মগজে ভাসে বিক্ষিপ্ত কথামালা!!


রাবি প্রতিনিধি:  একদিন মানুষের মৃত্যুতে মাতম সাজিয়ে কেঁদে উঠবে সকল কুকুর শ্রেনীর প্রানী। ততদিনে ওরাও অভিনয় শিখে যাবে। মৃত মানুষটির লজ্জায় বেঁচে উঠার অনিহা প্রকাশ করে মৃত্যুতেই নিরাপিদ আশ্রয় মনে করবে।

তখন হয়তো আমাদের বাংলা যাত্রা ধরনের সিনেমা জোর করে গেলানো হবেনা! একদিন মানুষের অধিকারের কথা চিৎকার করে বলতে গিয়ে মাইক্রোফোনে মুখ আটকে গিয়ে শলিল সমাধি হবে লালসালাম বলা পাশের বাড়ির বৌদির ঠাকুরপো’র।

কে জানতো ওর হৃদযন্ত্রটি দূর্বল হয়ে উঠেছে পাতায় পাতায় নীল হয়ে গেছে লালসালুর হলুদ কাপড়ের কমরেডপানা! একদিন সবুজ পাতার সঙ্গে শিশির জলের সঙ্গমের ধৈর্য হারিয়ে ধপাস করে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে আলাদা ঘর বাঁধতে চাইবে শিশির জল ও সিঙ্গেল মাদার কিংবা ফাদার হতে চায়! কি আশ্চর্য! এখানে বেরসিক গরুটা এলো কোথা থেকে! ঘাসের সঙ্গে পা মাড়িয়ে মিটিয়ে দিয়েছে শিশিরজলের একলা থাকার শেষ অভিমান বেঁচে থাকাটি! গরুতে ঘাস খেতে শিশির জলের জীবনচক্র থোড়াই কেয়ার করে! সমাজে ফেয়ার এন্ড লাভলি ধামাকা অফার চলছে! টেকনিকালি! স্বার্থপর মানুষটিও নিজেকে চকচকা মহান বীরপুরুষ আর অতিমানবিক গুণ আছে এমন একটা কিছু দেখাতে এহেন কোন কম্ম নেই করেনি! ধোলাইখাল প্রোডাক্ট হবে হয়তো!

সেদিন স্বপ্ন দেখছিলাম সব মানুষ প্যাকেটজাত চকচকে মোড়কে কভারাইজ করে বসে আছে দেশপ্রেমের ভ- প্রতারক প্রেমিক সেজে! ঘুম থেকে উঠে দেখি সমাজ বড্ড কাক শ্রেনির মানুষের দখলে। সবাই সবাইকে কি যেন শোনাতে চায়! শুনতে চায়না কেউ। কাকগুলো দিনদিন ধর্ম আর রীতি প্রথার নামে স্বৈরাচার হয়ে উঠেছে! জামাতকে এখনো আগের মতো দুশ্চরিত্র মনে হয়।

আব্দুল্লাহ আবু সাঈদ স্যারদের অপ্রাসঙ্গিক হয়ে উঠার কারন দেখছিনা! তেলের দাম শুধু শুধু বাড়েনি, এখানে সরকারকে দায়ী করা যাবেনা, চাটুকার একটি জেনারেশন তৈরি হচ্ছে তাই তেলের দাম বেড়ে চলেছে। সামনে খবর আছে! বিটিভি আর বাংলা সিনেমা একেবাড়েই গবর পচা মস্তিষ্কের আবাল গা-ুদের দখলে, ৪৫ বছরে গামছার যেমন উন্নতি হয়েছে বাংলা সিনেমার তাও হয়নি।

এখনো চলে যাত্রাপালা ” চৌধুরি সাহেব আমরা গরিব হতে পারি, শয়তান তোর দিন শেষ, এখন আর দেহও পাবিনা,বলেই হিন্দি সিনেমার নকল করতে গিয়ে গাম এর জায়গায় ভাম লিখে পরে নতুন শিল্প হিসেবে চালিয়ে দিতে চায়! আমার খুব দু:খ হয় গানগুলোও অনুবাদ করে সুর নকল করে করা। ৭০ এর দশকের চেয়ে আরও পিছনের দিকে হাটে ওরা। বৃষ্টি সবসময়ই আগের মতো বিনোদিত করে। শিল্পের শিল্পকলা শুধু একাডেমিতেই কথাবার্তার মতো।

জেলের মাছ ধরা, আর গৃহিনীর মাছ রান্না করা কেকা ফেরদৌসির শিল্পের রন্ধন শিল্পের বাইরের বিষয়। এ বিষয়ে হেফাজতের তিনতালাক ফতোয়া কেন আসছেনা! তেতুল তত্বে একেবারেই আইমে জাহিলিয়াতের গন্ধ আছে। ঘৃণা করি এমন উগ্র মূর্খতাকে, যে মা জন্ম দিয়েছে সেই মায়ের জাতিকে এমন লালসার বস্তু হিসেবে বর্ণনার বিষয়টি অনেকটা বিকৃত মস্তিস্কের বহিঃপ্রকাশ। এদিক থেকে সুফি হুজুরকে বিকৃত মস্তিষ্কের লোক মনে হয়। আবার যারা অসম্প্রদায়িক চেতনার কথা বলে আরেকজনের ধর্ম, ধর্ম বিশ্বাস নিয়ে আঘাত করে কথা বলে মুক্তমনার নামে ওরাও মস্তিষ্ক বিকৃত।

ওরা অসম্প্রদায়িকতার বিষয়টি বোঝেনা। অসম্প্রদায়িকতা হচ্ছে ধর্মীয় সম্প্রীতি। ধর্মীয় উগ্রবাদ আর ধর্মীয় নিগ্রবাদ দুটোই রাষ্ট্রের ক্যানসার। সুফি আর ওদের মাঝে মৌলিক পার্থক্য নেই, বরং মানুষকে আঘাত করে কথা বলার একটি মিল রয়েছে। পদ্মা সেতু রেডিমেট কিনতে পাওয়া যায়নি কোথাও, তাই জোড়াতালি দিয়েই এগিয়ে যাচ্ছে স্বপ্নের দিকে। কোন এক অশিক্ষিত মহিলার প্রধানমন্ত্রী হওয়া সয়ে গেছে এদেশের অভাগা মানুষের তাই যা তা হজম করতে হয়! মেকাপের গুণ আছে বৈকি! এদেশের মানুষের খাদ্যের আগে শিক্ষা বেশি প্রয়োজনীয়।

আমাদের শিক্ষাব্যাবস্থা কাউকে শিক্ষিত করতে পারছেনা। সমাজে নিজেই নিজের প্রশংসা করা মানুষের বেহায়াপনা দিনদিন বাড়ছে। একটু পরেই মধুর শব্দ আসসালাতু খায়রুম মিনান নাউম শোণা যাবে। এই শব্দটি আমাকে খুব বেশি পবিত্র করে তোলে, হৃদয়ে শীতলতা আসে। মানুষের হৃদয়কে কল্যাণকামি করে তোলে।

ধর্ম মানুষকে অবশ্যই কল্যাণের দিকে টানে। মানুষ পূজা করুক, নামাজ পড়ুক, প্রার্থণা করুক, একে অন্যের মঙ্গল কামনা করুক, দেশপ্রেমিক হয়ে উঠুক, শিশু মুক্তবে যাক, ফিরে এসে নতুন বই হাতে স্কুলে যাক। পারস্পারিক ধর্মীয় শ্রদ্ধাবোধ আর সম্প্রীতির পথে হাটুক।

লেখক-
জালাল সুমন আহমেদ
শিক্ষার্থী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর রাবি প্রতিনিধি মো: মুজাহিদ হোসেন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.