‘মধ্যপ্রাচ্য ন্যাটো’ গড়তে জর্ডানের বাদশাহর সায়

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ন্যাটোর মতো করে মধ্যপ্রাচ্যের একটি সামরিক জোট গড়ার ধারণায় সমর্থন দিয়েছেন জর্ডানের বাদশাহ দ্বিতীয় আবদুল্লাহ। সম্প্রতি সিএনবিসির হাডলি গাম্বলকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, সমমনা দেশগুলো নিয়ে এমন একটি জোট গঠনে কাজ করা যায়। তবে শুরুতেই মিশনের উদ্দেশ্য পরিষ্কার করে দিতে হবে।
বাদশাহ আবদুল্লাহ বলেন, এ অঞ্চলের আরও অনেক দেশকে এই সারিতে আসতে হবে। মধ্যপ্রাচ্য ন্যাটোকে সমর্থন দেওয়া প্রথম ব্যক্তি আমি। জোটের মিশনের বিবৃতি অন্তত পরিষ্কার হতে হবে। না-হলে অন্যরা তাতে বিভ্রান্ত হতে পারে।
ইতিমধ্যে জর্ডানকে ন্যাটোর অংশ হিসেবে দেখছেন বলে জানান তিনি। বললেন, ন্যাটোর সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করছে তার দেশ। অতীতে পশ্চিমা সামরিক জোটটির সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে জর্ডানের যোদ্ধারা লড়াই করেছে বলেও জানান বাদশাহ আবদুল্লাহ।
তিনি আরও বলেন, নিরাপত্তা ও সামরিক সহায়তার পাশাপাশি মধ্যেপ্রাচ্যে একটি ঘনিষ্ঠ জোট ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান থেকে সৃষ্ট হওয়া বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সহায়ক হবে। বিশেষ করে জ্বালানি ও দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ নেওয়া সহজ হয়ে যাবে।
জর্ডানের বাদশাহ বলেন, ঐক্যবদ্ধ হওয়া ও পরস্পরকে সহযোগিতার ধারণা মধ্যপ্রাচ্যে একবারে বিরল ঘটনা। যদি আমি ঠিক থাকি, তবে অন্যজন থাকবে না। কাজেই এতে আমাকে খেসারত দিতে হচ্ছে। কিন্তু ২০২২ সালে যা দেখতে পাচ্ছি, তা এক নতুন আবহ। কীভাবে আমরা পরস্পর সম্পর্কযুক্ত থাকতে ও কাজ করতে পারি, তা নিয়ে আমাদের কথা বলা উচিত।
এ সময়ে ইরানের হুমকি নিয়েও কথা বলতে শোনা গেছে আবদুল্লাহকে। তিনি বলেন, মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো যদি পরস্পরের সঙ্গে আলোচনা না করে, এতে আঞ্চলিক অনিরাপত্তা ও অস্থিতিশীলতা তৈরি হবে। ক্ষতিগ্রস্ত হবে আঞ্চলিক প্রকল্পগুলো। কেউই যুদ্ধ চায় না বলে মন্তব্য করেন জর্ডানের এই বাদশাহ। (সূত্র: আরব নিউজ) #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.