ভেটিভার গ্রাস পাইলট প্রকল্প চট্রগ্রামে উদ্বোধন করলেন থাই রাজকুমারী

 

বিটিসি নিউজ ডেস্ক: সফররত থাই রাজকুমারী মাহা চক্রী সিরিনধরন চট্রগ্রাম মহানগরীতে ভূমিধস ও পাহাড় ধস প্রতিরোধে নগরীর টাইগার পাস এলাকায় আজ ভেটিভার গ্রাস ডেভেলপমেন্ট পাইলট প্রকল্পের উদ্বোধন করেছেন।
থাই রাজকুমারীর উদ্বোধন করা এ প্রকল্পটি সম্প্রতি চট্রগ্রাম সিটি কপোর্রেশনের (সিসিসি) সঙ্গে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারকের আলোকে থাইল্যান্ড ও বাংলাদেশ যৌথভাবে বাস্তবায়ন করবে।

বাংলাদেশের পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের সহযোতিায় ‘বাংলাদেশ-থাইল্যান্ড ভেটিভার গ্রাস ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট’ শিরোনামে একটি নতুন পরিবেশ সংরক্ষণ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। মাহা চক্রী ভেটিভার গ্রাস ডেভেলপমেন্ট পাইলট প্রকল্প এলাকাটি পরিদর্শন শেষে টাইগারপাসের মিতাপাহাড়ে একটি ভেটিভার গাছের চাড়া রোপণ করেন।

এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বন ও পরিবেশ মন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, চট্রগ্রাম সিটি কর্পোরেশন মেয়র আ জ ম নাসির উদ্দিন, বাংলাদেশে নিযুক্ত থাই রাষ্ট্রদূত পনপরম সুবন্যাপনাজে বক্তব্য রাখেন। ভেটিভার গ্রাস আবিষ্কারক বুয়েটের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শরীফুল ইসলাম অনুষ্ঠানে চার মিনিটের একটি পাওয়ার পয়েন্ট প্রদর্শন করেন।

প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার সরকার গৃহীত পরিবেশ ও বন সংরক্ষণের জন্য ব্যাপক উন্নয়ন প্রকল্পের উল্লেখ করে বন ও পরিবেশ মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ পরিবেশ রক্ষায় বাংলাদেশের সঙ্গে এক সাথে কাজ করতে থাইল্যান্ড সরকারের প্রতি আহবান জানান। তিনি বলেন, আমরা দেশের উন্নয়নের জন্য ইতোমধ্যেই কাজ করছি এবং বর্তমান সরকার ২০২১ সালের মধ্যে দেশকে মধ্য আয়ের দেশে রুপান্তরিত করতে নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

অনুষ্ঠানে সিসিসি মেয়র আ জ ম নাসির উদ্দিন বলেন, বাংলাদেশে এ ধরনের ভাটিভার গ্রাসের উন্নয়ন এটিই প্রথম। এ প্রকল্প ব্যাপক কর্মসূচী মহিলাদের জন্য ব্যাপক কর্মসংস্থানের সৃষ্টি করবে। তিনি বলেন, প্রকল্পের ফল ইতিবাচক হলে নগরীতে পাহাড় ধস ও জলবদ্ধতা নিরসনে সহায়ক হবে। সিটি মেয়র প্রকল্পে সহায়তা করার জন্য থাইল্যান্ডের সাইপাটনা ফাউন্ডেশনকে ধন্যবাদ জানান।

বাংলাদেশে নিযুক্ত থাই রাষ্ট্রদূত বলেন, আগামী দিনগুলোতে দু’দেশের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরো জোরদার হবে।
এর আগে থাই রাজকুমারীর সম্মানে উপজাতি নৃত্য পরিবেশন করা হয়। থাই রাজকুমারী চট্রগ্রামের প্রত্নত্বাত্মকি জাদুঘরও পরিদর্শন করেন। ( সূত্র: বাসস )#

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.