মন্দার প্রভাব মোকাবিলায় প্রস্তুতি নিতে হবে : প্রধানমন্ত্রী

বিশেষ (ঢাকা) প্রতিনিধি: মন্দার প্রভাব মোকাবিলায় প্রস্তুতি নেয়ার আহ্বান করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সবাই নিজেদের জমিতে কিছু না কিছু উৎপাদন করবেন। বিশ্বমন্দার ধাক্কা যাতে বাংলাদেশে না লাগে, সে জন্য সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আওয়ামী লীগ সরকার টানা ক্ষমতায় থাকায় জনগণ উন্নয়নের সুফল পাচ্ছে।”
আজ মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর)  ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সপ্তাহ-২০২২-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি তিনি অনুষ্ঠানে অংশ নেন। মিরপুরে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স ট্রেনিং কমপ্লেক্সে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে একটানা সরকারে থাকায় উন্নয়ন ত্বরান্বিত ও দৃশ্যমান হয়েছে, মানুষ তার সুফল পাচ্ছে।”
তিনি বলেন, “যেকোনো ঝুঁকি হ্রাস করা, মানুষের নিরাপত্তা দেওয়ার পাশাপাশি উন্নয়ন কাজ দ্রুত ও মানসম্মত করাই সরকারের প্রচেষ্টা। মন্দার প্রভাব মোকাবিলায় আমাদেরও প্রস্তুতি নিতে হবে। সবাই নিজেদের জমিতে কিছু না কিছু উৎপাদন করবেন। বিশ্বমন্দার ধাক্কা যাতে বাংলাদেশে না লাগে, সে জন্য সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।”
অপ্রতিরোধ্য বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা কেউ থামাতে পারবে না মন্তব্য করে তিনি বলেন, “২০২১-এর লক্ষ্য পূরণের মতো ২০৪১ সালের উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যও পূরণ করা হবে।”
এ সময় প্রধানমন্ত্রী জানান, ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের আজীবন পেনশন দেয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
ফায়ার সার্ভিসের জন্য নেয়া নানা পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “অগ্নি বা যেকোনো দুর্ঘটনায় ফায়ার সার্ভিস সবার আগে ছুটে যায়। এ বাহিনীকে তাই যুগপোযোগী করা দারকার। আমরা সেই পদক্ষেপ নিয়েছি। সংস্থাটি যেন উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানে রূপ নেয়, সেই ব্যবস্থা আমরা নিয়েছি।”
তিনি বলেন, “আমরা প্রতিটি উপজেলায় ফায়ার স্টেশন করে দিচ্ছি। বাহিনীকে শক্তিশালী করতে যন্ত্রপাতি ক্রয়ের পাশাপাশি তাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করার লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। ১৮৪ জন ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তাকে বিদেশ থেকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। জনবল ৬ হাজার থেকে ১৮ হাজার ৪৪৩ জনে উন্নীত করেছি।”
সরকারপ্রধান বলেন, “এক সময় বহুতল ভবনে ফায়ার সার্ভিস অগ্নি নির্বাপণে কাজ করতে পারতো না। আমরা সেই অসুবিধা দূর করতে ৬৮ মিটার লেদারের ৫টি গাড়ি কিনেছি। নদী পথে তাদের কাজের সক্ষমতা বাড়াতে পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।”
ফায়ার ফাইটারদের ট্রেনিংয়ে সব জেলায় ৫ একর এবং ঢাকা জেলায় ১০ একর করে জমি বরাদ্দ দেয়া হয়েছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, “সেবার মান বাড়ানোর পাশাপাশি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সুযোগ-সুবিধার দিকেও আমরা দৃষ্টি দিয়েছি। যারা মানুষের জীবন রক্ষায় কাজ করছে, তাদের জীবন সুন্দর করা আমাদের দায়িত্ব। তাদের সম্মানি ও পদক বাড়ানো হয়েছে। ভাতা বাড়ানো হয়েছে। তাদের ২০ কোটি টাকার অনুদান দেয়া হয়েছে। আমার পক্ষ থেকে আরও ২০ কোটি টাকা অনুদান দেবো।” এ সময় ফায়ার সার্ভিসের উন্নয়নে যেসব কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে, তা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।
বীরত্বপূর্ণ ও সেবামূলক কাজের স্বীকৃতি হিসেবে অনুষ্ঠানে ৪ ক্যাটাগরিতে ৪৫ ফায়ার ফাইটারকে পদক দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে পদক তুলে দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মিরপুর প্রান্তে থেকে এ পদক তুলে দেন।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর বিশেষ (ঢাকা) প্রতিনিধি মো: ফারুক আহম্মেদ। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.