ভোজ্য তেল নিয়ে তেলেসমাতি : ক্রেতার কপালে ভাঁজ

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশে একেক সময় একেক পণ্য নিয়ে চলে তেলেসমাতি। যেমন এখন চলছে ভোজ্য তেল নিয়ে। কিছু দিন আগে গেল পেঁয়াজ, তারপর আলু, এখন ভোজ্য তেল। সরকারের কোন পদক্ষেপ কাজে আসছে না। প্রায় নিত্য প্রয়োজনীয় মূল্যের ঊর্ধ্বগতি অব্যাহত রয়েছে।
রমজান মাস আসার আগেই নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি মোটেই নতুন নয়। তবে এবার বেশ আগ থেকেই চাল ও ভোজ্য তেলের দাম বাড়তে শুরু করেছে। আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বৃদ্ধির অজুহাতে দফায় দফায় বেড়েছে তেলের দাম। দাম বৃদ্ধির অস্বাভাবিক প্রবণতা রোধে অবশেষে সরকার ভোজ্য তেলের দর ঠিক করে দিয়েছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী ভোজ্যতেলের আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করে খোলা সয়াবিন তেলের খুচরা মূল্য লিটার প্রতি ১১৫ টাকা, বোতলজাত তেলের জন্য ১৩৫ টাকা নির্ধারণ করেছেন। বিক্রেতারা থোড়াই কেয়ার মনোভাব পোষণ করছে।
এর আগের দিন খোলা তেল লিটার প্রতি বিক্রি হয়েছে ১১৮ টাকা আর বোতলজাত ১৩৫ টাকা। চলতি বছরের শুরুতে প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের দাম ছিল খোলা ৯২ টাকা এবং বোতল জাত ১০৫ টাকা। মাত্র দেড় মাসের ব্যবধানে তেলের দাম লিটারে প্রায় ৩০ টাকা বৃদ্ধি পাওয়ায় ক্রেতাদের নাভিশ্বাস উঠেছে। এমন সেই দামই সরকার নির্ধারিত হলো।
অধিকাংশ বিক্রেতাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, গত ১০ বছরের মধ্যে এটি তেলের সর্বোচ্চ দাম। আন্তর্জাতিক বাজরে দামবৃদ্ধির কথা বলা হলেও দেশে নতুনভাবে এখনও তেল আমদানি করা হয়নি। অর্থাৎ আগে কম মূল্যে আমদানি করা তেলই এখন বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে বাজারে। ব্যবসায়ীরা অনৈতিকভাবে পকেট কেটেছে ক্রেতা ভোক্তার। এই অরাজকতার মধ্যে রমজান আসতে আসতে দাম আরও বাড়বে না তার নিশ্চয়তা কে দেবে?
যদিও বাণিজ্যমন্ত্রী তেলের যথেষ্ট মজুদ থাকার উল্লেখ করে শক্ত হাতে দাম নিয়ন্ত্রণ করার কথা বলেছেন। মন্ত্রীর কথায় আস্থা রাখতে চাই আমরা। তেল নিয়ে তেলেসমাতি রোধে শক্ত পদক্ষেপই প্রয়োজন। তার দেখা মিলবে কি না সে চিন্তাতে ক্রেতার কপালের ভাঁজ আরও গভীর হবে না, এটা কি নিশ্চিতভাবে বলা যায়?
এইরূপ লম্ফ ঝম্ফ অনেকবারই লক্ষ্য করা গেছে। বিক্রেতারা সরকারের কথা শুনে বেশী দামে কিনে কম দামে বিক্রি করবে এমনটা ভাবা বোকার স্বর্গে বসবাস করার সামিল।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নিজস্ব প্রতিনিধি মোঃ মাইনুর রহমান (মিন্টু) রাজশাহী।

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.