মাদক মামলায় ১ বছরের সাজার ভয়ে ফকির বেশে মাজারে মাজারে ৮ বছর!

সিলেট ব্যুরো: মাদক মামলায় ২০১৫ সালে আদালত এক বছরের সাজা হয়েছিল সিলেট জেলার দক্ষিণ সুরমা উপজেলার পুরাতন রেলস্টেশন কলোনি (টেকনিক্যাল রোড) এলাকার মৃত নুরুল ইসলাম নাঈমের ছেলে কোখনের (৪৫)। সেই এক বছরের সাজার ভয়ে ৮ বছর ধরে মাজারে মাজারে ফকির বেশে আত্মগোপনে ছিলেন তিনি।
তবে শেষ রক্ষা হয়নি। শুক্রবার দিবাগত (১ সেপ্টেম্বর) রাত ৩টার দিকে কোখনকে চুনারুঘাট পৌরশহরের উত্তর বাজার থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পরে তাকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়।
জানা যায়, ২০১৫ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া এলাকায় মাদক পাচারকালে কোখনকে পুলিশ গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়। কিছু দিন কারাগারে থাকার পর জামিনে বেরিয়ে তিনি আত্মগোপনে চলে যান। পরবর্তী সময়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তার বিরুদ্ধে বিবাড়িয়া আদালতে অভিযোগপত্র দিলে আদালত আসামি কোখনকে দোষী সাব্যস্ত করে এক বছরের কারাদণ্ড দেন। কিন্তু পলাতক থাকায় সে সময় পুলিশ তাকে গ্রেফতার করতে পারেনি। এই এক বছরের সাজা এড়াতে কোখন বিভিন্ন মাজারে ভিক্ষুক ও ফকিরের বেশে ৮ বছর ধরে আত্মগোপনে ছিলেন।
এদিকে, শুক্রবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে চুনারুঘাট পৌর শহরের চেকপোস্টে একটি ব্যাটারিচালিত টমটম থামায় থানা পুলিশ। ওই টমটমে স্থানীয় মুড়াবন্দ মাজার থেকে কোখনসহ কয়েকজন চুনারুঘাট পৌরশহরের দিকে যাচ্ছিলেন।  সময় টমটমের যাত্রীদের পরিচয় জানতে চাইলে কোখনের কথা-বার্তায় সন্দেহ হয় পুলিশের। পরে কোখনের নাম-ঠিকানা যাচাই করে পুলিশ জানতে পরে- তিনি দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। এসময় তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
চুনারুঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাশেদুল হক বিষয়টি বিটিসি নিউজকে নিশ্চিত করে জানান, চুরি-ডাকাতি রোধে চুনারুঘাট উপজেলার বিভিন্ন স্থানে রাতে চেকপোস্ট বসায় ও টহল দেয় পুলিশ। শুক্রবার রাতে এভাবে টহল দিতে গিয়ে সন্দেহজনক কোখন ও আরও কয়েকজনকে আটক করে পুলিশ। তাদের মধ্যে কোখনে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হিসেবে জানা যায় এবং তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর কোখনকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর সিলেট ব্যুরো প্রধান মো. জাকিরুল হোসেন জাকির। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.