তারা হলেন- মেহেদী হাসান শিকদার (২৭), বাবলু মল্লিক (৩৮), কবির হোসেন (৩৪), মিরাজুল ইসলাম (৫৬), রাসেল শেখ (২৮) ও হাবিবুর রহমান (৪৫)।
এ সময় তাদের কাছ থেকে ৬৭ হাজার টাকা, একটি কালো রংয়ের টয়োটা ল্যান্ড ক্রুজার প্রাডো গাড়ি ও গ্রেফতার অবসরপ্রাপ্ত কর্পোরাল মিরাজুল ইসলামের নিজ নামে লাইসেন্স করা অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
মাগুরা সদর থানার ওসি আইয়ুব আলী বিটিসি নিউজকে জানান, চাকরি প্রার্থীর মা পলি বেগম বাদী হয়ে অভিযোগ করেছেন, আসামী বাবলু মল্লিক তার প্রতিবেশী হওয়ায় ১০/১২ দিন আগে বাদীর কাছে তার ছেলে রবিনকে (১৯) পুলিশে চাকরি দেওয়ার কথা বলেন। কিন্তু তিনি বাবলুর কথা বিশ্বাস না করলে বাবলু জানান, মেহেদী হাসান শিকদার তার আপন ভগ্নিপতি এবং সে বর্তমান সরকারের অতি গুরুত্বপূর্ণ একজন ব্যক্তির এপিএস হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে। পরে আসামী মেহেদী হাসান শিকদার বাদীর কাছে মোবাইল ফোনে নিজেকে বর্তমান সরকারের অতি গুরুত্বপূর্ণ একজন ব্যক্তির এপিএস বলে পরিচয় দেন এবং তিনি বাদীর ছেলেকে ছয় লাখ টাকার বিনিময়ে পুলিশে চাকরি দিয়ে দেবেন বলে তাকে আশ্বস্ত করলে পলি বাবলুর কাছে তিন লাখ টাকা দেন।
ওসি জানান, কিছু দিন আগে অন্য আসামিরা এসে বাদীর সঙ্গে দেখা করেন। সোমবার সকালে বাদীর ছেলে রবিন মাগুরা পুলিশ লাইন্সে কনস্টেববল নিয়োগ পরীক্ষা দিতে গেলে আসামিরা একটি কালো রংয়ের টয়োটা ল্যান্ড ক্রুজার প্রাডো গাড়িতে এসে বাদীর সঙ্গে পুলিশ লাইন্সের সামনে রাস্তার ওপর দেখা করেন। পরে আসামিদের কথাবার্তা ও আচরণ সন্দেহজনক মনে হলে তিনি জানতে পারেন, আসামিরা জনৈক হুজাইফার কাছ থেকেও ৪০ হাজার টাকা নিয়েছেন।
পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও জানান, পলি বেগম মঙ্গলবার থানায় এসে তাদের বিরুদ্ধে এজাহার দিলে আসামিদের মাগুরা পুলিশ লাইন্সের সামনে থেকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, আসামিরা একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র এবং তারা দীর্ঘদিন ধরে চাকরি দেওয়ার কথা বলে বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকার মানুষের কাছ থেকে প্রতারণামূলকভাবে মোটা অঙ্কের অর্থ আত্মসাৎ করে আসছে।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.