মণিরামপুরে স্কুলছাত্রের বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার, আটক ৪

 

যশোর প্রতিনিধি: আজ বুধবার যশোরের মণিরামপুরে অপহৃত স্কুলছাত্র আবু তারিফের (৯) বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এছাড়া এ ঘটনায় মুক্তিপণের টাকা নিতে আসা বিল্লাল হোসেন (১৫) নামে এক কিশোরসহ জড়িত সন্দেহে আরও তিনজনকে আটক করা হয়েছে।

তারিফ উপজেলার খানপুর ইউনিয়নের ফেদাইপুর গ্রামের সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে। সে স্থানীয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র ছিলো।

আজ ভোর ৫টার দিকে খানপুর ইউনিয়নের ফেদাইপুর গ্রামের একটি কালভার্টের নিচ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মণিরামপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রহমান বিটিসি নিউজকে জানান, শিশু তারিফ নিখোঁজের ঘটনায় সোমবার (৭ জানুয়ারি) পরিবারের পক্ষ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়। পরে অভিযান চালিয়ে উপজেলার খানপুর ইউনিয়নের ফেদাইপুর গ্রামের একটি কালভার্টের নিচ থেকে আরিফের বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গত ৬ জানয়ারি রোববার  বিকেলে খেলার উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হয় তারিফ। সন্ধ্যা হলেও বাড়ি না ফেরায় পরিবারের লোকজন আশপাশের এলাকা ছাড়াও আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে খোঁজাখুঁজি করেন। কিন্তু না পেয়ে পরদিন সোমবার মণিরামপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।

তারিফের চাচা শরিফুল ইসলাম বিটিসি নিউজকে বলেন, নিঁখোজের পরদিন মঙ্গলবার ভোরে ঘুম থেকে উঠে প্রতিবেশীরা আমাদের বাড়ির আঙিনা থেকে একটি চিরকুট কুড়িয়ে পান। ওই চিরকুটে লেখা আছে, ‘আরিফ আমার কাছেই আছে, নিচে একটি মোবাইল নম্বর দেওয়া আছে। প্রতিবেশী এক নারী ওই মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করলে তারিফকে ফেরত নিতে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়।

এরপর বিকেলে স্থানীয় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলামকে বিষয়টা জানালে তিনি ওই নম্বরে কথা বললে এক লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। ওই টাকা দিতে রাজি হলে একটি বিকাশ নম্বর দেয় অপহরণকারী।

একপর্যায়ে কৌশলে ওই বিকাশ এজেন্টের সঙ্গে কথা বললে জানা যায় দোকানটি কেশবপুর থানার সামনে, এরপর বিষয়টি পুলিশকে জানালে ওই নম্বরে টাকা দেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয় অপহরণকারীকে, এর কিছুক্ষণ পরে ওই দোকানে টাকা নেওয়ার জন্য গেলে বিল্লাল হোসেন (১৫) নামে অপহৃত শিশুরই এক প্রতিবেশী কিশোরকে আটক হয়। বিল্লাল হোসেন স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণির ছাত্র।

এছাড়া এ ঘটনায় সন্দেহজনকভাবে আরও তিনজনকে আটক করেছে বলে জানিয়েছেন নিহতের পরিবার।#

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.