ভারতের আসামে ভারী বর্ষণে রেড এলার্ট, তিস্তায় বাড়ছে পানি

লালমনিরহাট প্রতিনিধি: কয়েকদিনের অনবরত বৃষ্টি ও উজানের পাহাড়ি ঢলে তিস্তা নদীর পানি আবারও বাড়তে শুরু করেছে। ফলে লালমনিরহাটসহ উত্তরের কয়েকটি জেলায় তিস্তা পাড়ের হাজারো মানুষ বন্যা নিয়ে শঙ্কায় আছেন।
জানা গেছে, ভারী বর্ষণের কারনে ভারতের আসামের বিভিন্ন এলাকা তলিয়ে গেছে। মারা গেছে ৫ জন। ১০ হাজার মানুষজনকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। অপরদিকে একইভাবে ভারী বৃষ্টিতে তিস্তা নদী সংযুক্ত সিকিমেও তিস্তা নদী ফুঁসে উঠেছে। আছড়ে পড়ছে তিস্তার বড় বড় ঢেউ। ফলে ওপারের তিস্তায় লাল সংকট জারি করা হয়েছে। পাহাড় থেকে তিস্তার ঢল সমতলে এগিয়ে আসছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো ও তিস্তা অববাহিকার বন্যা পূর্বাভাস ও সর্তরকীকরন কেন্দ্র সূত্রে এমন খবর পাওয়া গেছে।
এদিকে তিস্তার পানির ঢল প্রবেশ করতে শুরু করেছে বাংলাদেশে।
শনিবার (৩১ মে) সন্ধ্যা ৬টায় তিস্তার লালমনিরহাটের তিস্তা ডালিয়া পয়েন্টে পানি প্রবাহ পরিমাপ করা হয় ৫১ দশমিক ২৭ সেন্টিমিটার। যা একই দিন বেলা ৩টায় ছিল ৫১ দশমিক ১৬ সেন্টিমিটার। এই পয়েন্টে বিপৎসীমার ৫২ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার। এতে ৩ ঘণ্টায় পানি বেড়েছে ১১ সেন্টিমিটার।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র এবং ডালিয়াস্থ তিস্তার পানি পরিমাপক গেজরিডার নুরুল ইসলাম জানায়, তিস্তা ব্যারেজের ৪৪টি জলকপাট খুলে রাখা হয়েছে। উজানের ঢল প্রবেশ করতে শুরু করেছে। নদীর পার এলাকায় নজরদারিতে রাখা হয়েছে।
তিস্তা নদীর পানি বাড়লে আগে ক্ষতিগ্রস্ত হয় চরাঞ্চলগুলো। তিস্তাপাড়ে চর রয়েছে ৭৬টি। এসব এলাকায় অধিকাংশ মানুষ বাস করেন নদীর চরজমিতে, যেখানকার ঘরবাড়ি তুলনামূলক নিচু।
ফলে পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এসব এলাকায় প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের দাবি, সরাসরি বন্যার আশঙ্কা নেই। তবুও স্থানীয়দের মাঝে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
হাতীবান্ধা উপজেলার চর ডাউয়াবাড়ী এলাকার আনোয়ার হোসেন বিটিসি নিউজকে বলেন, বন্যা এলে সবকিছু শেষ হয়ে যায়। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে মাঠের ফসল, গরু-ছাগল, বাড়ির জিনিস সব ভেসে যায়। এবারও ভয়ে আছি।
হাতীবান্ধা দোয়ানী এলাকার বাসিন্দা সোলায়মান আলী বিটিসি নিউজকে বলেন, আমরা খুব আতঙ্কে আছি। ধীরে ধীরে পানি বাড়ছে। যে কোনো সময় ঘরবাড়িতে ঢুকতে পারে পানি।
লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শুনীল কুমার বিটিসি নিউজকে বলেন, উজানে ভারতের সিকিম ও উত্তরবঙ্গে ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। এতে তিস্তার পানি হঠাৎ করে বাড়তে শুরু করেছে। পানি এখনো বিপৎসীমার নিচে আছে, তবুও আমরা সতর্ক অবস্থানে আছি। আমরা প্রতি ঘণ্টায় পানির গতি-প্রবাহ পর্যবেক্ষণ করছি।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর লালমনিরহাট প্রতিনিধি হাসানুজ্জামান হাসান। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.