ভারতে স্প্যানিশ পর্যটককে ধর্ষণের ঘটনায় ক্ষিপ্ত বাইকার ও ব্যাকপ্যাকাররা

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতের ঝাড়খন্ডে স্প্যানিশ পর্যটককে ধর্ষণের ঘটনা সাড়া ফেলেছে বিশ্বজুড়ে। ঘটনাটি ফাঁস হওয়ার পর গতকাল রোববারই দোষীদের গ্রেপ্তার ও বিচার দাবি করে অনলাইনে প্রচারণা শুরু করেছে বাইকার ও ব্যাকপ্যাক কমিউনিটি।
গত শুক্রবার রাতে (১ মার্চ) ঝাড়খন্ডের দুমকা জেলায় স্বামীর সঙ্গে বাইকে ভ্রমণরত স্প্যানিশ পর্যটক ফর্নান্দাকে অন্তত সাতজন ধর্ষণ করেন। এ সময় তাঁর ব্রাজিলিয়ান স্বামী ভিনসেন্টকেও নির্মম প্রহার করে ধর্ষকেরা।
আজ সোমবার টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঘটনার পর ধর্ষিত ফর্নান্দা পুলিশের একটি টহল ভ্যানের কাছে গিয়ে বিস্তারিত জানিয়েছিলেন। এরপরই অপরাধীদের ধরতে অভিযান শুরু করে পুলিশ। তবে নিজেদের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকে ভিডিও বার্তায় ফর্নান্দা ও ভিনসেন্ট ধর্ষণের ঘটনাটি ফলোয়ারদের জানালে তা নিয়ে বিশ্বজুড়ে শোরগোল শুরু হয়।
এ অবস্থায় গতকাল থেকেই ওই ধর্ষণের বিচার দাবি করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সসহ অন্য প্ল্যাটফর্মে সরব হন বিশ্বের অসংখ্য পর্যটক।
কাঞ্চন উগুরসান্ডি নামে ঝাড়খন্ডের এক উপজাতীয় বাইকার অবশ্য গত শনিবার থেকেই সোচ্চার আছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে তিনি তাঁর হেলমেটের একটি ছবি শেয়ার করে লিখেছেন, ‘এখন পর্যন্ত ছবি আর ভিডিওতে আপনারা আমাকে হাসিমুখে মোটরসাইকেল চালাতে দেখেন। কিন্তু কেউ আমার হেলমেটের নিচে অশ্রু দেখেননি।’
এর পর থেকে ধারাবাহিকভাবে রাজ্যের বাজে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির জন্য সরকারকে দায়ী করে একের পর এক পোস্ট করে যাচ্ছেন কাঞ্চন উগুরসান্ডি।
এক্স মাধ্যমে মেজর মুকেশ কপিলা (অব.) নামে একজন লিখেছেন, ‘ইনস্টাগ্রামে গল্পটি দেখে হতবাক হয়েছি। তাৎক্ষণিক আদালত বসিয়ে দোষীদের ফাঁসিতে ঝোলাতে হবে। এই কাজের জন্য কোনো দয়া দেখালে হবে না।’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে সোচ্চার হওয়া বাইকার ও ব্যাকপ্যাকারদের চাপে একটি বিবৃতি জারি করতে বাধ্য হয়েছে ঝাড়খন্ডের পর্যটন বিভাগ। এতে লেখা হয়েছে, ‘আমরা ঝাড়খন্ডের দুমকায় সাম্প্রতিক ঘটনার জন্য গভীর দুঃখ প্রকাশ করছি। কঠিন এই সময়ে আমরা ভুক্তভোগীদের সঙ্গে আছি। আমরা এই ধরনের জঘন্য কাজের নিন্দা জানাই এবং সব পর্যটকের জন্য ন্যায়বিচার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রচেষ্টার সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করি। অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে অভিযান চালাচ্ছে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা। পর্যটন বিভাগ পর্যটকদের জন্য নিরাপদ স্থান প্রতিষ্ঠা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
আজ শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ওই ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে আরও চারজনকে খুঁজছে পুলিশ। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.