ভোটারদের দুুয়ারে দুয়ারে ছুঁটছেন নারী কর্মীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) নির্বাচনে প্রচারনার বাকি আর মাত্র ১০ দিন। এক সপ্তাহ আগে থেকেই শুরু হওয়া এই প্রচারণা এখন চলছে পুরোদমে। প্রার্থীদের সাথে তার সমর্থকরাও ভোট প্রার্থনা করে প্রচারনা চলাচ্ছেন। তবে বেশি ছুঁটছেন নারী কর্মীরা। তারা ভোটারদের দুয়ারে দুয়ারে ছুঁটছেন।

রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) নির্বাচনে মেয়র পদে লড়ছেন চার প্রার্থী। প্রচার-প্রচারণায় পুরুষ ভোটাররা এগিয়ে থাকলেও নির্বাচনে জয়-পরাজয় নির্ভর করছে নারী ভোটারদের ওপর। কারণ রাসিক নির্বাচনে এবার মোট ভোটার ৩ লাখ ৫২ হাজার ১৫৭ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৭১ হাজার ১৮৫ জন এবং নারী ভোটার ১ লাখ ৮০ হাজার ৯৭২ জন। পুরুষ তুলনায় নারী ভোটার বেশি।
প্রার্থীরা হিসাব মিলিয়ে দেখেছেন, নির্বাচনে জয়-পরাজয় নির্ভর করছে এই নারী ভোটারদের ভোটের ওপর। নারী ভোটারদের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জনে প্রার্থীরা দিচ্ছেন একের পর এক প্রতিশ্রুতি। তবে এসব প্রার্থীদের হয়ে ছুটে বেড়াচ্ছেন এক বিপুল সংখ্যক নারী কর্মীরা। মূলত নারী কর্মীদের দিয়ে প্রার্থীরা ভোটারদের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন।
তবে নারী ভোটারদের ভাষ্য, প্রতিশ্রুতির ফুলঝুরি নয়, যোগ্য প্রার্থীকেই ভোট দেবেন তারা। রাজশাহীকে নারীবান্ধব নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে পারবেন এমন প্রার্থীকেই ভোট দিতে চান তারা। এলাকার উন্নয়ন, নারীদের সুরক্ষা, উদ্যোক্তা ও কর্মের পরিবেশ তৈরি করতে পারবে এমন জনপ্রতিনিধি চাচ্ছেন নারী ভোটাররা।
নগরীর কাজলা এলাকার নারী ভোটার শারমিন হুদা বলেন, ‘সাম্প্রতিক বছরগুলোয় রাজশাহীতে ছিনতাই, মাদকসেবী ও বখাটেদের উৎপাত বেড়েছে। প্রায় সময় শোনা যায় ছিনতাইয়ের কবলে পড়ছেন নারীরা। ফলে অনেকে রাত ৮-৯টার পর অনেক নারী বাইরে যেতে ভয় পায়। আমরা নারীবান্ধব মেয়র ও কাউন্সিলর চায়। যেন নারীদের সুরক্ষা দিতে পারে।
এক প্রার্থীর হয়ে গণসংযোগ করছেন পলি বেগম।
তিনি বলেন, নিম্নআয় ও মধ্যবিত্ত পরিবারের ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে বেশি ভোট চাওয়া হচ্ছে প্রার্থীদের পক্ষে। সাথে উন্নয়নের প্রতিশ্রুতিও দিতে হচ্ছে। যারা প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করছেন তারাও প্রতিদিন গণসংযোগ করে কিছু টাকা পাচ্ছেন। গণসংযোগের কাজগুলোও করছেন দরিদ্র পরিবারের নারীরা।
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ রাজশাহী জেলা সভাপতি কল্পনা রায় বলেন, নারীরা প্রচার কাজ করছেন বিষয়গুলো ইতিবাচক। আমাদের নগরীতে পুরুষের চেয়ে নারী ভোটার বেশি। পুরুষরা দিনে বেশিরভাগ সময় কাজকর্মে ব্যস্ত থাকেন এই জন্য নারীরা প্রচার করছেন। এতে নারী কর্মীরা আর্থিক ভাবে লাভবানও হচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, বিগত সময়গুলোতে দেখা গেছে, পুরুষ ভোটারদের তুলনায় নারী ভোটাররা বেশি ভোটকেন্দ্রে উপস্থিত থাকেন। নারী ভোটাররা পছন্দের প্রার্থীকে বিজয়ী করতে পুরুষ ভোটারদের চেয়ে বেশি কেন্দ্রে উপস্থিত হবেন। আর কোন প্রার্থী নারীবান্ধব নগরী গড়তে পারবেন, সে সিদ্ধান্ত নারী ভোটারদেরই নিতে হবে। আশা করছি সব কিছু বিবেচনা করেই নারীরা এবার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নিজস্ব প্রতিনিধি মো.মাসুদ রানা রাব্বানী / রাজশাহী। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.