মাদ্রাসার হুজুরের কান্ড ১০ বছরের শিশুকে শিকল দিয়ে বেধেরেখে পড়ানোর চেষ্টা
নিজস্ব প্রতিবেদক, নাটোর: নাটোরের গুরুদাসপুর থেকে মোছাঃ জিম নামের (১০) বছরের এক শিশুকে পায়ে শিকল পড়ানো অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।শুক্রবার গভীর রাতে শিশুটির কান্না শুনে তাকে উদ্ধার করে চাচকৈড় বাজার পাড়ার মানুষজন। পরে এলাকাবাসির সংবাদে গুরুদাসপুর থানা পুলিশ শিশু জিমকে পায়ে শিকল পড়া অবস্থায় উদ্ধার করে। জানাযায়, শিশু কন্যা জিম উপজেলার কাছিকাটা দক্ষিন পাড়া গ্রামের মৃতঃ আয়নুল হকের মেয়ে। তার মা তাকে পাশ্ববর্তী চলনালী গ্রামে একটি মাদ্রাসা পড়াশুনার জন্য ভর্তি করলে সে মাঝে মধ্যে মাদরাসা থেকে বাড়িতে পালিয়ে যেত। পালাতে যেন না পাড়ে সেজন্য মাদরাসা হুজুর ইয়ারুল শিশুটিকে শিকল পড়িয়ে রাখত।
শিকল পড়ানোর যন্ত্রনায় সইতে না পেরে গত রাত তিনটার দিকে সে পালিয়ে পৌর সদরের চাচকৈড় বাজার পাড়ার রাস্তায় কান্নাকাটি করতে দেখে এলাকাবাসি এগিয়ে এসে একটি বাড়িতে আশ্রয় দেয়। এই ঘটনায় মাদরাসার হুজুর ইয়ারুলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। মেয়েটির মা মিনিয়ারা বেগম জানান, তার মেয়ে পড়াশুনা অমনোযোগী। পড়তেই চায় না। তার জন্য মাদ্রাসার হুজুরকে বলেছিলাম শাসন করার জন্য। কিন্তু হুজুর যে এমন করবে বুঝতে পারি নাই। গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ দিলিপ কুমার দাস জানান, মেয়েটিকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। অভিযোগ পাইনি, পেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। #
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.