মসজিদ ভাঙার দাবিতে রণক্ষেত্র শিমলা, পুলিশের লাঠিচার্জ

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: এবার বিভিন্ন স্থানে গড়ে ওঠা মসজিদ ভাঙার দাবিতে আন্দোলনে উত্তপ্ত হয়ে উঠল ভারতের হিমাচল প্রদেশের শিমলা। সেখানকার ধর্মান্ধ হিন্দুত্ববাদীদের দাবি, কংগ্রেস সরকারের মদতে রাজ্যের নানা জায়গায় যত্রতত্র বেআইনিভাবে গজিয়ে উঠেছে মসজিদ।
সেগুলো ভাঙার দাবিতে হিন্দুত্ববাদীদের মিছিলে লাঠি ও জলকামান চালায় পুলিশ। পালটা পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছোড়ে আন্দোলনকারীরা। সব মিলিয়ে রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে পরিস্থিতি।
জানা গিয়েছে, মসজিদ ভাঙার দাবি তুলে বুধবার দুপুরে শিমলার ধাল্লি সবজি মান্ডির এলাকায় জমায়েত করেন শতাধিক মানুষ। ভিড় সাঞ্ঝৌলির দিকে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে বাধা দেয় পুলিশ। এর পরই উত্তপ্ত হয়ে পরিস্থিতি।
পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছোড়ে উত্তেজিত জনতা। মিছিল থেকে স্লোগান ওঠে ‘জয় শ্রীরাম’, ‘হিন্দু একতা জিন্দাবাদ’। ধাল্লি টানেলের কাছে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে ভিড় মসজিদের দিকে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে লাঠিচার্জ করে ও জলকামান চালাতে শুরু করে।
আটক করা হয় একাধিক আন্দোলনকারীকে। আটক করা হয়েছে হিন্দু জাগরন মঞ্চের সভাপতি কমল গৌতমকে। পাশাপাশি পুলিশের লাঠিচার্জে আহত হয়েছেন বহু বিক্ষোভকারী।
বিক্ষোভকারীদের দাবি, সঞ্ঝৌলি এলাকায় বেআইনি ভাবে একটি মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছে। সেটি ভেঙে দেয়ার দাবি করেছিল তারা। যার জেরেই চলছিল শান্তিপূর্ণ আন্দোলন। তবে কোনও প্ররোচনা ছাড়াই সেই বিক্ষোভের উপর লাঠি চালায় পুলিশ।
অন্যদিকে পুলিশের দাবি, হিংসা ছড়াতে পরিকল্পিতভাবে জমায়েত করেছিল বেশকিছু হিন্দু সংগঠনের সদস্যরা। স্বশস্ত্র হামলার পরিকল্পনা করেই জড়ো হয়েছিলেন আন্দোলনকারীরা। অশান্তি আটকাতে সাঞ্ঝৌলির দিকে যাতায়াতের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। রাস্তায় ব্যারিকেড বসানোর পাশাপাশি বিশাল পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে ওই এলাকায়।
হিমাচলের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখুর মিডিয়া উপদেষ্টা গোটা ঘটনায় বিজেপির দিকে আঙুল তুলে বলেন, ‘বিজেপি পরিকল্পিত ভাবে সাম্প্রদায়িক বিভাজন তৈরি করতে চাইছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে চাইছে। যারা বিক্ষোভে অংশ নিয়েছে তাদের ২০-২৫ জনকে ব্যক্তিগত ভাবে আমি চিনি।
বিভিন্ন স্তরের ভোটে তারা বিজেপির টিকিটে লড়েওছেন।’ এদিকে হিমাচলের পিডব্লুডি মন্ত্রী বিক্রমাদিত্য সিং শান্তি রক্ষার আবেদন জানিয়ে বলেন, ‘মসজিদ চত্বরে শান্তি বজায় রাখতে সরকারের উপযুক্ত পদক্ষেপ নেবে। এটা শুধু একটি মসজিদ নয়, বেআইনিভাবে ৪ থেকে ৫ হাজার এমন কাঠামো তৈরি হয়েছে। গত ১৪ বছর ধরে আদালতে এ মামলাগুলি বিচারাধীন। মামলাগুলি দ্রুত নিষ্পত্তি করার চেষ্টা করা হবে।’ #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.