ভারতে তুষারধসে প্রাণহানি বেড়ে-৪৩

(ভারতে তুষারধসে প্রাণহানি বেড়ে-৪৩–ছবি: সংগৃহীত)
বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতের উত্তরাখণ্ডে তুষারধসের ঘটনায় তপোবনের সুড়ঙ্গ থেকে আজ রবিবার (১৪ ফেব্রুয়ারী) আরও ৫ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে দমকল বাহিনী। এ নিয়ে প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে ৪৩ জনে দাঁড়িয়েছে।
সুড়ঙ্গের ভিতরে আরও বেশ কয়েকজন আটকে থাকতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাদের সন্ধান পেতে উদ্ধারকাজে গতি আনছে প্রশাসন। খবর আনন্দবাজারের।
এর আগে গতকাল শনিবার থেকেই তপোবন-বিষ্ণুগড় সুড়ঙ্গের মধ্যে আরও বড় পথ তৈরি করে উদ্ধারকাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হয়। আশঙ্কা ছিল ভিতরে আটকে রয়েছেন ৩০ জনের মতো। কিন্তু আজ সেই প্রক্রিয়া আংশিক শেষ হওয়ার পর সকাল পর্যন্ত নতুন করে ৫ জনের মরদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়।
উত্তরাখণ্ডে হিমবাহ ভেঙে যাওয়ার পর হড়পা বানে প্লাবিত হয় ওই এলাকা। অলকানন্দা ও ধৌলিগঙ্গা নদীতে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়। এতে করে বেশ কয়েকটি সেতু ভেঙে যাওয়ার পাশাপাশি দু’টি বিদ্যুৎকেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তার মধ্যে একটি তপোবন-বিষ্ণুগড় বিদ্যুৎ কেন্দ্র।
এনটিপিসির এই প্রকল্পটির ম্যানেজার আরপি আগরওয়াল বলছেন, ‘তিনটি ভিন্ন পদ্ধতিতে টানেলে আটকে পড়া মানুষদের উদ্ধারের কাজ চলছে। গত শুক্রবার একটি বড় গর্ত তৈরি করা হয়েছে, যেখান দিয়ে একটি পাইপ ও ক্যামেরা সুড়ঙ্গের ভিতর যেতে পারে। ক্যামেরার সাহায্যে দেখা হচ্ছে ভিতরে কেউ আটকে পড়েছেন কি না।’
চামোলির জেলাশাসক স্বাতী ভাদোরিয়া বলেন, ‘উদ্ধারকাজ আরও জোরদার করা হচ্ছে। মরদেহ উদ্ধারের পর এলাকায় বাকি নিখোঁজদের সন্ধানে জোরদার তল্লাশি চালানো হচ্ছে।’
সরকারি হিসাব অনুসারে, তুষারধসের ঘটনার পর থেকে নিখোঁজ হন ১৬০ জন। মনে করা হচ্ছে তপোবন সুড়ঙ্গের মধ্যে রোববারের পরেও ২০ থেকে ৩০ জন আটকে থাকতে পারেন। তাদের উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে প্রশাসন। তবে সময় যত এগোচ্ছে, ততই তাদের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা ক্ষীণ থেকে ক্ষীণতর হচ্ছে। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.