মহান রাব্বুল আলামিনের দরবারে শুকরিয়া আদায় প্রধানমন্ত্রীর

 

বিটিসি নিউজ ডেস্কমহান আল্লাহ তায়ালার অশেষ কৃপায় ঘূর্ণিঝড় ফণীটি স্থলপথে দক্ষিণ -পশ্চিমাঞ্চলের যশোর-সাতক্ষীরা অঞ্চল হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। যার ফলে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে এখন পর্যন্ত বড় ধরনের কোনো ক্ষয়-ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।

তার আগে, ফণীর আঘাতে সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশক্রমে সরকার ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করে। গতকাল শুক্রবার বাদ জুমা সারাদেশে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাতের আয়োজন করা হয়।

আজ শনিবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেন। সভায় সরকারি-বেসরকারি সংস্থাগুলোর দুর্যোগ মোকাবেলায় গৃহীত প্রস্তুতি বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করা হয়।

দ্রুত সময়ের মধ্যে দক্ষিণাঞ্চলের উপকূলীয় এলাকার প্রায় সাড়ে ১২ লাখ মানুষকে সাইক্লোন আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে আসার জন্য জেলা-উপজেলা প্রশাসনসহ এসব এলাকার স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাগুলো, বিশেষ করে সিপিপি’র স্বেচ্ছাসেবকদের তৎপরতার প্রশংসা করা হয়।
এছাড়া সেনা, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী, কোস্টগার্ড, পুলিশ, আনসার-ভিডিপিসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর গৃহীত কার্যক্রমেরও সন্তোষ প্রকাশ করা হয়।

সভায় বিশ্ব পরিমণ্ডলে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় রোল মডেল হিসেবে খ্যাত যে কোনো দুর্যোগকালে বাংলাদেশ সরকারের সংস্থাগুলোর সমন্বিতভাবে কাজ করার যে কৃষ্টি তৈরি হয়েছে, তা ভবিষ্যতে আরও সুদৃঢ় করার উপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়।

আজকের সভায় মুখ্য সচিব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট সকলকে কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এবং ভবিষ্যতে জাতির যে কোনো দুর্যোগ মোকাবেলায় সমন্বিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।

উল্লেখ্য:   প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাপ্তাহিক ছুটি বাতিল করে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়  সার্বক্ষণিকভাবে দুর্যোগ মোকাবেলা প্রস্তুতি কার্যক্রম সমন্বয়ের দায়িত্ব পালন করে। #

 

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.