ভিয়েতনামের নতুন প্রেসিডেন্ট তো লাম

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভিয়েতনামের পার্লামেন্ট জননিরাপত্তা মন্ত্রী তো লামকে দেশটির নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করেছে। দেশটির ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টি গত সপ্তাহে লামকে প্রেসিডেন্ট পদের প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করে। তারপর গোপন ব্যালটে লামের মনোনয়নকে অনুমোদন করে একটি প্রস্তাব পাশ হয়। তখন থেকে রাষ্ট্রপ্রধানের পদে লামই ছিলেন একমাত্র প্রার্থী।
বুধবার একদলীয় রাষ্ট্রটির স্বাভাবিক প্রক্রিয়া অনুযায়ী আইনপ্রণেতারা সর্বসম্মতভাবে লামকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত করার প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেন।
জননিরাপত্তা মন্ত্রী হিসেবে লাম (৬৬) দেশটির দুর্নীতিবিরোধী অভিযানে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। ‘জ্বলন্ত চুল্লি’ নামে পরিচিতি পাওয়া এই অভিযান ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়া দুর্নীতি সমূলে উত্পাটনের লক্ষ্যে পরিচালিত হয়েছিল। তবে সমালোচকরা এই অভিযানকে রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের আড়ালে ঠেলে দেওয়ার উপায় হিসেবেও দেখেছেন।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর পার্লামেন্টে লাম বলেন, তিনি ‘দৃঢ় ও অবিচলভাবে’ দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাবেন। ভিয়েতনামের প্রেসিডেন্টকে বহুলাংশে আনুষ্ঠানিক ভূমিকা পালন করতে হয়। তারপরও দেশটির শীর্ষ চারটি রাজনৈতিক অবস্থানের (তথাকথিত ‘চার স্তম্ভ’) অন্যতম এ পদ। অন্য তিনটি হচ্ছে কমিউনিস্ট পার্টি প্রধান, প্রধানমন্ত্রী ও পার্লামেন্টের স্পিকার। ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির প্রধানের পদটি দেশটির শীর্ষ পদ। লাম পরে পার্টি প্রধানের পদের প্রার্থী হতে পারেন বলে ধারণা বিশ্লেষকদের। ভিয়েতনামের কমিউনিস্ট পার্টির বর্তমান প্রধান বর্ষীয়ান নগুয়েন ফু ট্রং এর পাঁচ বছরব্যাপী তৃতীয় মেয়াদ শেষ হবে ২০২৬ সালে।
তবে মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই বয়সের কারণে ট্রং পদ ছেড়ে দিতে পারেন। সেক্ষেত্রে লামের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন পার্টি প্রধান পদের প্রার্থী হওয়ার ক্ষেত্রে ‘ভিত্তিপ্রস্তর’ হিসেবে কাজ করতে পারে বলে ধারণা বিশ্লেষকদের। জননিরাপত্তা মন্ত্রীর পদ থেকে লামকে অব্যাহতি দিতে পার্লামেন্টে আরেকটি ভোট হবে। মন্ত্রিসভার এই গুরুত্বপূর্ণ পদটিতে কে আসছেন তা পরিষ্কার হয়নি। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.