মরণোত্তর দেহ দান করলেন তরুণ মজুমদার

বিশেষ (ভারত) প্রতিনিধি: প্রয়াত বর্ষীয়ান চিত্রপরিচালক তরুণ মজুমদার৷ সোমবার সকাল ১১.১৭ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি৷ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে৷ দীর্ঘদিন ধরেই বয়সজনিত কারণে ভুগছিলেন তিনি৷ ভর্তি ছিলেন হাসপাতালে৷ হাসপাতাল থেকে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় কর্মস্থল NT-1 স্টুডিওর সামনে। সেখানেই শেষ শ্রদ্ধা জানাবেন তাঁর অনুরাগীরা। কোনওরকম ফুল মালা চাননি তিনি, সেই কারণে কোনওরকম আয়োজন চাইছে না পরিবার। রাজ্য সরকারকেও কোনও আয়োজন না করার অনুরোধ করা হয়েছে পরিবারের তরফে।
পরিচালনায আসা তাঁর অভিষেক ‘যাত্রিক’-এর হাত ধরে ৷ ১৯৬৩ পর্যন্ত শচীন মুখোপাধ্যায়, দিলীপ মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে ‘যাত্রিক’-এর মাধ্যমেই ছবি পরিচালনা করেন তরুণ মজুমদার ৷ পরিচালনার কাজে সম্প্রতি তাঁকে পাওয়া না গেলেও চিন্তন ও অন্যান্য ভূমিকায় এখনও সক্রিয় ৷ কিছু দিন আগেই প্রেক্ষাগৃহে গিয়ে তিনি দেখেন অনীক দত্ত পরিচালিত ‘অপরাজিত’ ৷ ছবি দেখে মুগ্ধতার কথা তিনি জানান পরিচালক অনীককেও ৷ তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া চলচ্চিত্র জগতে।
বিগত কয়েকদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন তরুণ মজুমদার। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন পরিচালক। সঙ্কটজনক হলেও স্থিতিশীল ছিল তাঁর শারীরিক অবস্থা। কিন্তু রবিবার হঠাৎই ফের শারীরিক অবনতি হয় তাঁর। হঠাৎ সেকেন্ডারি ইনফেকশন হয় বর্ষীয়ান পরিচালকের। জানা যাচ্ছে, শনিবার থেকেই তাঁর স্বাস্থ্যের অবনতি হচ্ছিল।
রবিবার দ্রুত শরীর খারাপ হয়ে পড়ায় শ্বাসকষ্ট শুরু হয় তরুণ মজুমদারের। তখনই তাঁকে ভেন্টিলেশনে দিতে হয়। রক্তে ক্রিয়েটিনিন এর মাত্রা অনেকটা বেড়ে গিয়েছে। রক্তচাপ স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক কম। ৯২ বছর বয়সে একদিকে বয়স জনিত রোগে ভুগছিলেন তিনি ৷ গত ২২ বছর ধরে কিডনির সমস্যায় আক্রান্ত, হাই ডায়াবেটিসও রয়েছে তাঁর ৷ তার সঙ্গে নতুন করে ফুসফুসের সংক্রমণ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। ৫ জন চিকিৎসকের মেডিক্যাল বোর্ড তৈরি করা হয়৷ মেডিসিন বিশেষজ্ঞ সৌমিত্র ঘোষ এবং চেস্ট মেডিসিনের সোমনাথ কুন্ডু-র তত্ত্বাবধানে ছিলেন তরুণ মজুমদার ৷
তিনি মরণোত্তর দেহ দান করেছেন এসএসকেএমের অ্যানাটমি বিভাগে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ (বাংলাদেশ) এর বিশেষ (ভারত) প্রতিনিধি রাজশ্রী বন্দ্যোপাধ্যায়। # 

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.