ভারতে প্রবেশ করতে চলেছে প্রায় পঞ্চাশ জন জঙ্গি

কলকাতা (ভারত) প্রতিনিধি: ২০১৯সালের আগস্ট মাসে জম্মু-কাশ্মীরে ৩৭০ নম্বর অনুচ্ছেদের অবলুপ্তি হয়ে ছিল। তারপর চলছিল লাগাতার ধরপাকর, সেই ধরপাকরে অনেক জঙ্গি পাকিস্তানের দিকে চলে যায়। এখন আবার নতুন করে জঙ্গি অনুপ্রবেশ ঘটছে। শুধু তাই নয় যে সমস্ত জঙ্গি অনুপ্রবেশ করছে তারা রীতিমত বাক্স বোমায় প্রশিক্ষিত। তারা কখনও পাকিস্তান বা আফগানিস্তান থেকে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত।
গোয়েন্দাদের সতর্কবাণি যে কোনও সময় ৪০-৫০জনের দলটি ভারতে ঢুকে উৎসবের মুহূর্তে হামলা করতে পারে। জম্মু-কাশ্মীরের পুঙ্চ নদী পেরিয়ে নিয়ন্ত্রন রেখায় রয়েছে দলটি আপাতত। তারা বিভিন্ন দলে ভাগ হয়ে কাশ্মীর উপত্যকা ও ভারতের মূল ভূখণ্ডে ঢুকে উৎসবের মুখে হামলা চালাতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। জনবসতি এলাকা গুলোতে এরা প্রধান টার্গেট নিয়েছে বলে খবর গোয়েন্দা সূত্রে।তিন জঙ্গি সংগঠন-লস্কর-ই-তোইবা,হরকত-উল-আনসারও হিজবুল মুজাহিদিন এক সাথে মিলিত ভাবে আঘাত আনতে পারে বলে খবর।
এদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার বারামূলা জেলার উরি সেক্টরে তিন জঙ্গিকে নিকেশ করেছে ভারতীয় সেনা। সেনার এক আধিকারিক জানান, নিহতদের কাছ থেকে পাঁচ টি এ কে ৪৭ রাইফেল, ৪৫টি গ্রেনেড,দুটি গ্রেনেড লঞ্চার সহ প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্র বাজেয়াপ্ত হয়েছে।
আই জি পি-কাশ্মীর শ্রী বিজয় কুমার বলেন, সন্ধের দিকে পার্টটাইম জঙ্গিরা হামলা চালিয়ে দিনের বেলা স্বাভাবিক জনজীবনে ফিরে যাচ্ছে। লঞ্চ প্যাড গুলোতে জরো হয়ে সুযোগ বুঝে নিয়ন্ত্রন রেখা অতিক্রম করে ঢুকে পড়ছে।
জঙ্গি নিধন ঘটনার পর এক সাংবাদিক বৈঠকে মিলিত হন সেনার জেনারেল অফিসার কমাণ্ডিং লেফটেন্যান্ট জেনারেল ডি পি পাণ্ডে। তিনি জানিয়েছেন ইদানিং নিয়ন্ত্রন রেখার ওপারের লঞ্চ প্যাড গুলোতে জঙ্গি তৎপরতা লক্ষ করা যাচ্ছে। সেটি মাথায় রেখে নিরাপত্তার জোরদার করা হয়েছে। ফলে তাদের কিছুটা বেগ পেতে হচ্ছে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ (বাংলাদেশ) এর কলকাতা (ভারত) প্রতিনিধি স্বপন দেব। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.