মইনুল হোসেনকে হাজিরকে কেন্দ্র করে রংপুর আদালত চত্বরে আ’লীগ-বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ

 

রংপুর ব্যুরোআজ রোববার দুপুর সোয়া একটার দিকে আদালত চত্বরে গ্রেফতার হওয়া ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে রংপুর আদালতে হাজিরকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় উভয়পক্ষের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।

মাসুদা ভাট্টিকে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করার মামলায়  রংপুরের অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে হাজির করা হয়।

প্রত্যক্ষদর্শী ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সূত্রে জানা যায়, রংপুর মহানগর পুলিশ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কড়া নিরাপত্তায় ব্যারিস্টার মইনুলকে আদালতে নিয়ে আসে।

আদালতের মূল প্রবেশ পথে গাড়ি থেকে নামানোর সময় ব্যারিস্টার মইনুলকে লক্ষ্য করে ইট, জুতা ও ডিম নিক্ষেপ শুরু করেন সেখানে আগে থেকেই সমেবত থাকা আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

এ সময় তাকে এক ছাত্রলীগ কর্মী থাপ্পড় দেওয়ার চেষ্টা করেন। পরিস্থিতি এ পর্যায়ের দেখে পুলিশ ব্যারিষ্টার মইনুলের মাথায় হেলমেট পরিয়ে দেয়। এ সময় সেখানে ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে মইনুলের আইনজীবীদের সঙ্গে পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে ধস্তাধস্তির ঘটনাও ঘটে।

পুলিশ জানায়, এ অবস্থায় সেখানে থেকে কড়া নিরাপত্তায় ব্যারিস্টার মইনুলকে আদালতে নেওয়া হয়। রংপুরের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আরিফা ইয়াসমিন মুক্তার আদালতে জামিন শুনানি হয়।

শুনানি চলাকালে বাইরে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় উভয়পক্ষের মধ্যে ইট-পাটকেল ছোড়াছুড়ির পাশাপাশি ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়াও হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে দুই রাউন্ড টিয়ারশেল ও চার রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে পুলিশ।

বিষয়টি নিশ্চিত করে রংপুর মহানগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (ডিবি) আলতাব হোসেন বিটিসি নিউজকে বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আমরা টিয়ারশেল ও শর্টগানের ফাঁকা গুলি নিক্ষেপ করেছি। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। একই সঙ্গে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশও মোতায়েন করা হয়েছে।

এদিকে প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, সংঘর্ষে উভয়পক্ষের কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন। তাদের স্থানীয়ভাবে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত হলেও আদালত চত্বরে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

উল্লেখ্য, গত ১৬ অক্টোবর মধ্যরাতে একটি টেলিভিশন টক শোতে এক প্রশ্নের জবাবে সরাসরি যুক্ত হওয়া ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টিকে ‘চরিত্রহীন’ বলে মন্তব্য করেন।

এর জের ধরে ২২ অক্টোবর রংপুর আদালতে ১০ কোটি টাকার মানহানির মামলা করেন নারী অধিকার কর্মী মিলি মায়া বেগম। ওই দিন রাতে রাজধানীরউত্তরা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।#

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.