ভ্যানচালক ওয়াহিদুলের লম্পটপনা-কোটিপতি বনে যাওয়ার রহস্য পর্ব-২

ক্রাইম রিপোর্টার: নাটোরের বড়াইগ্রাম পৌরসভার অফিস সহকারী ওয়াহিদুলের বিরুদ্ধে নারী কেলেঙ্কারি, অবৈধপথে কোটিপতি বনে যাওয়া সহ পৌরসভার অঘোষিত মেয়র দাবী করে ক্ষমতার দাপটের রাজত্ব কায়েম করার অভিযোগ তুলেছেন সংশ্লিষ্ট দপ্তরের অন্যান্য কর্মকর্তা কর্মচারীসহ সাধারণ মানুষ।
তার দাপটের কাছে পৌর বাসী যেন নাভিশ্বাস হয়ে উঠেছে। নানা অপকর্মের কারনে ইতিমধ্যেই পৌর মেয়র সাময়িক বরখাস্ত করেছেন।
২০০৮ সালে ১৬ই মার্চ বড়াইগ্রাম পৌর সভায় যোগদান করেন কার্যসহকারী পদে। বড়াইগ্রাম (কালী বাড়ি) ৫ নং ওয়ার্ড এ বসবাসকারী মোঃ আফছার আলীর পুত্র ওয়াহিদুল ইসলাম।
চাকুরীতে যোগদানের পর থেকেই সে সাবেক মেয়র এর খুব কাছের মানুষ হয়ে উঠে। শুরু করতে থাকে পৌর আধিপত্য বিস্তার। ধীরে ধীরে গড়তে থাকে অনৈতিক অর্থের পাহাড়। তৈরী করেন আলিশান বিলাসবহুল বাড়ী সহ মেসার্স সৌরভ ট্রেডার্স নামে ব্যবসা প্রতিঠান আর এই অবৈধপথে আসা অর্থের দাপটে হয়ে উঠতে থাকে অপ্রতিরোধ্য এক ডন। তার ভয়ে এলাকায় সহ পৌরসভার অন্যান্য কর্মকর্তা কমর্চারীরা থাকতো আতঙ্কিত। এই ডনের ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পেত না।
ভ্যানচালক জীবন থেকে অতি সম্প্রতি এই কোটি পতি বনে যাওয়া পৌর কমর্চারী ওয়াহিদুল ইসলাম এর বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ ফেসবুকে তার নারী নিয়ে অসামাজিক কার্যকলাপের বেশ কিছু ছবি ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়।
বিষয়টি নজরে আসে বড়াইগ্রাম পৌরসভার মেয়র মহোদয়ের, তিনি অত্যন্ত দৃঢ়তার সাথে লম্পট এই ওয়াহিদুলের  অনৈতিক নারী কান্ডের বিষয়টি আমলে নিয়ে সাময়িক বরখাস্ত করেছেন।
এর পর থেকেই বড়াইগ্রাম উপজেলার বিভিন্ন স্তরের সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে বিভিন্ন পেশাজীবী মানুষ মুখ খুলতে শুরু করেছেন। এদিকে এই লম্পট দুশ্চরিত্র ওয়াহিদুল ইসলাম এর ভ্যানচালক জীবন থেকে বর্তমান কোটিপতি বনে যাওয়া বিভিন্ন বিষয়ে আমাদের বিটিসি নিউজ এর পক্ষ থেকে আমাদের প্রতিবেদক অনুসন্ধানী ধারাবাহিক প্রতিবেদনের পর্ব -২ প্রকাশ করা হলো।
সংশ্লিষ্ট দপ্তরের অন্যান্য কর্মকর্তা কর্মচারীসহ এলাকার সাধারণ মানুষ এই লম্পটের দ্রুত বিচারের দাবী তুলেন।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর ক্রাইম রিপোর্টার মোময়নুল ইসলাম লাহিড়ী মিন্টু। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.