ভারত ও চীন শান্তিপূর্ণ সমাধানে সামরিক ও কূটনৈতিক আলোচনা চালিয়ে যাবে

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বিশ্বের সবচাইতে ঘন বসতিপূর্ণ এবং দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির দেশ ভারত এবং চীন। সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র নয়, এমন দেশ হিসেবে এশিয়ায় সর্ব প্রথম ভারত চীনের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে।

১৯৫০ সালের এপ্রিলের ১ তারিখে চীনের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে ভারত যার ৭০ বছর পূর্ণ হল এই ২০২০ সালে।

সে যাই হোক, গত ৫ মে পূর্ব লাদাখ সীমান্তে চারটি পয়েন্টে ভারত ও চীনের সেনা বাহিনীর অবস্থানকে কেন্দ্র করে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। আর সেই উত্তেজনা প্রশমনে ভারত ও চীন তাদের সামরিক ও কূটনৈতিক পর্যায়ে আলোচনা করে যাচ্ছে।

উভয় পক্ষ বিষয়টির শান্তিপূর্ণ সমাধানের পথে হাটার বিষয়ে সহমত পোষণ করেছে। উভয় দেশের মধ্যে বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন চুক্তি ও সম্পর্কের ভিত্তিতে এই বিষয়গুলোর শান্তিপূর্ণ সমাধান খোঁজা হবে বলে আলোচনা করা হয়। ভারত চীন সীমান্তে শান্তি বজায় রাখা উভয় দেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচনা করা হয়।

ভারতের সঙ্গে চীনের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৭০ বছর পূর্তি হবে চলতি বছরে। আর এই সম্পর্ক আরও দৃঢ় করতে সমানে কাজ করার বিষয়ে প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়। সেই সঙ্গে বলা হয়, যত দ্রুত এই সমস্যার সমাধান হবে, ততই দ্বিপাক্ষীক সম্পর্কের জন্য তা ইতিবাচক হবে। উভয় দেশের কূটনৈতিকদের ভিডিও কনফারেন্সে উপস্থিতিতে সামরিক কর্মকর্তারা এই আলোচনা করেন যেখানে বলা হয়, উভয় দেশের বিদ্যমান পার্থক্য সত্ত্বেও তারা পরস্পরের প্রয়োজনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে দ্রুত এই বিষয়ে সমাধান করবে।

এ বিষয়ে কারগিল যুদ্ধকে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা পিএলএ জেনারেল জানান, সকল প্রতিকূলতা মোকাবেলা করে ভারতের সৈন্যরা প্রতিরক্ষা করে যাবে। যদিও সীমান্তে চীন তার সেনা সদস্য বাড়াচ্ছে, কিন্তু তাদের ভুলে যাওয়া উচিত নয় ভারতে বর্তমানে মোদির নেতৃত্ব খুবই শক্তিশালী এবং তিনি একবারও বিশ্বে কোভিড-১৯ ছড়িয়ে পড়ার জন্য চীনকে দায়ী করেননি। সেই সঙ্গে ভারত হংকংয়ে হওয়া কড়া আইনে চীনের ভূমিকা নিয়েও চুপ থেকেছে। এমনকি তাইওয়ানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিষয়ে যখন সকলে সোচ্চার ছিলো, তখনো চুপ থেকেছে ভারত।

কোভিড-১৯ এর কারণে ভারত-চীন কূটনৈতিক সম্পর্কের ৭৯ বছর উদযাপন যখন পিছিয়ে যায়, এমন সময় চীনের সিনিয়র কর্মকর্তা বলেছিলেন, ‘আমাদের সম্পর্ক আরো দৃঢ় হবে এবং এই মহামারী অতিক্রমের পর পরস্পরের সম্পর্ককে আরো উচ্চ পর্যায়ে নিয়ে যাবো আমরা।’

এই উভয় দেশের দুই নেতা কিছুদিন আগেই পরস্পরের পার্থক্য ভুলে একত্রে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। তাই লক সীমান্তে উভয়ের জন্য শান্তিপূর্ণ সমাধান হতে পারে পরস্পরের সৈন্য প্রত্যাহার করে নেয়া।

কিন্তু ভারত সেটা করতে গিয়ে কোনভাবেই এই সীমান্ত রেখায় কোন পরিবর্তন আশা করে না। আর সে কারণেই উভয় দেশ শান্তিপূর্ণভাবে এই সমস্যা সমাধানের জন্য সামরিক ও কূটনৈতিক পর্যায়ে আলোচনা চালিয়ে যাবে। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.