মাদারীপুরে ট্রলার থেকে তুলে নিয়ে দুই মাদ্রাসার ছাত্রীকে ধর্ষণ

মাদারীপুর প্রতিনিধি:  মাদারীপুরে ট্রলার থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে দুই মাদ্রাসার ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে পাশের এলাকার দুই বখাটের বিরুদ্ধে। গুরুতর অবস্থায় ওই দুই শিক্ষার্থীকে ভর্তি করা হয়েছে মাদারীপুর জেলা সদর হাসপাতালে। এদিকে এ ঘটনায় ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।

অভিযুক্ত ধর্ষণকারী বখাটে মাসুদ মোড়ল ও রুবেল মোল্লাকে আটক করেছে পুলিশ।

পুলিশ ও আহতের স্বজনরা জানান, গতকাল সোমবার (১৯ আগস্ট) সকালে মাদারীপুর শহরে নানার বাড়িতে বেড়াতে আসে পাঁচখোলা ইউনিয়নের জাজিরা দাখিল মাদ্রাসার ৬ষ্ট ও ৯ম শ্রেণির দুই শিক্ষার্থী। নানা বাড়িতে বেড়ানোর পরে শহরে কেনাকাটা করে পুরনো ট্রলারঘাট থেকে রাত ১০টার দিকে বাড়ির উদ্দেশ্যে ট্রলারে ওঠে তারা।

পরে ট্রলারে ওই দুই শিক্ষার্থী একা পেয়ে পাশের এলাকার মাসুদ মোড়ল ও রুবেল মোল্লা ট্রলার থামিয়ে কালিকাপুরের একটি পরিত্যক্ত গরুর খামারে নিয়ে যায়। পরে হত্যার হুমকি দিয়ে মুখ বেঁধে ওই শিক্ষার্থীদের পালাক্রমে ধর্ষণ করে বখাটে মাসুদ মোড়ল ও রুবেল মোল্লা।

একপর্যায়ে ওই দুই শিক্ষার্থী অসুস্থ্ হয়ে পড়লে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত ধর্ষণকারী বখাটেরা। ভোরে মুসল্লীরা নামাজ পড়তে বের হয়ে ওই দুই শিক্ষার্থীকে কাঁন্নাকাটি করা অবস্থায় দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ গিয়ে শিক্ষার্থীদের গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।

এ ঘটনায় দোষীদের বিচার দাবী করেছেন স্বজন ও এলাকাবাসী। শিক্ষার্থীর পরিবার জানান, অভিযুক্ত মাসুদ পাঁচখোলা এলাকার জলিল মোড়লের ছেলে ও রুবেল একই এলাকার নান্নু মোল্লার ছেলে। তাদের বিরুদ্ধে এর আগেও নারী নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে। দুটি মেয়ের এমন ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চান তারা।

মাদারীপুর সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত মেডিকেল অফিসার ডা. রিয়াদ মাহমুদ বিটিসি নিউজকে জানান, প্রাথমিকভাবে ওই দুই মাদ্রাসাছাত্রীর ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে। তাদেরকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। চিকিৎসা চলছে।

মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাওগাতুল আলম বিটিসি নিউজকে বলেন, ঘটনার পর অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত বখাটে মাসুদ মোড়ল ও রুবেল মোল্লাকে আটক করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের পরে আটক কৃতদের আদালতে প্রেরণ করা হয়। #

 

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.