“ভুলতে পারি সবার নাম, ভুলব না কো নন্দীগ্রাম” নন্দীগ্রামের মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী 

(“ভুলতে পারি সবার নাম, ভুলব না কো নন্দীগ্রাম” নন্দীগ্রামের মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী–ছবি: প্রতিনিধির)
কলকাতা প্রতিনিধি: প্রার্থী ঘোষণা হওয়ার পর এই প্রথমবার নন্দীগ্রামে পা রাখলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর পা রেখেই নন্দীগ্রামের কর্মীসভায় তিনি ফিরিয়ে আনেন পুরনো স্লোগান, ‘ভুলতে পারি সবার নাম, ভুলব না কো নন্দীগ্রাম’। বিজেপি তাঁকে প্রার্থী করার পর থেকেই নন্দীগ্রামে মমতাকে ‘বহিরাগত’ বলে আক্রমণ করা শুরু করেছেন শুভেন্দু অধিকারী।
এদিন কর্মীসভায় দাঁড়িয়ে মমতা বলেন, ‘আমি যখন নন্দীগ্রামে এবার প্রথম এলাম, তখন কোনও বিধায়ক ছিল না। আমি মানুষগুলোর মুখের দিকে তাকিয়ে বলেছিলাম, আমি যদি প্রার্থী হই। আমার তো ভবানীপুর ছিলই, কোনও খাটনি ছিল না। তবু আমি নন্দীগ্রামকেই বেছে নিলাম। আপনাদের ভালবাসা, উন্মাদনা দেখে বুঝেছিলাম এটাই আমার নন্দীগ্রামের দু’চোখ।’
নন্দীগ্রাম আন্দোলনকে আপাতত শুভেন্দু অধিকারী ‘নিজের’ বলে দাবি করেছেন অহরহ। কিন্তু এদিন মমতা নিজের বক্তব্যে গোটা নন্দীগ্রাম আন্দোলন পর্বের কথা তুলে আনেন। বুঝিয়ে দেন, যে যাই বলুক, তিনি না থাকলে নন্দীগ্রাম আন্দোলন কখনই সফল হত না।
তিনি জনতার উদ্দেশে বলেন, ‘যদি মনে করেন, আমাকে এখানে চাই না। তাহলে চলে যাব। আর যদি মনে করেন আমি আপনাদের ঘরের মেয়ে, তাহলে আমি কাল মনোনয়ন দেব।’ শুভেন্দুর নাম না করে কটাক্ষের সুরে তিনি বলেন, ‘আমি বাংলার মেয়ে, এখন বাইরের মেয়ে হয়ে গেলাম! আর তোমার দলের সবাই দিল্লি, রাজস্থান থেকে এসে ঘরের লোক হয়ে গেল।’
নন্দীগ্রামের মাটিতে দাঁড়িতে এদিন হিন্দুত্ব নিয়েও বিজেপিকে আক্রমণ শানান মমতা। বলেন, ‘আমিও হিন্দু ঘরের মেয়ে। আমাকে হিন্দুত্ব বোঝাতে আসবেন না।’ এরপরই চণ্ডীপাঠ করেন তিনি। দলের কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘নন্দীগ্রামে পয়লা এপ্রিল ভোট। বিজেপিকে এপ্রিল ফুল করে দেবেন। এরা সব মুখস্থ বুলি আওড়াচ্ছেন।’
এদিন নন্দীগ্রামের জন্য একাধিক প্রকল্প ঘোষণা করেন মমতা। বলেন, ‘হলদিয়া থেকে নন্দীগ্রাম ব্রিজ করে দেব। আমি এখানে একটা বিশ্ববিদ্যালয়ও গড়তে চাই।’ মনে রাখবেন, ‘১ এপ্রিল নন্দীগ্রামে খেলা হবে। জিতবে তৃণমূলই।’
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ (বাংলাদেশ) এর বিশেষ (কলকাতা) প্রতিনিধি রাজশ্রী বন্দ্যোপাধ্যায়। # 

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.