মাঝেরহাট সেতু নিয়ে রেল এবং রাজ্যের সংঘাত শেষ হল

কলকাতা প্রতিনিধি: মাঝেরহাট ব্রিজ বিপর্যয়ের পর চুরান্ত টানাপড়েন এবং পারস্পরিক দোষারোপের নিষ্পত্তি ঘটিয়ে অবশেষে রেল এবং রাজ্যের মধ্যে সমঝোতা হয়েছে ৷ শেষ পর্যন্ত রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েলকে চিঠি লিখে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পরিস্থিতির মোকাবিলা করার অনুরোধ জানিয়েছেন ৷ নবান্ন সূত্রে জানান হয়েছে চিঠিতে কাজ হয়েছে ৷
‘সুপার স্ট্রাকচার’-সহ বিভিন্ন বিষয়ে রেলের তরফে আর কোনও আপত্তি নেই।
আজ শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) মাঝেরহাট সেতুর কাজ পরিদর্শন করেন পূর্তমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। তিনি বলেন কাজ দ্রুতগতিতে চলেছে। 2020 মার্চের মধ্যেই নতুন ব্রিজ চালু হয়ে যাবে।”
২০১৮-র ৪ সেপ্টেম্বর আচমকাই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে মাঝেরহাট সেতু। প্রাণহানির ঘটনাও ঘটে। আহত হন অনেকে ৷ রেল লাইনের উপরে সেতু নির্মাণের কাজ চলায় সেই সময় সুপার স্ট্রাকচার’ থেকে শুরু করে বিভিন্ন বিষয়ে রেল বোর্ডের অনুমোদন পাওয়া যাচ্ছিল না ৷ উল্টোদিকে রেলের অভিযোগ রাজ্যের কাছে বিভিন্ন নথি এবং জরুরি বিষয় জানতে চাওয়া হলেও, তা-ও সঠিক সময়ে দেওয়া হয়নি। অভিযোগ পাল্টা অভিযোগের চাপান্তরে এতদিন দক্ষিণ কলকাতার মানুষদের ভুগতে হচ্ছিল প্রতিনিয়ত ৷ বাম-বিজেপি-কংগ্রেস এক যোগে রাজ্য সরকারের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলতে শুরু করে।
মাঝেরহাট সেতুটি পূর্ব রেলের শিয়ালদহ-বজবজ শাখার উপর দিয়ে গিয়েছে। এই সেতুর মাঝের অংশটি ‘রেলওয়ে ওভারব্রিজ’ (আরওবি) হিসেবেই চিহ্নিত করা আছে। পাশাপাশি সেতু লাগোয়া এলাকায় চলছে জোকা-বিবাদি বাগ মেট্রো প্রকল্পের কাজ। যদিও রাজ্যের পক্ষ থেকে এই সেতু নির্মাণের কাজ সম্পন্ন হওয়ার সময় সীমা ২০১৯ সেপ্টেম্বর মাস বলে ঘোষণা করা হয়েছিল ৷ তথাপি রাজ্য ও রেলের টানাপড়েনে তা সম্ভব হয়নি ৷ যদিও অবশেষে সব সমস্যার মেঘ কেটে গেছে ৷
নবান্নের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে  ২০২০ সালের মার্চেই খুলবে মাঝেরহাট সেতু।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর বিশেষ (কলকাতা) প্রতিনিধি রাজশ্রী বন্দ্যোপাধ্যায়। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.