ভূমির ক্ষয় রোধে দেশে ব্যাপক হারে বনায়ন হচ্ছে : পরিবেশমন্ত্রী

বিশেষ প্রতিনিধি: পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, সরকার ভূমির অবক্ষয় রোধে ব্যাপক হারে বনায়ন করছে। ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়নের সাথে সামঞ্জস্য রেখে ভূমি অবক্ষয় রোধ এবং খরা প্রশমন করে একটি ভূমি অবক্ষয়-নিরপেক্ষ দেশ গড়ার লক্ষ্যে কাজ চলছে।
বিশ্ব মরুময়তা ও খরা প্রতিরোধ দিবস উদযাপন উপলক্ষে আজ সোমবার (২০ জুন) পরিবেশ অধিদপ্তর আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন এসব কথা বলেন।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, সরকার বন উজাড় রোধ, বনাঞ্চল পুনরুদ্ধার, নতুন বন সৃষ্টি, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ, ভূমির ক্ষয়রোধ এবং প্রাকৃতিক পরিবেশ সুরক্ষায় বিভিন্ন প্রকল্প ও কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। জনগণ নিজ নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী অধিক হারে বৃক্ষরোপণ করলে এ কাজে সফল হবে বাংলাদেশ।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের কিছু এলাকায় মরুকরণের প্রভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে। তাই ভূমিক্ষয় রোধে বাস্তবমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ এবং বাস্তবায়নের মাধ্যমে এর মোকাবেলায় সবাইকে কাজ করতে হবে। জাতিসংঘ মরুময়তা রোধ কনভেনশন নির্ধারিত এবারের দিবসের প্রতিপাদ্যের আলোকে মরুকরণ ও খরার বিরূপ প্রভাব মোকাবেলায় সম্মিলিত প্রচেষ্টা গ্রহণ করলে ইতিবাচক ফল পাওয়া যাবে বলে আমার বিশ্বাস।
মন্ত্রী আরও বলেন, জাতিকে রক্ষা করে উন্নয়ন করতে হবে। সকল প্রকার দূষণ রোধে প্রয়োজনীয় সবকিছু করা হবে।
পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডক্টর আবদুল হামিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার। বিষয়ের ওপর আলোচনা করেন শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক প্রফেসর ডক্টর আব্দুল হামিদ, পরিবেশ অধিদপ্তরের ঢাকা গবেষণাগারের পরিচালক ডক্টর মু. সোহরাব আলী। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট এর মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডক্টর আমীর জাহিদ এবং বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. আব্দুল লতিফ।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর বিশেষ প্রতিনিধি রুহুল আমীন খন্দকার। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.