার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডসহ সার্বক্ষণিক শিক্ষক ও অভিভাবকদের সাথে সুসম্পর্ক রেখে ভালো ফলাফল করতে সহায়তা করছেন। এছাড়াও পৌরসভার অভ্যন্তরে যেসকল ছাত্র-ছাত্রী ভালো ফলাফল অর্জন করছেন তাদের শুভেচ্ছা জানাতে ফুল ও মিষ্টি নিয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে উপস্থিত হন। পৌরসভার রাজস্ব আদায় বৃদ্ধি করে ‘খ’ শ্রেণি থেকে ‘ক’ শ্রেণিতে উন্নীত করেন।

মেয়র শাহনেওয়াজ আলী মোল্লা বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন, গত দুই যুগেও যা হয়নি তা আমি মেয়র হওয়ার পর করেছি। দলমত নির্বিশেষে সবাই এখন উন্নয়নের সুফল ভোগ করছেন। নির্বাচনের সময় যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম তার প্রায় শতভাগ পূরণ করেছি। পৌরসভার মানন্নোয়ন করোনাভাইরাস প্রতিরোধে আমার এবং কাউন্সিলরদের আন্তরিকতার কমতি নেই।পৌর সভার জনগণের উন্নয়নের প্রত্যাশা অনুযায়ী চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ করে যাচ্ছি। তিনি আরো জানান, এ পৌরসভায় মাদক, ঘুষ, দুর্নীতি, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজদের কোনো স্থান নেই।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর বিশেষ (নাটোর) প্রতিনিধি মো. নাসিম উদ্দিন নাসিম। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.