খুলনা ব্যুরো:মশক নিয়ন্ত্রণ এবং পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমকে ত্বরান্বিত করতে খুলনা সিটি কর্পোরেশনের (কেসিসি) প্রশাসক মো. ফিরোজ সরকার বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) দুপুরে নগরীর ৪, ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডে চলমান ক্রাশ প্রোগ্রাম কর্মসূচি সরেজমিন পরিদর্শন করেন।
মশার বংশ বিস্তার রোধে নগরব্যাপী একযোগে পরিচালিত হচ্ছে এই বিশেষ ক্রাশ প্রোগ্রাম। প্রশাসক মো. ফিরোজ সরকার পরিদর্শনকালে এলাকাবাসীর উদ্দেশ্যে বলেন, “মশক নিয়ন্ত্রণে শুধু সিটি কর্পোরেশনের একক প্রচেষ্টা যথেষ্ট নয়, নাগরিকদেরও নিজেদের বাড়ি ও আশপাশের আঙ্গিনা পরিষ্কার রাখতে হবে এবং ড্রেনে আবর্জনা না ফেলে আমাদের এই অভিযানে সহযোগিতা করতে হবে।”
তিনি স্থানীয়দের সচেতন করে বলেন, ডেঙ্গু ও অন্যান্য মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে সবার সম্মিলিত অংশগ্রহণ অপরিহার্য।
পরিদর্শনকালে প্রশাসকের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন কেসিসির প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট কোহিনুর জাহান, কনজারভেন্সি অফিসার প্রকৌশলী মো. আনিসুর রহমান ও মো. অহিদুজ্জামান খান, ওয়ার্ডের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গাজী সালাউদ্দিন এবং মো. আলমগীর কবির বিশ্বাস।
এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন দৌলতপুর থানা বিএনপির সভাপতি মুরশিদ কামাল, সাধারণ সম্পাদক শেখ ইমাম হোসেন, দিবা-নৈশ কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ জয়নাল আবেদীন, মুহসীন মাধ্যমিক বিদ্যালয় জামে মসজিদের ইমাম মুফতি মাওলানা মো. সাইফুল্লাহ, ছাত্র প্রতিনিধি মো. রিপন শেখ ও মো. গালীব, সাংবাদিক মো. আশিকুর রহমান, এবং বেসরকারি সংস্থা ব্রীক-এর প্রতিনিধি মো. ওয়াহিদুজ্জামান সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি ও বিভিন্ন নাগরিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
এই সময় প্রশাসক স্থানীয়দের উদ্দেশ্যে বলেন, “নগরবাসীর সক্রিয় সহযোগিতা ছাড়া নগরকে মশামুক্ত রাখা সম্ভব নয়। সবাইকে দায়িত্ব নিয়ে নিজ নিজ এলাকা পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।”
খুলনা সিটি কর্পোরেশন জানিয়েছে, এই ক্রাশ প্রোগ্রাম ধারাবাহিকভাবে নগরীর অন্যান্য ওয়ার্ডেও পরিচালিত হবে এবং প্রয়োজনে অভিযানে আরো গতি আনা হবে।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.