ময়মনসিংহ ব্যুরো: গোড়ার মাটি কেটে নেয়ায় অনেকটাই ধসে গেছে ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার সিডস্টোর-সখীপুর সড়কের লাউতি খাল পারাপারের জন্য স্থানীয়ভাবে নির্মিত বিকল্প সড়কটি। এতে ওই সড়কে দুই চাকার যানবাহন ছাড়া বন্ধ হয়ে গেছে অন্যান্য সকল প্রকার পরিবহন।
উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. এরশাদুল আহাম্মেদ, পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. শাহাজান, উপজেলা প্রকৌশলী সাহফুজুর রহমান ওই স্থান পরিদর্শন করেছেন।
স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা যায়, সময়ের ব্যবধানে উপজেলার সিডস্টোর-সখীপুর সড়কের গুরুত্বপূর্ণ লাউতি সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে।
বিষয়টি নজরে আসলে এলজিইডি সেতুটি পুনর্নির্মাণের উদ্যোগ নেয় এবং গত ২০২১ সালের ১১ নভেম্বর থেকে ওই স্থানে তিন কোটি ২৩ লাখ ১৫ হাজার ৬৮৪ টাকা ব্যায়ে ৩১ মিটার দৈর্ঘ্য ও তিন দশমিক সাত মিটার প্রস্থের একটি সেতুর নির্মাণকাজ শুরু করে। ওই সময় পাশাপাশি লাউতি খাল পার হওয়ার জন্যে বিকল্প হিসাবে একটি কাঠের পুল তৈরি করা হয়। কিন্তু যানবাহনের চাপে কিছুদিনের মাঝেই কাঠের ওই পুলটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে এবং একপর্যায়ে তা ভেঙে যায়।
পরে যানবাহন চলাচল অব্যাহত রাখতে স্থানীয় সাংসদ আলহাজ্ব কাজিম উদ্দিন আহমেদ ধনুর উদ্যোগে দুই সারি রিং পাইপ বসিয়ে স্থানীয়ভাবে ওই স্থানে একটি বিকল্প সড়ক তৈরি করা হয়।
এতদিন ওই বিকল্প সড়ক হয়েই চলাচল করছিল সিএনজি, অটোসহ বিভিন্ন ধরনের হালকা ও ভারী যানবাহন। সম্প্রতি পানি উন্নয়ন বোর্ড লাউতি খাল খননের সময় বিকল্প ওই সড়কের গোড়া থেকে মাটি কেটে নেয়ার অভিযোগ ওঠে। এতে ভাঙতে শুরু করে বিকল্প ওই সড়ক। একপর্যায়ে তা দুই চাকার যান ছাড়া অন্যান্য যান চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পরে।
স্থানীয়রা বিটিসি নিউজকে জানান, এই সড়কে প্রতিদিন শত শত হালকা, ভারী যানবাহন করে। তাছাড়া স্থানীয়সহ বিভিন্ন কারখানার হাজার হাজার শ্রমিক, উপজেলা কাচিনা ও হবিরবাড়ির ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামসহ সখীপুরের মানুষের যাতায়াত এই সড়ক হয়ে। কাজেই সড়কটি যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ।
স্থানীয় মহর আলী ও ইনসান সেখ বিটিসি নিউজকে জানান, তারা এতোদিন যানবাহনে করে ওই বিকল্প সড়ক হয়ে লাউতি খাল পার হতেন। কিন্তু বিকল্প সড়কটি ভেঙে যাওয়ায় এখন ওই সড়কে কোনো যানবাহন চলতে পারছে না।
উপজেলা প্রকৌশলী মোহাম্মদ মাহাফুজুর রহমান বিটিসি নিউজকে জানান, লাউতি সেতু নির্মাণের সাথে ওই স্থানে একটি কাঠের পুল বানানো হয়েছিল। একপর্যায়ে ওই পুলটি ভেঙে গেলে সাংসদ আলহাজ্ব কাজিম উদ্দিন আহাম্মেদের উদ্যোগে স্থানীয়ভাবে ওই স্থানে একটি বিকল্প সড়ক তৈরি করা হয়। সম্প্রতি পানি উন্নয়ন বোর্ড লাউতি খাল খননের সময় বিকল্প ওই সড়কের গোড়ার মাটি কেটে নেওয়ায় সড়কটির ক্ষতিগ্রস্ত হয়। নতুন সেতুর কাজও প্রায় সমাপ্তির পথে। আপাতত লাউতি খাল পার হতে মানুষ যাতে নতুন সেতুতে উঠতে পারে সেজন্যে বিকল্প হিসাবে সেতুর দুই পাশে কাঠের পাটাতন বানিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. শাজাহান বিটিসি নিউজকে জানান, লাউতি খাল পার হওয়ার বিকল্প ওই সড়কের গোড়ার মাটি কাটা হয়নি। উজানের পানির চাপ, বৃষ্টি এবং দুটি রিং কালভার্টের পানি পড়ে গর্ত হয়ে বিকল্প সড়কের মাটি সরে গেছে। ওই সড়কটি ধসে যাচ্ছে। এখানে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কোনো দায় নেই।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর ময়মনসিংহ ব্যুরো প্রধান মো. সাইফুল ইসলাম (সাইফুল)। #
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.