ভারতে ধর্মীয় অনুষ্ঠানে পদদলিত হয়ে মৃত্যু শতাধিক

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতের উত্তর প্রদেশে ধর্মীয় অনুষ্ঠানে পদদলিত হয়ে শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের মধ্যে নারী ও শিশুও রয়েছে। রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ১০৭ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আহত হয়েছেন আরও অনেকে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
হাথরস জেলার সিকান্দ্রা রাউ এলাকার রতি ভানপুর গ্রামে বিশেষভাবে স্থাপিত তাঁবুতে এক ধর্মপ্রচারক তার অনুগামীদের উদ্দেশে ভাষণ দিচ্ছিলেন। সেই অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পর তাঁবু থেকে বের হওয়ার সময় শুরু হয় ঠেলাঠেলি। এডিজি আগ্রার জোন অফিসের পিআরও ১০৭ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, স্থানীয় কমিউনিটি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ধারণ করা ভিডিওতে দেখা গেছে, বাস এবং ট্যাম্পুতে করে অনেকের নিথর দেহ নিয়ে আসা হয়েছে। ওই সময় তাদের আত্মীয়-স্বজনরা কান্নাকাটি করছিলেন।
এ ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্য়মন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। কীভাবে ভয়াবহ এই পদদলনের ঘটনা ঘটল তার কারণ খুঁজে বের করতে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রের খবর, প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, সৎসঙ্গে উপস্থিত লোকজন প্রচণ্ড গরমের মধ্য়ে সমস্যায় পড়ে যান। এরপরই লোকজন দৌড়াদৌড়ি শুরু করলে পদপিষ্টের ঘটনা ঘটে। পুলিশ জানিয়েছে, অনুষ্ঠানের সময় প্রচণ্ড গরম ও আর্দ্রতা ছিল।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, “এটা ছিল ধর্ম প্রচারক ভোলে বাবার সৎসঙ্গ সভা।”
আলিগড় রেঞ্জের ইন্সপেক্টর জেনারেল শলভ মাথুর জানিয়েছেন, মঙ্গলবার বিকালে এটাহ ও হাথরস জেলার সীমান্তে ওই জায়গায় জমায়েত হওয়ার জন্য সাময়িক অনুমতি দেওয়া হয়েছে। একের পর এক মৃত্যুর ঘটনাকে ঘিরে স্বাভাবিকভাবেই উদ্বেগ ছড়িয়েছে। মৃত্যুর সংখ্য়া ক্রমশ বাড়ছে।
আহত এক ব্যক্তি জানিয়েছেন, ধর্মীয় অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পরে পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনা ঘটে এবং সবাই জায়গা ছেড়ে যাওয়ার জন্য দৌড়াদৌড়ি করছিল।
ওই অনুষ্ঠানস্থলে উপস্থিত একজন জানিয়েছেন, ঘটনাস্থলে ওই ধর্মীয় প্রচারকের অনুগামীদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। বেরিয়ে যাওয়ার কোন উপায় ছিল না। সবাই একসঙ্গে বের হওয়ার চেষ্টা করছিলেন। সেই সময়ই পদপিষ্টের ঘটনা ঘটে। আমি যখন বের হওয়ার চেষ্টা করি, তখন বাইরে মোটরসাইকেল দাঁড়িয়ে থাকায় আমার পথ আটকে যায়। অনেকে অজ্ঞান হয়ে পড়েন।
এদিকে, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন এবং হাথরাস জেলা ও এর আশেপাশের কর্মকর্তাদের উদ্ধার ও ত্রাণকাজ দ্রুত পরিচালনার নির্দেশ দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীর দফতর থেকে জানানো হয়েছে, “এডিজি আগ্রা এবং আলিগড়ের কমিশনারের নেতৃত্বে ঘটনার কারণ অনুসন্ধানের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।” #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.