ভারতের যুদ্ধ প্রস্তুতিতে জল্পনা তুঙ্গে


কলকাতা (ভারত) প্রতিনিধি: ভারত যুদ্ধ সম্ভারে ব্যাপক রদলবদল আনতে চলেছে। একের পর এক সামরিক সরঞ্জাম ক্রয়ের সিদ্ধান্ত নিল প্রতিরক্ষা মন্ত্রক, লক্ষ্য চীন ও পাকিস্তানের মোকাবিলা করা।
আফগানিস্তানে তালিবান শাসন ক্ষমতায় আসা নিঃসন্দেহে ভারতের কপালে চিন্তার ভাজ প্রসারিত করেছে।
আফগানিস্তানের ছোট  ছোট জঙ্গি গোষ্ঠী গুলো ইতিমধ্যেই মাথাচারা দিয়ে উঠেছে তারপর সীমান্ত সমস্যাতো আছেই।প্রায় প্রতিদিনই কাশ্মীরের  পঞ্চ সেক্টরে ছোটবড় হামলা হচ্ছে। এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে ভারত তার সমর সজ্জাকে সমৃদ্ধ করতে চাইছে।
গত বৃহস্পতিবারই ১১৮টি সম্পূর্ণ নুতন প্রযুক্তির এম কে ওয়ান অর্জুন ব্যাটল ট্যাঙ্ক সেনাবাহিনীতে যুক্ত করলো। এর চব্বিশ ঘন্টার মধ্যে ফের ৫৬টি ট্রান্সপোর্ট বিমান কেনার সিদ্ধান্ত হলো যার আনুমানিক খরচ ২২হাজার কোটি টাকা। এই বিমান কেনার বরাতের সাথে যুক্ত থকবে স্পেনের এয়ার বাস এবং ভারতের টাটা সংস্থা।
এই প্রথম বিপুল পরিমাণ সামরিক বরাদ্দ   কোনও বেসরকারি সংস্থাকে দেওয়া হল। ১৬টি বিমান স্পেনের থেকে খুব শীঘ্রই চলে আসবে। বাকিগুলো তাড়াতাড়ি দিতে বলা হয়েছে। তিন বাহিনীর জন্যই এই বিমান ব্যবহার করা যাবে বলে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রের খবর।
অর্জুন ট্যাঙ্ক গুলো তৈরি করবে ডিফেন্স রিসার্চ এণ্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন। এই ব্যাটল ট্যাঙ্কের ৭২টি নতুন বৈশিষ্ট্য আছে। পাশাপাশি পঞ্চাশ হাজার কোটি টাকা ব্যায়ে ছ-টি পরমাণু অস্ত্র বহনকারী সাবমেরিন যোগ করা হবে। সম্ভবত সাবমেরিন গুলো ফ্রান্স থেকে আনা হবে।
এভাবে হঠাৎই ভারতের আধুনিক সমর সজ্জা  পেছনে কোন সুদূর প্রসারি বা দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা থাকতে পারে বলে ওয়াকিবহল মহলের ধারণা।
চীন পাকিস্তান সূত্রে কিছু গোপন পরিকল্পনার রিপোর্ট আসছে। আবার বিশেষ করে আফগানিস্তান তালিবানের দখলে চলে যাওয়ার পর ভারতের অন্দরে নিরাপত্তা নিয়ে বিশেষ উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
এখনো চীন লাদাখ সীমান্ত থেকে পুরোপুরি চলে যায় নি। সিদ্ধান্ত হয়ে যাওয়ার পরেও লাল ফৌজ মোতায়েন রয়েছে। এই অবস্থায় দেশের নিরাপত্তার ব্যাপারে কোন রকম খামতি রাখতে চাইছে না নয়া দিল্লী।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ (বাংলাদেশ) এর কলকাতা (ভারত) প্রতিনিধি স্বপন দেব। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.